পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ কোথাও দ্বিতীয় অর্থ ধরিয়াছেন । শঙ্করাচার্য্য সাংখ্যযোগ ক্লানযোগ ও সংন্যাসযোগের একই অর্থ করিয়াছেন। শঙ্করাচার্ষের সন্ন্যাস সংসার ত্যাগ করিয়া পরিত্রজ্য ੋਜ তৃতীয় অধ্যায়ে ৩ শ্লোকের ভাষ্যে শঙ্করাচার্য্য লিথিতেছেন, সাংখ্যানাং অর্থাৎ “ব্রহ্মচর্যাশ্রমাদেব কৃত Hংন্যাসানাং বেদাস্ত বিজ্ঞান সুনিশ্চিতাৰ্থানাং পরমহংস পরিব্রাজকানাং”—যাহার ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম হইতেই বিবাহ না করিয়া সন্ন্যাসাশ্রম গ্রহণ করিয়াছেন, র্যাহ্বারা বেদান্ত শাস্ত্রাদির দ্বারা পরমার্থ তত্ত্বের সুনিশ্চিত জ্ঞান লাভ করিয়াছেন, এইরূপ ব্রহ্মনিষ্ঠ পরমহংস পরিব্রাজকদিগকে সাংখ্য বলা হয়। ২৩৯ শ্লেকের ব্যাখ্যায় দেখাইয়াছি যে, সাধারণ জ্ঞানিগণের উপদেশকেও শ্ৰীকৃষ্ণ সাংখ্যের অন্তর্গত বলিয়া ধরিয়াছেন। গীতায় যে-যে শ্লোকে সাংখ্য কথার উল্লেথ ও আলোচনা আছে, সংক্ষেপে তাহার বিচার করিতেছি । ২৩৯ শ্লোকে আছে, এতক্ষণ তোমাকে সাংখ্যশাস্ত্রাতুযায়ী বুদ্ধির কথা বলিতেছিলাম, এইবার যোগানুযায়ী বুদ্ধির কথা শুন । পূর্বেই বলিয়াছি শঙ্করাচার্য্যের অর্থ না মানিয়া সাংখ্য শব্দে সাধারণ জ্ঞানী বুঝিলে তবে পূৰ্ব্ব শ্লোকগুলির সহিত সঙ্গতি থাকে। কারণ পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী শ্লোকগুলিতে সাধারণ জ্ঞানীদের উপদিষ্ট স্বর্গাদিলাভ ও ক্ষত্রেধৰ্ম্ম প্রভৃতির কথা আছে। ৩৩ শ্লোকে শ্ৰীকৃষ্ণ বলিতেছেন যে, সাংখ্য ও যোগ নামক দুই প্রকার নিষ্ঠা লোকে প্রচলিত আছে। তিনি মাত্র দুই প্রকার নিষ্ঠার কথাই বলিলেন, অতএব বুঝিতে হইবে যে তাবৎ মার্গই এই দুইয়ের মধ্যে কোন-না-কোনটির অস্তর্গত। সাংখ্যকে কেবল কপিল সাংখ্য বলিয়া ধরিলে অন্যান্য জ্ঞানমার্গের স্থান কোথায় ? শ্ৰীকৃষ্ণ স্পষ্টই বলিলেন, “জ্ঞানযোগেন সাংখ্যানাং কৰ্ম্মযোগেন যোগিনাং” অর্থাৎ সাংখ্যদিগের জ্ঞানই সাধন, যোগীদিগের কৰ্ম্মই সাধনা, এখানে জ্ঞান কথায় সর্বপ্রকার জ্ঞান স্বচিত হইতেছে, কেবল সংখ্যা-সুচক কাপিল শাস্ত্রই বুঝাইতেছে না। এই শ্লোক সম্বন্ধে আরও বিশদ আলোচনা পরে করিতেছি। ৫৪,৫৫ গ্লোকে বলিতেছেন যে, দুই মার্গের একই कू. ५षानु९कनिन गारश राजरे हिड़ हरंशत्रू * কুঞ্জি" নাই। প্ৰকৃষ্ঠাংশেই মন্ত্র গীভা "ব কোন A. દર્ડ সহিত যোগের তুলনা আছে, কিন্তু এখানে সন্ন্যাসকে সাংখ্যান্তর্গত একটি বিশেষ মার্গ বলিয়া ধরা হইয়াছে মনে ट्झ । ১৩২৫ শ্লোকে আছে, কেহ ধ্যানের দ্বার, কেহ সাংখ্যের দ্বারা ও কেহ কৰ্ম্মযোগের দ্বারা আত্মার দর্শন লাভ করে। সাংখ্যকে কপিল সাংখ্য বলিলে বেদান্ত ইত্যাদি শাস্ত্র বাদ যায়। অতএব সৰ্ব্বপ্রকার জ্ঞানশাস্ত্রই সাংখ্যের অন্তর্গত। এই শ্লোকে ধ্যানকে জ্ঞান বা কৰ্ম্ম মার্গের অন্তর্গত করা হয় নাই, তাহার পৃথক উল্লেখ আছে। কোনও বস্তুর প্রত্যক্ষ দর্শন যেমন জ্ঞান ও কৰ্ম্ম উভয় বিভাগেই ফেলা যায়, সেইরূপ ধ্যানের দ্বারা আত্মদর্শনও উভয় মার্গেরই অন্তভুক্ত। ধ্যানকে ক্রিয়া বলিয়া ধরিলে ধ্যান কৰ্ম্মমার্গেরই একটি বিশিষ্ট পন্থা। কিন্তু আত্মা বিশুদ্ধ জ্ঞানস্বরূপ বলিয়া আত্মদর্শন করিতে হইলে শেষ পর্য্যস্ত জ্ঞানেই আসিয়া পৌছিতে হয়। গীতাতে বহুস্থলে আছে যে, বুদ্ধিযোগসমন্বিত কৰ্ম্মের দ্বার। আত্মোপলব্ধির উপযুক্ত জ্ঞানলাভ হয়। ধ্যানের দ্বারা আত্মদর্শন জ্ঞান ও কৰ্ম্ম উভয় মার্গের চরম অবস্থা ৷ একথা স্বীকাৰ্য্য যে, তাবৎ নিষ্ঠাকে জ্ঞান ও কৰ্ম্ম এই দুই মার্গের মধ্যে ফেলিলে যুক্তিবাদীর কাছে জ্ঞানকে স্বতন্ত্র মার্গ বলিয়া স্বীকার করা যায় না । - 3 ১৮১৩ শ্লোকে আছে যে । “সাংখ্যে কৃতাস্তে” কৰ্ম্মসিদ্ধির পাচটি কারণ নির্দিষ্ট হইয়াছে । ১৮১৯ শ্নোকে আছে, “গুণসংখ্যানে” গুণভেদ হিসাবে জ্ঞান, কৰ্ম্ম ও কর্ভার-তিন তিন বিভাগ করা হয়। এই দুই শ্লোকের ‘সাংখ্য কৃতাস্তু’ ও ‘গুণসংখ্যান’ কথার অর্থ অধিকাংশ ভাষ্যকার কাপিল সাংখ্য বলিয়া মনে করেন। কাপিল সাংখ্যে যে কোথাও কৰ্ম্মসিদ্ধির পাচটি কারণের উল্লেখ আছে বা ত্ৰিবিধ কৰ্ত্তা ইত্যাদির বর্ণনা আছে আমার তাহা জানা মাই। এই সকল কথা যদি কাপিল শাস্ত্রে না থাকে তবে সাংখ্য অর্থে সাধারণ জ্ঞানই বুঝিতে হইবে। কোন কার্ষের কতগুলি কারণ আছে