|[... দেশীয় সাময়িক পত্রের ইতিহাস ১৮২৩–১৮৩৫ সেপ্টেম্বর শ্রীব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপধ্যায় মুদ্রিত যে-সকল পুস্তক, পুস্তিক বা সাময়িক পত্রে সংবাদ, সরকারী আইন ও বিচারপদ্ধতির এবং রাষ্ট্রীয় ব্যাপারের সমালোচনা থাকিত, কেবল তাহীদের জন্ত ১৮২৩ সালে নুতন আইন স্বষ্টি হইল। এই আইন অনুসারে কোন সাময়িক পত্র বাহির করিবার পুৰ্ব্বে স্বত্বাধিকারী, মুদ্রাকর ও প্রকাশককে সরকারের নিকট হইতে লাইসেন্স বা অনুমতি লইতে হইবে, এইরূপ নির্দেশ করা ছিল ।... ১৮৩৫ সনের ৫ই সেপ্টেম্বর স্তর চালর্স মেটকাফ সাময়িক পত্রের স্বাধীনতা বিরোধী সকল বিধি তুলিয়া দেন। স্বতঃংি ১৮২৩ সনের এপ্রিল হইতে ১৮৩৫ সনের মাঝামাঝি—এই বারো বৎসরের মধ্যে যে সকল সাময়িক পত্রের উদ্ভব হয়, তাহীদের নামধাম সরকারী দপ্তর হইতে সংগ্রহ করা যায়। অবহু যে-সব কাগজে সংবাদ বা রাষ্ট্ৰীক আলোচনা থাকিস্ত না, তাহীদের লাইসেন্স লইতে হইত না, স্বতরাং তাঙ্কাদের নামধাম সরকারী দপ্তরে গাইবাস কথা নয় ... ১ । সম্বাদ তিমিরনাশক-কলিকাতার ৪০ নং মীর্জাপুর হইতে এই বাংলা সংবাদপত্রথলি প্রকাশ করিবার জন্ত কৃষ্ণমোহন দাসকে সরকার ১৮২৩ সনের ২১এ আগষ্ট লাইসেন্স মঞ্জুর করেন। পরবত্ত অক্টোবর মাসে ( কাৰ্ত্তিক ১২৩৮ ) কাগজখানি প্রকাশিত ॐ १... ‘সম্বাদ তিমিরনাশক রক্ষণশীল দলকে সৰ্ব্বদাই তুষ্ট করিবার চেষ্টা করিত, এবং যখন তখন উদারপন্থীদের উপর গালিগালজি বর্ষণ করিতে ক্রটি কল্পিত না। ১৮৩৭ সনের পূৰ্ব্বেই কাগজখানির মৃত্যু হয়। ২ । বঙ্গদূত ইহার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়—১৮২৯ সনের ১.ই মে তারিখে। পরবর্তী ২৩শে মে তারিখের ‘সমাচার দর্পণে দেখিতেছি,— ‘পুতন সমাচার প্রকাশ। মোং বাশতলার গলির মধ্যে হিন্দু হরল্ড অর্থাৎ বঙ্গদূত প্র্যে নামক এক নুতন ইংরেজী বাঙ্গল ও পারসী ও নাগরী সমাচার গত রবিবারবিধি প্রকাশ হইতে আরস্ত হইয়াছে ইহার সম্পাদক শ্ৰীযুত আর এম মার্টিন সাহেব ও শ্ৰীযুত দেওয়ান রামমোহন রার ও শ্ৰীযুত দেওয়ান দ্বারকানাথ ঠাকুর ও শ্ৰীযুত দেওরান প্রসন্নকুমার ঠাকুর ও খ্ৰীযুত বাবু রাজকৃষ্ণ সিংহ ও শ্ৰীযুত বাবু রাধানাথ মিত্র এই কএকজনে একত্র হইয়াছেল এই কাগজ প্রতিরবিবারে প্রকাশ হইতেছে... " বঙ্গদূতের প্রত্যেক সংখ্যার দুই-তিন পৃষ্ঠ। ফার্সীতে লিখিত।... বঙ্গদূতের সম্পাদক ছিলেন—স্বপণ্ডিত নীলরত্ব হালদার।...কিছুদিন পরে গেলানাথ সেন ইহার পরিচালন-ভার গ্রহণ করেন। ইহার জষ্ঠ ণ্ঠাহাকে ১৮৩৯, ১৩ই এপ্রিল তারিখে সরকারের নিকট হইতে লাইসেন্স লইতে হইয়াছিল । & ভোলানাথ সেনের মৃত্যু হইলে, মহেশচন্দ্র রায় অল্পদিন কাগজখানি চালাইয়। বন্ধ করিয়া দেন । ৩। শাস্ত্র প্রকাশ–১৮৩০ সনের জুন মাসের মাঝামাঝি এই সাপ্তাহিক পত্রপানির আবির্ভাব হয় ; ইহা প্রতি বুধবারে প্রকাশিত হইত। শাস্ত্র প্রকাশে কেবলমাত্র শাস্ত্রীয় আলোচনাই স্থান পাইত । লক্ষ্মীনারায়ণ স্থায়ালঙ্কার ইহা প্রকাশ করিতেন । ৪ । সংবাদ প্রভাকর—কবিবর ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত-সম্পাদিত ‘সংবাদ প্রভাকর ১৮৩১ সনের ২৮এ জানুয়ারি ( ১৬ মাখ, ১২৩৭ ) সাপ্তাহিক সমাচারপত্ররূপে প্রথম উদয় হয় ।... ‘সংবাদ প্রভাকর প্রকাশে পাথুরিয়ানাটার যোগেন্দ্রমোহন ঠাকুর প্রধান উদ্যোগী ছিলেন।... প্রায় দেড় বৎসর চলিবার পর ১৮৩২ সনের ২৫এ মে ( ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১২৩৯ ) তারিখে ৬৯ সংখ্য প্রকাশের পর ইহার প্রচার বন্ধ হইয়। शांग्न । চারি বৎসর পরে, ১৮৩৬ সনের ১০ই আগষ্ট (২৭ শ্রাবণ ১২৪৩ ) সংবাদ প্রভাকর পুনঃপ্রকাশিত হইল : সাপ্তাহিকরূপে নহে,-- বারব্রয়িক রূপে !... এইভাবে তিন বৎসর চলিবার পর ১৮৩৯ সনের ১৪ই জুন ( ১ আষাঢ় ১২৪৬ ) তারিখ হইতে ‘সংবাদ প্রভাকর দৈনিক সংবাদ পত্রে পরিণত হয় । বাংলা ভাষায় ইহাই সৰ্ব্বপ্রথম দৈনিক ংবাদপত্র ... দেশ-বিদেশের সংবাদ ছাড়া, সংবাদ প্রভাকরে ধৰ্ম্ম সমাজ সাহিত্য প্রভৃতি নানা বিধয়ের আলোচনা থাকিত । সেকালের গণ্যমাপ্ত ঋক্তিরা এই সংবাদ প্রতীকরের লেখক ছিলেন, যেমন-রাজা রাধাকান্ত দেব, জয়গোপাল তর্কালঙ্কার, প্রসন্নকুমার ঠাকুর, রামকমল সেন । সাহিত্য-সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র, নাটাকার দীনবন্ধু মিত্র প্রভৃতি অনেকের বাল্যরচনা সংবাদ প্রভাকরে প্রকাশিত হইয়াছিল।... ১২৬৯ সালের বৈশাখ (১৮৪৩ ) হইতে প্রভাকরের একটি মাসিক ংস্করণ বাহির হইতে আরস্ত হইয়াছিল ।... সংবাদ প্রভাকরের সহকারী সম্পাদক ছিলেন-প্তামাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় । গুপ্ত-কবির অনুপস্থিতিতে তিনিই সম্পাদকের কার্য্য করিতেন ।... ১৮৫৯, ২২এ জামুরারি ( ১০ মাঘ ১২৬৫ ) ঈশ্বরচন্দ্র গুগু পরলোকগমন করিলে উাহার অমুজ রামচন্দ্র গুপ্ত সংবাদ প্রভাকরের সম্পাদক হন। কাগজখানি দীর্ঘকাল স্থায়ী হইয়াছিল। ৫ । সম্বাদ সুধাকর—“কাচড়াপাড়া নিবাসী বৈদ্যফুলোস্তব” প্রেমচাদ রায়ের সম্পাদকত্বে ১৮৩১, ২৩এ ফেব্রুয়ারি (১৩ ফাল্গুন ১২৩৭) তারিখে ‘সম্বাদ সুধাকর'-এর প্রথম আবির্ভাব। সম্বাদ সুধাকর অনেকটা মধ্যপন্থী ছিল—এই পত্রিকার গুস্ত
পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।