९b~ S99áు যে সরাগ অর্থাৎ বাহার রাগ অর্থাৎ তৃষ্ণ, আসক্তি আছে, ৪ ঘে বাঁতরাগ অর্থাং যাহার রাগ নাই, উভয়েই যদি বিযয় ভোগ করে তবে তাহাদের মধ্যে ভেদ কি ? রাজ। মিলিদের মনেও এই প্রশ্ন উঠিয়ছিল । এই সম্বন্ধে ভিক্ষু নাগসেনের সহিত র্তাহার মে আলোচনা হইয়াছিল তাহা এইরূপ :--- রাঞ্জ থলিলেন--ভগবন নাগদেন সরাগ ও বাতরাগের হু কিসে? ‘মহারাঞ্জ, একজন আt: , আt: একসন গুণসম্ভ । ভগবন নাগসেন, আসক্ত ও অনাসক্ত ইঙ্গার মানে কি ? ‘মহারাজ, একজন অর্থ আর একজন তাপী নহে।’ "ভগবন নাগসেন, আমি তে এইরূপ দেখিতে পাই যে সরাগ ও B BBBBS BBBB BBBB BB S BB BBS BBBS BBB BB ও ভোজ্য ইচ্ছা করে না । SBBBBKSB BBK SY SBBB BBB BBS KD K KBB BBBS BBBS BB BB BBBS BBBS BB SBBB BBSBB B BBBB K BBBBBB BBBB BBBB BBB BB BBB BBS BB B স্বাদে কোনো গু{{কাজক্ষণ সন্তু তব করে না ।" আসক্তিই যখন দুঃখের, অশাস্তির, অকল্যাণের মূল, আর আসক্রির ত্যাগই সুখ-শান্তি-কল্যাণের মল, তখন কোন পথ দিয়৷ আমাদিগকে চলিতে হঠবে তাত স্থির করা মোটেই শক্ত নচে । তখন সাহিত্যিক নিজের সাহিত্য-সঙ্গীতকে কোন স্বরে বাধিবেন তাহাও জন কঠিন নঃে । পাঠকের চিত্তে উত্তরে ওঁর অধিক অধিকতর থাকে তিনি তাই ই করিবেন, অথবা পাঠকের চিত্তে পূৰ্ব্বে আসক্তি থাকিলেও সাহাতে তাই ক্রমশ কম হইয়৷ তিরোহিত হইয়। যা তাহাই তিনি করিবেন ? সেই চিরস্তনদের কথা মনে করিয়া প্রশ্ন করিতে ইচ্ছা হয়, তিনি কি নিজের সাহিত্য-রচনার দ্বারা পাঠকগণকে এমন ইঙ্গিত প্রদান করিবেন যে, সীতার প্রতি রাবণের যে ভাব ছিল তাহাই অনুসরণ করিতে হইবে,অথবা তাহার রচনার ইঙ্গিত এরূপ হইবে যে, সেই ভাব পরিত্যাগ করিতে হইবে ? একটি শ্লোক বলিতে চাই । আজকালকার ইস্কুলের ছেলেদের অনেকে ইহা জানে। শ্লোকটি পুরাতন, কিন্তু তা বলিয়া ইহার প্রয়োজনীয়তা নষ্ট হয় নাই । স্বৰ্য্য কত পুরাতন বলা যায় না, তবুও ইহা এখনও অকেজো হয় নাই ( —য*ও বৈজ্ঞানিকের আমাদের ভয় দেখাইয়াছেন যে ফালে নাকি তাহাও হইবে । শ্লোকটি এই – সুহাতে আসক্তির তরঙ্গ ভাবে উদ্বেল হইয়। উঠিতে আপদাং কপি ঠ; ইপ্রিয়াণামসংযমঃ। তৰ্জ্জয়ঃ সম্পদা; মার্গে পেলেষ্টং তেন গম্যতাম্ ॥ ‘ইন্দ্ৰিয়ের অসংযম বিপদের পথ, তার ইঞ্জিয়ের জয় সম্পদের পথ । ঘে পথে ইচ্ছা হয় সেই পথেই চল । কাহারও ভাল করিতে পারা গেলে তাই খুবই ভাল, পরম সৌভাগের বিষয় ; কিন্তু তাহ যদি সম্ভব ন-ই হয়, অন্তত এইটুকু দেখা দরকার যে, কাহারে মন্দ ন! হয়। এক একটি কার্য্যের ফল এত বিস্তৃত যে, অনেক সময়ে, অনেকের পক্ষে তাহ। ভাবিয়া দেখা সম্ভব হয় না । কেহ কাহারও ঘরে আগুন লাগাইয়া দেয়, ইহাতে তাহাব বেশ সময় বা বেশী শ্রম আবশ্যক হয় না ; কিন্তু তাহার ফলট অপর লোকের নিকটে কিরূপ ভীষণ হয়, তাহা সহজেই ভাবিয়া দেখিতে পার। থায় । ক্রিয়ার ফলটি যদি সেই ক্রিয়ার কৰ্ত্তাতেই আবদ্ধ থাকে তো কিছু বলিবর প্রয়োজন ন হইতে পারে, কিন্তু যখন তাহার সঙ্গে অনেকের সম্বন্ধ থাকে, তখন তাহা করিবার পূৰ্ব্বে কৰ্ত্তাকে অগ্র-পশ্চাৎ সমস্ত ভাবিয চিন্থিয় কৰ্ত্তব্য স্থির করিতে হয় । - ধ্বংস সহজেই হইতে পারে, কিন্তু স্মৃষ্টি তেমন সহজ নহে । কোনো সেতুকে এক নিমিষে ভাঙ্গিয় চুরিয়া শেন করিয়া দিতে পায় যায়, কিন্তু তাহ বন্ধন করিতে বিশেষ প্রয়াস অবশ্যক হয়। ঘরখানা ভাঙিয়। ফেলাই যদি মুখ্য উদেখা হয় তবে তাহ, করিতে পারা যায়, কিন্তু ঐ উদ্বেশ্ব স্থির করিবার পূৰ্ব্বে থাকিবার ব্যবস্থােট। কি তাহাও ভাব। দরকার । সংস্কারের খুবই প্রয়োজন আছে, কিন্তু তাহার নামে যদি মূলেরই উচ্ছেদ হয় তবে সে বড় ভয়ের ও ভাবনার কথা । সংস্কারের উদ্দেশ্য ভাল করা, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই ; কিন্তু তাহাতে বস্তুত ভাল হইবে কি না, সংস্কার আরম্ভ করিবার পূৰ্ব্বে ইহা শাস্ত ও গভীর ভাবে বহুবার চিন্তা করিয়া দেখিতে হইবে । সাহিত্যিকগণ নিজ নিজ সাহিত্য সৃষ্টির পূৰ্ব্বে ইহা ভাবিয়া দেখিতে পারেন। “। স নো বুদ্ধ্যা শুভয় সংযুনত্ত ॥” তিনি আমাদিগকে শুভ বুদ্ধি দান করুন! “। স্বস্ত্যন্তু বিশ্বস্ত ॥” বিশ্বের কল্যাণ হউক * বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ মেদিনীপুর শাখার উনবিংশ স্বাধিক অধিবেশনে সভাপতির অভিভাষণ, ফাঙ্কন, ১৩৩৮ । $
পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।