পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. ఏ99áు ধ্যান, অহোরাত্রবিদ্যা, অধাত্ম-অধিদৈব-অধিযজ্ঞবাদ, দেবতাপূজা, পিতৃপূজা, ভূতপূজা, যক্ষপূজ, পত্রপুষ্পফলজল ইত্যাদি উপচারে পূজা, মন্ত্র, ঔষধ, রাজবিদ্যা । গীতায় শীরুষ্ণের উক্তিসমূহ বিচার করিলে অল্পমান হয় যে, তখনকার দিনে যজ্ঞেরই সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক প্রচলন ছিল এবং যজ্ঞকার্স্যে নানা রাজসিকতা ও তামসিকতা প্রবেশ করিয়াছিল । এই জন্যই কি করিয়া নিষ্কামচিত্তে যজ্ঞ আচরণ করিতে হইবে শ্ৰীকৃষ্ণ বার-বার তাঙ্গর উল্লেখ করিয়াছেন । দান ও অপব্যবহার লক্ষিত হইত। শ্ৰীকৃষ্ণ দান, তপকে চিত্তশুদ্ধির উপায় বলিয়াছেন ও দোষ পরিহারের জন্য সাত্ত্বিকভাবে আচরণের উপদেশ দিয়াছেন । ধাগ যুজ্ঞ দান ধানের আচরণ প্রধfন সাধন হিসাবে তখন হইতে এখন পর্য্যন্ত চলিয়া আসিয়াছে। এইজন্য এই কয়টি কথার একত্র সমাবেশ দেখা যায়। পূজা অৰ্চন সমধিক প্রচলিত ছিল না । শ্রীকৃষ্ণ মাত্র এক শ্লোকে তাহার কথা শেষ করিয়াছেন । হঠযোগ প্রাণায়াম ইত্যাদিরও বিশেষ প্রচলন ছিল বলিয়। মনে হয় । এখনকার মত তখনও কেহ কেহ ধৰ্ম্মানুষ্ঠান না করিয়া পড়াশুনা লইয়াই থাকিতেন। তখনকার দিনে এমন কতকগুলি মার্গের প্রচলন ছিল যাহা এখন বিলুপ্ত হইয়াছে, যথা অহোরাত্র বিদ্যা। তখনও লোকে ভূতপ্রেতের পূজা করিত। আশ্চয্যের বিষয়, ‘অহিংস পরম ধৰ্ম্ম’ এই কথা গীতায় নাই। জৈন ও বৌদ্ধবাদ সাধারণের মধ্যে প্রচলিত ছিল বলিয় মনে হয় না। যে-গীতাকার ভূতপ্রেত পূজাও বাদ দেন নাই, তিনি যে লোকপ্রচলিত থাকিলে এত বড় একটা কথা বাদ দিবেন, তাহা মনে হয় না। ১৬২ গ্লোকে অহিংসা, সত্য, আক্ৰোধ, ত্যাগের পর পর উল্লেখ আছে এবং ইহাদিগকে শাস্তি, পরনিন্দাবর্জন ইত্যাদি গুণের সহিত দৈবী সম্পদের অন্তভূক্ত করা হইয়াছে। বৌদ্ধ উপদেশের মধ্যেও অহিংসা, সত্য, অক্রোধ, ত্যাগের পর পর উল্লেখ দেখা যায়। গীতাকারের মনে এই সম্পর্কে বৌদ্ধধর্থের কথা উঠিয়াছিল কি না বলা যায় না তিলক বলেন, বৌদ্ধগ্রন্থের এই সব কথা হিন্দু ধৰ্ম্মশাস্ত্র হইতে লওয়া হইয়াছে। বৈষ্ণব ধর্থের অভু্যদয়ের তপস্তারও যজ্ঞ, সঙ্গে ভজন নামগান ইত্যাদির বহুল প্রচার হইয়াছে । গাতায় এ সকলের উল্লেখ নাই । ব্ৰহ্মলাভের দুই উপায় –ব্রহ্মলাভের দুই প্রকার উপায় প্রচলিত আছে । এক সাংখ্য ও অপরটি যোগ । সাংখ্যযোগ বা সংক্ষেপে সাংখা, কৰ্ম্মযোগ ব! সংক্ষেপে যোগ—এই দুই শব্দের উল্লেখ গীতার বহুস্থানে দেখিতে পাওয়া যায়। সাংখ্যযোগ, কৰ্ম্মযোগ, জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ, বুদ্ধিঘোগ ইত্যাদিতে যে “যোগ” শব্দ আছে তাহার অর্থ উপায় বা প্রয়োগ । ভক্তিযোগ অথ*ং ভক্তি যেখানে সাধনের উপায়, ইত্যাদি । এই হিসাবে হঠযোগ ইত্যাদি যোগরূপ বিশেষ মার্গকে যোগ-যোগ বলা যাইতে পারে, যদিও একথার প্রচলন নাই । গীতাকার সাংখ্য এবং যোগ শব্দে ঠিক কোন কোন মার্গ বুঝাইবার চেষ্টা করিয়াছেন, তাহ বিচাৰ্য্য। অধুনা সাংখ্য বলিলে লোকে চতুবিংশতি তত্ত্বসমন্বিত কপিল সাংখ্যশাস্ত্রই বুঝেন, এবং যোগ বলিলে পাতঞ্জল যোগ বা হঠযোগ বুঝায়। গীতার ১০২৬ শ্লেকে শ্ৰীকৃষ্ণ সিদ্ধগণের মধ্যে শ্রেষ্ট হিসাবে কপিলের নাম করিয়াছেন এবং ১৩৫ শ্লোকে কপিল সাংখ্যের চতুবিংশতি তত্ত্বের উল্লেখ আছে ; কাপিল ংখ্যের নিজস্ব ত্রিগুণবাদ শ্ৰীকৃষ্ণ মানিয়া লইয়াছেন । এই সকল হইতে বুঝা যায় যে, কাপিল সাংখ্যের সহিত শ্ৰীকৃষ্ণের ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল, কিন্তু তাহা সত্ত্বেও কৃষ্ণের সাংখ্য কপিল সাংখ্য—এই সঙ্কীর্ণ অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে বলিয়া মনে হয় না । সাংখ্য কথার দুই প্রকার বুৎপত্তি দেখা যায়, যথা—জ্ঞাতব্য পদার্থের ধে শাস্ত্রে "সংখ্যা” বিচার হয় তাহাই সাংখ্য, এই অর্থে কাপিল সাংখ্যের কথা প্রথমেই মনে পড়ে। আর এক ব্যুৎপত্তি, যাহাতে বস্তুতত্ত্ব বা পরমার্থতত্ত্ব "সম্যক্ খ্যায়তে” অর্থাৎ সম্যকরূপে প্রকাশিত হয়, সেই শাস্ত্রই সাংখ্য । এই বুৎপত্তিতে সংখ্যা-গণনার উপর জোর দেওয়া হয় নাই। যে-কোন দার্শনিক আলোচনাই এই হিসাবে সাংখ্যশাস্ত্র। এই ব্যুৎপত্তি মানিলে সাংখ্যযোগ ও জ্ঞানযোগের একই অর্থ হয়। কাপিল শাস্তুও জ্ঞানযোগের অন্তর্গত বলিয়া ধরা যাইতে পারে, কিন্তু তাহাই একমাত্র সাংখ্যশাস্ত্র নহে। শঙ্করাচা ও{ o, অন্তান্ত বgর্বাঞ্চ স্থবিধামত কোথাঃ প্রথম জৰ