পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

م ما سيا వుం9áు ভারমুক্ত স্প্রিং-এর শাম্পেনি তখনও দুলিয়া দুলিয়৷ সায় দিতে থাকে । মজলিস্ট মুখ্যতঃ তাসের–গৌণতঃ নানা প্রসঙ্গের আলোচনা হয়, হাতের কাছে যাহা-কিছু পাওয়া যায়। বলাই বাহুল্য যে সে রকম মুখরোচক প্রসঙ্গ জুটিলে গৌণটাই মুখ্য হইয়া দাড়ায় —তাসের মতই ভাজিয়া ভাজিয়া, ফেঁটিয়ার্ফাটিয়া সবার মধ্যে চারাইয়া দেওয়া হয়, তাহার পর সবাই নিজের নিজের শক্তিসামর্থ্য অনুযায়ী গুছাইয়া-স্বছাইয়া তাসের সঙ্গে সঙ্গেই নিজেদের মন্তব্য দিতে থাকে-মাথা দুলাইয়া, পানের রসের সঙ্গে গুল দোক্তা জরদার ঝাঝের সঙ্গে মিলাইয়৷ মিলাইয়া... কোন দিন প্রসঙ্গট হয়ত ঠাট্টার সঙ্গে হাজির হইল। মালবাবুর স্ত্রী বলিলেন,—“কি গো বড়গিল্পী, কথায় কথায় এত ভুল আজ ? গোলামকে আর দুটো ক্ষেপ হাতে রাখতে পারলে না ?” বড়গিল্পী একটিপ গুল ঠোটের নীচে টিপিয়া লইয়া বলিলেন,—“গোলামকে হাতে রাখতে হ’লে বিবির সেপাই হ’তে হয়—তা’ত আর বাপমায়ে করেনি िि...” শরটির লক্ষ্য কোথায় সবাই বুঝিল। কেহ মুখ টিপিয়৷ হাসিল, কেহ শুধু মাথা নাড়িল, কেহ চিন্তিত ভাবে তাস ফেলিয়া শুধু বলিল—“তা বটে।” বড়গিনী বলিলেন—“কালকে সেই কথাই ‘ও’ ব’লছিল কি-না—“তুই পঞ্চাশটি টাকার একটা য়্যাসিষ্টেণ্ট —তোর পাশ-করা বৌয়ের কি দরকার বাপু ? আবার ভলেণ্টিয়ার । সামলা এখন--” কিরণ বলিল—“মেয়েটি কিন্তু বড় ভাল বাপু, যাই বল ; আমি দু-দিন গিয়েছিলাম কি-না—সৰ্ব্বদাই হাসি— খুব আমুদে ; তার মাঝে স্বদেশীর কথাও হয়। তা এমন গুছিয়ে বলতে পারে যে, আমাদেরই মনে হয়---” ভাজ জুড়িয়া দিলেন—“কাছার্কোচ এটে বেরিয়ে - পড়ি !” পোষ্টমাষ্টারের দ্বিতীয় পক্ষ হাসিয়া বলিল, “দাদাকে বন্দুক তলোয়ার কিনে দিতে ব’লতে হবে, না, যা বাণ আছে তাইতেই চলবে?” কিরণ ফিরিয়া চাহিল, হাসিয়া বলিল—“মরণ আর কি !..ত না চলে, যাদের অস্ত্রে রোজ শান পড়চে তাদের নিয়ে গেলেই হবে।” মালবাবুর স্ত্রী বলিলেন—“ত তাকে নিয়ে আসি ন৷ বাপু ডেকে। আহা, পাস করেচে বলেই যে লোক মন্দ হবে তার কি মানে আছে, শহরে ত ও-রোগ এখন ঘরে ঘরে ।” "কোন দিন তেতরীর মেয়ের নবীনতম দাম্পত্যবন্ধনের কথা ওঠে । “শুনেচ গ| তামাক-গিন্নী— লছমিনিয়ার এ-বরের সঙ্গেও বনল না ! তামাক-গিনী হুক হইতে মুখ ছিনাইয়া লইয়া বলেন— “ঝাঁট মার দেশের মাথায় ।” ছোটদের মধ্যে কেহ বলে—“এ-দেশ না হ’লে কিন্তু তোমার ছকে তামাক বন্ধ হয় ঠানদিদি। ঠানদিদি হাসিয়া বলেন—“ত মিছে নয় ভাই ; রেণুর বিয়েতে তিনটি দিন ঠিক ছিলাম মেমারীতে-ঠিক তিনটি দিন গোণাগুণতি ; পেট ফুলে যাই আর কি ! হু কো তামাক নেই, সে আবার দেশ ম্যাগ গে !” --নাঃ, সে বিষয়ে এ দেশের যশ গাইতে হয় यझे कि । স্থ কায় দরদভরা জোর টান পড়ে । যেদিন অন্য বিষয় না থাকে, ঝোক পড়ে বাড়ির কৰ্ত্তাদের ওপর । এ-প্রসঙ্গে সবাই এমন সহজ অথচ গভীর অভিজ্ঞতার সহিত দখল দিতে পারে যে প্রসঙ্গটি বেশ অল্পের মধ্যেই পুষ্ট হইয়া শাখাপ্রশাখায় বিস্তারিত श्र्रश्नः।। ७े । - আসিবার অল্প কয়েকদিন পরেই কিরণলেখা সুচারুকে টানিয়া আনিয়া মজলিসে হাজির করিল। প্রথমটা সে আসিতে চায় নাই ; তাহার কারণ তাহার মনটা তখন কলিকাতার জীবনে খুব বেশীরকম সংলগ্ন ছিল। ক্রমে যেআবহাওয়া তাহার মনটাকে এত বেশী করিয়া কলিকাতায় ঠেলিয়া রাখিত সেই আবহাওয়াই তাহাকে তাহার বৰ্ত্তমান অবস্থার সঙ্গে একটা আপোষ করিতে বাধা