ভাত্র হলদীঘাটের যুদ্ধ ও মহারাণ। প্রভাপের শেষজীবন ૭રે છે হঠাইয়া দিয়াছিলেন । জগদীশ মন্দিরের প্রশস্তিকার একটি সুন্দর শ্লোকে ইহা বর্ণনা করিয়াছেন। “কৃত্ব করে খড়গলতাং স্ববল্লভাং প্রতাপ সিংহে সমুপাগতে প্রগে। স। খণ্ডিত মানবতী দ্বিষচমুঃ । সংকোচয়ন্তি চরণে পরাঙমুখী ॥ আবুল-ফজল fiftion, “in the opinion of the superficial the foe was prevailing.” Wosis, স্কুলবৃষ্টিতে মনে হইল শত্র জয়ী হইতেছে। টডের রাজস্থানে হলদীঘাটের যুদ্ধবর্ণনা এবং এ সম্বন্ধে রাজপুতপক্ষের জনশ্রুতিমূলক কথাগুলি প্রায় সাড়ে পনেরো আন মিথ্যা । গৌরীশঙ্করঞ্জী ইহার সারাংশ গ্রহণ করিয়া লিখিয়াছেন — “মহারাণা নীল (শ্বেত) ঘোড়া চেটকের উপর সওয়ার ছিলেন। তিনি কুমার মানসিংহকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহবান করিয়! তাহার দিকে বর্শ নিক্ষেপ করিলেন, কিন্তু বৰ্ম্মে মুরক্ষিত থাকায় মানসিংহ বাচিয়া গেলেন, এমন সময় চেটক সম্মুখের দুই পা মানসিংহের হাতীর মাথার উপর উঠাইয়া দেওয়াতে হাতীর শুড়ে বাধা তলোয়ার লাগিয়া চেটকের পিছনের একটি পা জখম হইয়া গেল। মহারাণা কুমার মানসিংহকে মৃত জ্ঞান করিয়া ঘোড়া পিছু হঠাইলেন।” কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতাপ এবং মানসিংহের আদৌ দেখা হইয়াছিল কি-না সন্দেহ । বদায়ুনী বলেন, মহারাণা,— যিনি মাধোসিংহের মুখোমুখী লড়িতেছিলেন, তীর দ্বারা আহত হইয়াছিলেন । IJ akhma h-i-tir bar Rana ke ru-ba-ru-i-Madho singh bud rasid.* আবুল-ফজল লিখিয়াছেন মোগল হরবিলের অন্যতম সেনানায়ক জগন্নাথ কচ্ছবাহের হাতে মহারাণার হরাবলের অধিনায়ক রামদাস রাঠোর মারা যান ; কিন্তু জগন্নাথের
- Pers. text, i. p. 288. লে সাহেব ইহার ইংরেজী অনুবাদে fosoften “And showers of arrows were poured on the Rana who was opposed to Madho Singh (ii. 230), ইহা অশুদ্ধ, “জখম” শব্দ তিনি বাদ দিয়াছেন। পণ্ডিত গৌরীশঙ্কর লে৷ সাহেবের ভুল অনুবাদের অনুবাদ হিন্দীতে করিয়াছেন ; মূল ফার্সীর সহিত মিলাইরা দেখেন নাই।
জীবন বিপন্ন হওয়াতে পিছনে আলতামশ হইতে মাধোসিংহ তাহার সাহায্যার্থ আসেন ; সুতরাং তাহার সহিত মহারাণার ( যিনি নিজ হরাবলের পিছনে ছিলেন ) সংঘর্ষ হওয়াই সম্ভব। কুমার মানসিংহ যুদ্ধের প্রথম অবস্থায় মাধোসিংহের পিছনে এবং শেষাশেষি তাহার বাম ভাগে থাকিয়া সম্ভবতঃ মহারাণার বিজয়ী দক্ষিণ পক্ষের সেনাপতি রামশার সঙ্গে যুদ্ধ করিতেছিলেন। রামশ তাহার তিন পুত্রের সহিত এ যুদ্ধে মারা যান ; গোয়ালিম্বরের তীবর রাজবংশ নির্বংশ হইল। কিন্তু আবুল-ফজল অন্যত্র লিখিতেছেন,—যুদ্ধের সময় মহারাণ ও মানসিংহ পরস্পর নিকটবৰ্ত্তী হইয়া অনেক বীরত্ব প্রকাশ করেন। বদায়ুনীর চক্ষুষ বর্ণনা উপেক্ষা করিয়া ইহা গ্রহণ করিবার পক্ষে কোন প্রবল যুক্তি নাই। আবুল-ফজলের অপেক্ষ বদায়ূনী কুমার মানসিংহের অনেক বেশী প্রশংসা করিয়াছেন। তিনি লিথিয়াছেন মানসিংহের সর্দারীর দ্বারা সেদিন মোল্ল শেরীর লেখা পদটির প্রক্লত মৰ্ম্ম বুঝা গেল । ( Ke Hindu Shawnsher i-Islam ( solis হিন্দুই ইস্লামের তলোয়ার ) । মহারাণা প্রতাপের সৈন্যের মধ্যভাগ ও দক্ষিণ ভাগের আক্রমণের সম্মুখে কুমার মানসিংহের বাহিনী যখন me-zamad বিচলিত হইয়া পড়িতেছিল, তখনই একটি গোলমাল , উঠিল স্বয়ং বাদশা আকবর আসিতেছেন। বদায়ুন বলেন প্রথম আক্রমণে বাদশাহী ফৌজ হইতে যাহারা পলাইয়াছিল তাহার। নদীর ( বনাস ) অপর পারে পাচ-ছয় ক্রোশ পর্য্যস্ত ঘোড়া দৌড়াইয়। তবেই দম লইয়াছিল। এ সময়ে মোগলবাহিনীর পৃষ্ঠরক্ষী সৈন্যদলের নেত। মেহতর খ। মিথ্যা রব উঠাইলেন যে, স্বয়ং জাহাপনা আসিতেছেন । ইহা বিশ্বাস করিয়া পলাতক সৈন্যেরা ক্রমশঃ জমা হইয়া গেল। এই সৈন্যদল আবার সুশৃঙ্খল করিয়া তিনি মানসিংহের সাহায্যের জন্য ( বোধ হয় বাম পক্ষ হইতে ) সম্মুখে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। এমন সময় মহারাণার বাম পক্ষও মানসিংহের দক্ষিণ পক্ষের সম্মুখে ক্রমশঃ হটিতে লাগিল । এই ভাগের অধ্যক্ষ ঝালাবীদা মার! যাওয়াতে হাকিম খাঁ স্বর পিছু হুটিয়া মহারাণার সৈন্যদলের উপর আসিয়া পড়িলেন। এ অবস্থায় বাদশাহী