পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sసి প্রেবাসী; S99శు পর তাহার এক পুত্র রাঘব রায় বা কচু রায় প্রথমে উড়িষ্যার ইশা খাঁ লোহানীর নিকট পরে বাদশাহ জাহাঙ্গীরের দরবারে উপস্থিত হইয়া প্রতাপাদিত্যের সমস্ত কথা জানাইলে এবং সে-সময়ে পাঠানেরাও বিদ্রোহী হইয়া উঠিলে, বাদশাহ জাহাঙ্গীর রাজা মানসিংহকে ১৬০৬ খৃঃ অব্দে আবার বাঙ্গলায় পাঠাইয় দেন। ইতিপূৰ্ব্বে মানসিংহ ১৬০৪ খৃঃ অদ পর্যাস্ত বাঙ্গলায় সুবেদারী করিয়াছিলেন। র্তাহার প্রথমবার সুবেদাবী সময়ে কতলু থ প্রভৃতি পাঠানগণ, ইশ থ, কেদার রায় প্রভৃতি ভূ ইয়া তাহার নিকট পরাস্ত হন । দ্বিতীয়বারে তাহার প্রতাপদিত্যের সহিত সংঘর্ষ ঘটিয়াছিল বলিয় মনে হয়। মানসিংহ রাজধানী রাজমহল হইতে যশোর অভিমুখে যাত্রা করিলে, হুগলীর কাননগো দপ্তরের মোহরের ও কৃষ্ণনগর রাজবংশের আদিপুরুধ ভবানন্দ তাহাকে সাহায্য করিয়াছিলেন বলিয়া তিনি কয়েকটি পরগণার জমিদারী লাভ করিয়াছিলেন। উক্ত পরগণাগুলির জমিদারী সনন্দের তারিখ ১০১৫ হিজরী ( ১৬০৬ খৃঃ তাক) লিখিত আছে, সুতরাং এই সময়েই মানসিংহের সহিত প্রতাপাদিত্যের সংঘর্ষ ঘটিয়াছিল বলিয়া মনে করা যাইতে পারে। ইসলাম খাঁ চিস্তির সময়ে ভবানন্দ মজুমদার’ উপাধিলাভ করেন । সম্ভবতঃ তিনি সে-সময়েও মোগল \) সাহায্য করিয়া থাকিবেন । ভবানন্দ যে পূৰ্ব্বে প্রতাপাদিত্যের সরকারে কাজ করিতেন, তাহার কোন বিশিষ্ট প্রমাণ নাই । তিনি মোগল সেনাপতিদিগকে সাহায্য করিয়াছিলেন বলিয়া যে দেশদ্রোহী তাহাও বলা যায় না। কারণ তিনি সরকারের কৰ্ম্মচারী আর প্রতাপাদিত্য সরকারের বিদ্রোহী । নিমকহারামী দোষটাও কম নহে । মানসিং যশোর অভিমুখে যাত্রা করিয়া কোন কোন স্থানে নূতন পথ নিৰ্ম্মাণ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। র্তাহার নিৰ্ম্মিত সে পথকে আজিও গৌড়-বঙ্গের রাস্ত বলিয় থাকে। যশোর-দুর্গের নিকটে আসিয়া প্রতাপদিত্যের সহিত মানসিংহের ঘোরতর যুদ্ধ হয় বলিয়। কথিত হইয়া থাকে, কয়েক দিন ধরিয়৷ এই যুদ্ধ চলে। মানসিংহের সহিত প্রতাপাদিত্যের সংঘর্ষের কোনও ঐতিহাসিক সমর্থন নাই, তবে ভবানন্দের সনন্দ, ক্ষিতীশ ংশাবলীচরিত, অন্নদামঙ্গল, ঘটককারিকা, বস্থ-মহাশয়ের গ্রন্থ এবং রাজপুতান-জয়পুরের বংশাবলী পুথি হইতে জানা যায় যে, প্রতাপাদিতোর সহিত মানসিংহের যুদ্ধ হইয়াছিল । বংশাবলীতে লিখিত আছে যে, মানসিংহ প্রতাপের গড় দখল করিয়াছিলেন । উক্ত বংশাবলীতে কেদাররায়ের সহিত মানসিংহের যুদ্ধের কথাও আছে এবং তিনি তাহার নিকট হইতে শিলাদেবী নামে প্রতিমা অম্বরে লইয়া গিয়াছিলেন বলিয় লিখিত আছে । মানসিংহ প্রতাপাদিত্যের যশোরেশ্বরী লইয়া যান বলিয়া যে একটা কথা প্রচলিত আছে, তাহ সত্য নহে । আমাদের প্রতাপাদিত্যে এ বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করা হইয়াছে । ক্ষিতীশবংশাবলীচরিত, অন্নদামঙ্গল, ঘটককারিক এবং পরবর্তী গ্রন্থসমূহে মানসিংহ যে প্রতাপাদিত্যকে ধুত করিয়৷ লষ্টয়া গিয়াছিলেন বলিয়া লিখিত আছে, একথা যে সত্য নহে তাহা নিঃসংশয়িত রূপে প্রমাণিত হইয়ছে । বলী ও বসু-মহাশয়ের গ্রন্থেও একথা নাই। বাহারিস্তান তাহা সুস্পষ্টরূপে প্রমাণ করিয়া দিয়াছে। নানাদিক দিয়া আলোচনা করিলে মানসিংহ ও প্রতাপাদিত্যের মধ্যে যে একটা সংঘর্য হইয়াছিল তাত মানিয়া লওয়া যায়। সংঘর্ষে অবশ্য প্রতাপই পরাজিত হইয়া সন্ধি করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। কচু রায় মানসিংহকে লইয়া আসিয়াছিলেন বলিয়। কথিত হয়। র্তাহার সঙ্গে বাইশ জন আমীরও আসেন। এই বাইশ জন আমীর হত হইয়াছিলেন বলিয়া শুনা যায়। ঈশ্বরীপুরে বার ওমরার গোর বলিয়া কতকগুলি সমাধি আমীরদিগের গোর বলিয়া কথিত হয় । যুদ্ধে হতাহত হওয়া অসম্ভব নহে। কচু রায় যে মানসিংহের নিকট হইতে যশোরজিং উপাধি পাইয়৷ পিতৃরাজ্য পুনঃপ্রাপ্ত হইয়াছিলেন, একথাও বিশ্বাস করা যাইতে পারে । বংশ শেষ সংঘর্ষ ইসলাম খা চিস্তি ১৬০৮ খৃঃ অন্ধে বাঙ্গলার সুবেদার হইয়া আসেন । ইনি ফতেপুর শিকরীর প্রসিদ্ধ ফকীর শেখ সেলিম চিস্তির পৌত্র, র্যাহার নামানুসারে বাদশাহ জাহাঙ্গীরের সেলিম নাম হয়। নূরজাহানের ভ্রাতা আসক্ষ যা ইসলাম থার দেওয়ান হইয়া আসেন। ইহার