૭છે8 S99áు বিশিষ্টতাটিকে বহু অশৃঙ্গলের নিযেক দিয়! সে লালন করে । গোপনে তা জ চতুদিকে আনন্দ যখন মনোহরণ রূপ লইয়। দেখ দিছে তখন সামান্ত একটি কথার স্ত্র ধরিয়াই তাহার বহুকালের এই অভ্যস্ত বৈরাগে অতি গভীর সংশয়ের একটা দোল লাগিল ! এই ত একটু আগে নিজেরই মধ্যে নিজের আশ্রয় সে বসিয়াছিল, তাহার মধ্যে পরিচিত সুন্দর যে-আমিটি পৃথিবীর সঙ্গে নান মধুর সম্পর্কের বন্ধনে তাহার ঈদয়-মনকে বাধিস্থ ছিল, বারম্বার পীড়িত হইয়া, বঞ্চিত হইয়া, উপবাসে ক্লিষ্ট হইয়াই কি সে আজ তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া যাইতে চাহিতেছিল ? যে-শূন্যত, যে-অন্ধকারের সঙ্গে মহাভয়ের মধ্য দিয়া একটু আগে তাহার পরিচয় ঘটয়াছে, সেইদিকে মুখ ফিরাইবার সাহস কি তাহার আছে ? আর সেদিক্ হইতে কি সে পাইতে তাtশ। করে ? আজ এই যে সৌন্দৰ্য্য-লোকের ডাক আসিতেছে, শোভায়ু-সঙ্গীতে-সৌজন্যে জীবনের বিচিত্র মাধুৰ্য্য দিগন্তে জ্যোতিৰ্ম্ময় মায়ালোক রচনা করিতেছে, সেইদিকু লক্ষ্য করিয়াই কি সে চরিতার্থতার তারে উত্তীর্ণ হইবে না ? ঐখানে যতখানি পাওয়া সম্ভব এজীবনে তাহার বেশ কি আর সে পাইতে আশা করিতে পারে ? স্বলতা কহিলেন, “অজয়বাবু, চলুন, আপনার পরিচয় .ক’রে দিই ।” পরিচয় কাহার সঙ্গে তাহা বোঝা কিছুই কঠিন ছিল ন, অজয়ের বুকের মধ্যটা দুলিয়া উঠিল । অন্য সময় হইলে সে কোনওপ্রকারে এড়াইত, কিন্তু আজ কোনওকিছুকে বাহির হইতে প্রত্যাখ্যান করিয়৷ ফিরাইবে ন৷ ঠিক করিয়াছিল, তাহ ছাড়। স্বলতার সৌজন্যে সত্যই সে মুগ্ধ হইয়াছিল, মুথ ফুটিয়া তাহাকে 'না' বলাও তাহার পক্ষে সম্ভব ছিল না । জরীর পাড় বসানো শাদা গরদের জামার উপর জরীপাড় সাদা মান্দ্রাজী শাড়ী সেই-দেশীয় ধৰণে পরিয়া বেতের চেয়ারে দেহ এলাইয়া বীণা বসিয়াছিল, অজয় আসিতেছে বুঝিতে পারিয়া সোজা হুইয়া উঠিয়া বসিল । হারাইতে তাহার আশৈশবের তাহার দেহের লাবণ্য-চুয়ানো দুইটি লোহিতাভ পাথরের ফুল দুটি কানে অতি, মৃদু দুলিতেছিল, সে যে কি পাথর অজয় তাহ জানে না । গলায় সরু সোনার স্থতায় সেই পাথরেরই একটি দুলুনি, হাতে সেই পাথর বসানো দুগাছ মাত্র সোনীর কঙ্কণ । বাণার সম্বন্ধে ছোয়াচ অজয়কেও একটু লাগিয়াছিল, স্থলতার পরিচয় দেওয়ার উত্তরে সে কিছুই বলিল না, শুধু নীরবে একটি নমস্কার করিয়া একপাশে দাড়াইয় রহিল । বীণ। দুটি হাতকে কপালে ঠেকাইয়া নত হইয়। তাহাকে প্রতিনমস্কার করিল । গুলত একটা কোন কাজের অজুহাতে অতি-সন্তপণে সেখান হইতে সন্ধিয় গেলেন । বাণ কহিল, “স্বভদ্রবাবু বলছিলেন, আপনি একজন মেয়ে-বিদ্বেষী, আমাদের ক্লাবে আসতে কিছুতেই রাজী নন। সেই থেকে আপনাকে ধরে নিয়ে আসবার জন্যে রোজ তাকে জালাচ্ছি।” অজয়ের মাথার মধ্যেটায় সব কেমন ওলট-পালট হইয়া গেল, কোনওরকমে নিজেকে সম্বরণ করিয়া কহিল, “ও তাহলে দুদিক্ দিয়েই আমার প্রতি অবিচার করেছে। প্রথমতঃ আমার এতদিন না-আসার কারণটা ঠিক ক’রে আপনাকে বলেনি, তারপর আমাকে ধ’রে নিয়ে যাবার পরোয়ান যে আপনার কাছ থেকে পেলেছে তা একবারং আমাকে বলেনি ।” বীণ কহিল, “বলেননি আমারই মান বাচাতে । পরোয়ান পেলেই যে আপনি এসে হাজির হতেন আপনাকে ত একটুও সেরকম মনে হচ্ছে না।” অজয় কহিল, “আমাকে দেখবা-মাত্রই আমার স্বভাবের অনেকখানি পরিচয় আপনি পেয়েছেন দেখছি ।” গলার স্থর একটুখানি নামাইয়া বিদ্যুদুজ্জল চঞ্চল চোখ-দুইটিতে হাসি ভরিয়া বীণা বলিল, “আমারও অনেকখানি পরিচয় আমাকে দেখবা-মাত্রই কি আপনি আজ পাননি বলতে চান ?” বীণার গলার স্বরে, কথা বলার ভঙ্গিতে কি ছিল, অজয়ের ভয়ের ভাবট। অনেকখানিই হঠাৎ কাটিয়া গেল, কহিল, “আজ না পেয়ে থাকি, ক্রমে পাব আশ। করি ।” ভয়ের
পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।