পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাত্র বীণা কহিল, "আশা করবার দরকার হবে না, আমার রচয় এমনিতেই যথেষ্ট পাবেন । , বীণা যেখানে বসিয়াছিল সেখানে আর বসিবার &সন পালি ছিল না। একপাল মেয়ের কৌতূহলসুর সম্মুখে অজয়কে দাড় করাইয়ু প্লাথিয়া আর প্ৰশীক্ষণ গল্প করা চলে না দেখিয় সে ও উঠিয়৷ ড়িল কহিল, “ভিতবে সত্যিই পূব গরম নয়? চলুন iছরে গিয়ে একটু বেড়ানো ধাক ৷” মন্ত্রমুগ্ধের মত অজয় তfহার অনুসরণ করিল। },বমুদ্ধ মাতৃৰ তাঙ্গাকে লক্ষ্য করিতেছে একথা একবার স ভবিলণ্ড ল । বাহিরে গাড়ী-বারানদার ছাতে দুষ্ট জনে পাশাপাশি বঢ়াইতে বেড়াইতে বক্তক্ষণ কেহ কোনও কথা খুজিয়। সাইল না । নীরবতা ক্রমে অসহ - ক্লাবেরই প্রসঙ্গ তুলিল । এই অত্যন্ত্র সময়ের মধ্যেই সে বুঝিয়াছিল, কোনও-ন-কোনও রকমে এখানকার সব-কয়টি মানুষের দখিয়। তা জয় অবশেষে মঞ্জি সম্পর্কে এই মেয়েটি এই ক্লাবের একেবারে মৰ্ম্মস্থান আছে । এখন দেগিল, ক্লাবটিকে বীণা চিন্তাক্ট করে নাই, সে কেবল এবং অত্যন্ত নিবিড় করিয়া এই মানুষ-ক’টিকেই সে অনুভব করিয়াছে। ক্লাবের উদশু। কার্য্যপদ্ধতি কি অজয় তাহ! মানিতে চাওয়াতে সে কহিল, “জনি না । ওরা সব একদিন ব’সে কি-সমস্ত ঠিক করেছিল, আইন-কানুনগুলোর কবি ন-কপিও একটা আমাকে দিয়েছিল। প’ড়ে সমি এত বেশী হেসেছিলাম যে একমাত্র তাইতেই খ্ৰীষণ দ’মে গিয়ে আর কখনও অন্ততঃ আমার কাছে সে-বিষয়ে কেউ কিছু বলেনি। ত্যামি ওদের বলেছি, আইন-কাল্গুন চুলোয় যাক, সম্প্রতি ক্লাবটিকে টিকিয়ে রখাটাই সকলের সবচেয়ে বড় উদ্দেশু হওয়া উচিত। তারপর আমরা এখানে কি করব না-করব, নানা অবস্থার শ:ধ্য পড়ে নিজেদের রুচি এবং প্রয়োজন অতুসারে ঠিক ক'রে করে নেব। আজকের নিয়ম কাল চলতে * ব, আজকের যা উদ্দেশ্য ত কালও বজায় থাকতে হবে, অধিকার করিয়; কৃ{ব বলিয়া মাতৃম-ক’জনকে জালে ب : "Tگان শৃঙ্খল ుఫి{t এর কিছু মনে হয় না ... আচ্ছা, আপনার কি মনে হয় না, মানুষ নিজের ওপর যখন আস্থা হারায়, তখনই নিজেকে বধিবার জন্তে নিয়ম গড়তে বসে ?” অজয় বলিতে পারিত, অনিয়মের নিয়ম ব্যক্তিজীবনে চলতে পারে, সমষ্টিগত জীবনের পক্ষে তা অচল, কিন্তু তাহার পরিবর্কে একটুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয় বলিল, “কিন্তু নিজেরও গড় নিয়মকে মানতে পারব, নিজের উপর এই গভীরতর অস্থা না থাকলে মাতুষ নিয়ম সাধতে পারে না, এ কথাটাও ভাববেন ।” চোখের কোণে চকিতে অজয়কে একটু দেখিয়া লইয়া বীণা কহিল, “কথাটাকে সেদিক দিয়ে আমি কথন ও ভাবিনি । আচ্ছা, ভেবে দেখব ।" তারপর গম্ভীর হইয়া গেল । অজয়ের সেই মুহূর্কে মনে হইতে লাগিল, তাহার কথাটকে সে ফিরাইয়। লয় । বলে, ‘ন, তোমার তোমার অস্তিষ্ট্রের ভেবে দেখে ক{জ নেই । মধ্যে তুমি যে সুন্দর অনিয়মের সহজ নিয়মটিকে বহন করছ, নদীস্রোতের মত অবাধগতিকে শৃঙ্খলিত কর যদি তবে পুথিবীর সমস্ত অন্তরাত্মা হঠাৎ একদিনে শুকিয়ে উঠবে।’ এঞ্জীবনে প্রায় জীবনাৰ্তাত কোন দুর্লভ ব্রতফল আশা করিয়৷ নিজেকে নিজের গড় সহস্ৰ নিয়ম-সংযমের নাগপাশে সে যে অষ্টেপুষ্টে বাধিয়াছিল, সেইখান হইতে তাহার ক্লিষ্ট অস্থর যেন আৰ্ত্তকণ্ঠে বলিতে চাহিল, ‘নিয়ে চল, তুমি আমাকে নিয়ে চল । ঐ যেখানে তোমার অস্তরের স্বাভাবিক সৌন্দর্য্যের মধ্যে তোমার অপরিসীম সেইখানে নিয়ে গিয়ে আমাকেও তুমি মুক্তি তার মুক্তি, দী ও ’ এবারে নীরবতা বীণার অসহ হইল, কহিল, "চলুন এবার ভেতরে গিয়ে বসা যাক। নয়ত স্বভদ্রবাবু এখুনি আবার পেয়াদা পাঠাবেন আমাকে ধ’রে নিয়ে যাবার জন্তে ।” অজয়রা ফিরিয়া ভিতরে প্রবেশ করিবামাত্র সিড়ির দরজার বাহিরে হঠাৎ অনেকগুলি শিশুকণ্ঠের কোলাহল ধ্বনিত হইয়া উঠিল । "মা-পিসীমা..এদিকে এসে না ...আমাকে নিয়ে যাও...আমাদের খেলা করা হয়ে গিয়েছে 3.