ज्राप्टं বিদেশের কথা ుృt বড় বড় অটোকার দাড়িয়েছিল । নিজেদের টিকিট দেখিয়ে সীট ঠিক করে নিয়ে বসে দেখি সে গাড়ীতে একটি গুঞ্জরাট ছেলে ও মেয়ে যাচ্ছে । ভারী আনন্দ হ’ল দেখে। কাছে গিয়ে আলাপ করবার চেষ্টা করলুম, কিন্তু কিছু স্থবিধা হ’ল না। বিদেশীদের (ইংরেজ ছাড় অবশু ) আমাদের প্রতি কত যত্ন—ভাল সীটুটি ছেড়ে দেওয়া, অযাচিতভাবে সাহায্য করা, আলাপ করবার কত আগ্রহ। অথচ নিজেদের দেশের লোকদের সঙ্গে আলাপ করতে গিয়েও আলাপ করতে পারলুম না ব’লে তখন বড় খারাপ লেগেছিল । কিন্তু পরে জানলাম মেয়েটি ইংরেজী বলে না, তাই ভাল ক'রে কথা বলেনি। যা হোক খানিক পরে আমাদের মোটর ছাড়ল । আমরা তেইশ জন যাত্রী ছিলাম আর একজন প্রদর্শক । সে প্রতি রাস্তার বিবরণ, রাস্তা তৈরির ইতিহাস ইত্যাদি প্রথমে ইংরেজী তারপর ফ্রেঞ্চ তারপর জাৰ্ম্মান ভাষায় বলতে বলতে যাচ্ছিল । পথে একটা প্রকাণ্ড ঝরণা— মোটর থামিয়ে সেখানে গাইড় আমাদের সকলকে নামতে বললে। দু-দিকের দুটো পাহাড়ের গা বেয়ে দুটো ঝরণা একসঙ্গে মিলে ১৮০ ফিট নীচের গভীর খাদে পড়ছে। এত শব্দ যে সেখানে দাড়িয়ে একটা কথাও শোনা যায় না। জলের বাষ্প উঠছে ঠিক ধোয়ার মত— বিন্দু বিন্দু জলের কণায় আমাদের পেট ভরে গেল । চারদিকে ভিজে পাহাড়ের ভিজে গাছের কি একটা মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ, গভীর জলের অবিশ্রান্ত শব, শব্দের ধারায় মন যেন ডুবে যায় । কিন্তু মন ডুবিয়ে বেশীক্ষণ ত কোথাও বসে থাকবার উপায় নেই—মোটরের ধরা-বাধা সময় ; গাইড ঘড়ি দেখে একে একে আবার সকলকে উঠে বস্তে অনুরোধ করলে । সাড়ে এগারটার সময়ে আমাদের গাড়ী একটা রাস্তার ধারের কাফের কাছে এনে দাড় করালে, কেউ যদি চ কফি বা অন্য কিছু খেতে চায়। যতই স্বন্দর বন হোক, যতই নির্জন পাহাড় হোক, ইউরোপের কোনো জায়গায় ঐ কাফের হাত থেকে মুক্তি নেই—এদেশের লোক পরিমাণে খায় কম বটে, কিন্তু একসঙ্গে তিন ঘণ্টা নাখেয়ে থাকা ওদের ধাতে নেই—তাই পদে পদে ওদের খাবার ঘর চাই । বনজঙ্গল ভেঙে ভেঙে অপথ বিপথ দিয়ে কত দূর পাহাড়ে চড়ে চড়ুইভাতি করতে গিয়েছি— গাছের তলায় শুয়ে মনে হচ্ছে কে জানে এ জায়গাটিতে আর কখনও কেউ এসেছিল কি-না। অপূৰ্ব্ব নির্জনতার ঝিম গ্নেশিয়ারের একাংশের দৃষ্ঠ ঝিম্ শব্দে সমস্ত জায়গাট খমথম্ করে। এমন সময়ে হঠাৎ কিছু দূরে মানুষের সাড়া। চমকে উঠে একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি দিব্যি খোলা জায়গায় বড় বড় ছাতার তলায় open-air-cate—রৌদ্রে চেয়ার টেবিল আর ফুলদানী অবধি সাজান—পথশ্রাস্ত ছয়-সাতটি মেয়ে-পুরুষ কেউ কেউ কফি, কেউ কেউ আইসক্রীম খেতে বসে গেছে । নির্জনতার মায়াজাল এক মুহূৰ্ত্তে কেটে যায়—আবার চড়ুইভাতির সরঞ্জাম বয়ে নিয়ে চড়াই মুরু করি, কিন্তু তবু ঐ কাফের মায়াজাল অতিক্রম করতে পারি নি, এমন কতবার হয়েছে। এখানেও মোটর থামতে অনেকে কাফেতে ঢুকলেন । আমরা গেলাম কাছেই একটা পাহাড়ে অনেক তুলোর মত বরফ পড়ে ছিল তাই দেখতে । কিন্তু বরফট। যত কাছে ভেবেছিলাম তত কাছে নয়, বরফ হাতে নিয়ে দু-একটি গোল পাকাতে না-পাকাতেই মোটরের হর্ণ শুনে বুঝলাম যে সময় হয়ে গেছে । বেলা ১টার সময়ে আমরা রোন গ্লেশিয়ারের কাছে এলে মামলাম। মোটর থেকে নেমেই দেখি প্রকাণ্ড রেস্তোর। কালো পোষাক-পরা চাকর-বাকর ঘুরে বেড়াচ্ছে। ८नtषई भमाँ च&गइ श्रम छै*ण-छब्रभानदशैन मिडऊंन so
পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।