পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\S)3 • હૈં பின் S99áు খুলিয়া পা টিপিয় টিপিয়া দুইট চোর সুপ্তপুরী হইতে বাহির হইয়৷ ঘাটের উপর নৌকায় উঠিল, রাজবাড়ির কেউ তা জনিল না । ফিফা কথাবাৰ্ত্ত।.স্বচ্ছ মেঘের অীড়ালৈ চাদ মৃদু মুকু হাসিতেছিল.শব্দ হুইবার ভয়ে দড়ি ও নামায় নাই. এমনি বাতাসে বাতাসে মযরপন্থী মাঝদীনি অবধি ভাসিয়া চলিল--- ভাসিতে ভাসিতে দূরে—বহুদূবে—শতাব্দীর আড়ালে কোথায় তাহারা ভাসিয়া গিয়াছে ! - ভাবিতে শঙ্করের ভাবিতে কেমন ভয় করিতে লাগিল । গভীর নির্জনতার একটি ভাষা আছে, এমন জায়গায় এমনি সময় আসিয় দাড়াইলে তবে তাত স্পষ্ট অন্তভব হয় । চারিপাশের বনজঙ্গল অবধি ঝিম-ঝিম করিয়া মেন এক অপূৰ্ব্ব ভাষায় কথা কহিতে আরম্ভ করিয়াছে । ভয় হইল, আবও কিছুক্ষণ সে যদি এখানে এমনি ভাবে চুপ করিয়৷ দাড়াইয় থাকে জমিয়া নিশ্চয় গাছের গুড়ির মত হইয় এই বনরাজ্যের একজন হষ্টয়া যাইবে ; আর নড়িবার ক্ষমত থাকিবে না। সহসা সচেতন হইয় বারম্বর সে নিজের স্বরূপ ভাবিতে লাগিল, সে সরকারী কৰ্ম্মচারী . তার পসার-প্রতিপত্তি ভবিষ্যতের আশ|-মনকে ঝ"াক দিয়া দিয়া সমস্ত কথ। স্মরণ করিতে লাগিল। ডাকিল— অমিন মশাই – ভজহরি কহিল—সন্ধো হয়ে গেল হুজুর” --घांछ् ि ক্যাম্পের কাছাকাছি হইয়। শঙ্কর হাসিয়া উঠিল । কহিল-ডাকাত পড়েছে নাকি আমাদের তাঁবুতে ? বাপ রে বাপ –এবং হাসির সহিত ক্ষণপূর্বের অনুভূতিটা সম্পূর্ণরূপে উড়াইয়া দিয়া বলিতে লাগিল—চুরুট টেনে টেনে ত আর চলে না--স্থ কে-কলকের ব্যবস্থা করতে পার আমিন মশাই, থাটি স্বদেশী মতে বসে বসে টানা যায়-- অমিন ও ভাসিয়া বলিল—অভাব কি ? মুখের কথা ন বেরুতে গা'র থেকে বিশটা রূপেরিাধ। ভুকে এসে হাজির হবে, দেখুন না--- গ্রামের ইতর-ভদ্র অনেকে আসিয়াছিল, উহাদের দেখিয়া তটস্থ হইয়া সকলে একপাশে সরিয়া দাড়াইল । মিনিট-দশেক পরে শঙ্কর তাবুর বাহিরে আসিয়া মামলার বিচারে বসিল। বলিল –মুখের কথায় হবে না কিছু, আপনাদের দলিলপত্তোর কার কি আছে দেখান একে একে--ধনঞ্জয় চাকলদার আগে আক্ষন— ধনঞ্জয় সামনে আসিল । কোঠির মত জড়ানো একথান লম্ব হলদে রঙের কাগজ, কালে ছাপ-মার, পোকায় কাটা, সেকেলে বাংলা হরপে লেখা। শঙ্কর বিশেষ কিছু পড়িতে পারিল না, ভজহরি কিন্তু হেরিকেনটা তুলিয়া ধরিয়া অবাধে আগাগোড় পড়িয়া গেল । কে একজন দয়ালকৃষ্ণ চক্ৰবৰ্ত্তী নামজাদ রাজারামের গড় একশ বারে বিদ নিষ্কর জায়গা-জুমি মায় বাগিচা পুষ্করিণী তাঁরণচন্দ্র চাকলাদার মহাশয়ের নিকট সুস্থ শরীরে সরল মনে খোসকোবলায় বিক্রয় করিতেছে । শঙ্কর জিজ্ঞাসা করিল--ঐ আপনার কেউ হবেন বুঝি, ধনঞ্জয় বাবু ? তfরণচন্দ্র চাকলাদার ধনঞ্জয় সোৎসাহে কহিতে লাগিল—ঠিক ধরেছেন হুজুর, তারণচন্দোর আমার প্রপিতামহ, পিতামহ হ’লেন কৈলেসচন্দোর-—তার বাব| তিরাশী সন থেকে এই সব নিষ্করের সেস গুণে আসছি ক'লেক্টরীতে--গুডিভ সাহেবের জরীপের চিঠে রয়েছে । কবলার তারিগট একবার লক্ষ্য ক’রে দেখবেন হুজুর-- আরও অনেক কথা বলিতে যাইতেছিল, কিন্তু উপস্থিত অনেকে না ন!—করিয়া উঠিল । তাহারাও রাজারামের গড়ের মালিক বালয় নাম লেখাইয়াছে, এতক্ষণ অনেক কষ্টে ধৈর্য্য ধরিয়া শুনিতেছিল, কিন্তু আর থাকিতে পরিল না । ধমক খাইয়া সকলে চুপ করিল। শঙ্কর ভজহরিকে চুপিচুপি কহিল--তুমি ঠিকই লিখেছ, চাকলাদার আসল মালিক, আপত্তিগুলো ভূয়ো—ডিসমিস করে দেব ভজহরি কিন্তু সন্দিগ্ধভাবে এদিক-ওদিক বার-দুই ঘাড় নড়িয়া বলিল—আসল মালিক ধরা বড় শক্ত হয়ে’ দাড়াচ্ছে হুজুর— —বারো-শ উনিশ সনের পুরাণে দলিল দেখাচ্ছে যে— ভজহরি কহিতে লাগিল—এখানে আটঘরা গ্রামে § একজন লোক রয়েছে, ন-সিকে কবুল করুন তার কাছে