পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন স্কুলে হওয়া একান্ত প্রয়োজনীয় ও ইহাতে বাংলা দেশে সঙ্গীত-প্রতিভার ও কাব্য-প্রতিভার পুনর্জাগরণের বিশেষ সহায়তা করবে। অবতার-নৃত্য ও ধূপ-নৃত্য ফরিদপুরের চড়ক-গম্ভীর পূজার অনুষ্ঠানের অঙ্গস্বরূপ, কায়স্থ, চর্ণকার, নমশূদ্র ইত্যাদি জাতির মধ্যে যে সকল নাচের প্রচলন আছে তার মধ্যে অবতার মৃত্য ও ধূপ-নৃত্যু বিশেষ উল্লেখযোগ্য । অবতার-নৃত্যে বাংলা ভাষায় মস্ত্রের শৃঙ্খল tyya আবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে দিক্‌ বন্দন ইত্যাদি করা হয় এবং তারপর দশ অবতারের প্রত্যেকটির অভিনয়-মূলক ভঙ্গী শ্লোকের আবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে নৃত্যের আকারে দেখান হয়। ধূপনৃতাটি বৃত্তাকারে হয়। প্রত্যেক নৰ্ত্তকের বা হাতে থাকে এক একটি ধুমচি, তাতে জলন্ত কাঠের উপর ধুনার ছিটা দিতে দিতে নৰ্ত্তকগণ নৃত্য করতে থাকে। প্রত্যেক ছিটার সঙ্গে ধক করে আগুন জলে উঠে ব’লে অন্ধকার রাত্রে এই নাচটি বড়ই সুন্দর দেখায় । এই নাচের ভঙ্গীগুলি তাগুবশ্রেণীয় । শৃঙ্খল শ্ৰীসুধীরকুমার চৌধুরী বালিগঞ্জের এক নিভৃত প্রান্তে তিন বিঘা পরিমিত বিস্তৃত মাঠের একধারে ঘন-তরুসন্নিবেশের মধ্যে বীণার পিতা হৃষীকেশ বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । হৃষীকেশ তখন পাটের ব্যবসা করিতেন, সেই উপলক্ষ্যে বহু টাকা তাহার হাতে আসিত, আবার খরচ হইয়া যাইত । মিতব্যয়িতা সে-বয়সে র্তাহার অভ্যস্ত ছিল না। কেহ কিছু বলিলে তিনি বলিতেন, ব্যবসায়ী মামুষের টাকা আটকা পড়িয়া থাকিলে চলে না । টাকার বীজ বুনিয়া যাহাঁদের ফসল উৎপাদন করিতে হয়, দু-হাতে করিয়া টাকা ছড়াইবার সাহস তাহদের থাকা চাই । দুঃখ ছিল এই, যত টাকা ছড়ানো হইত তাহার অতি অল্প অংশেই ফসল ফলিত, কেবল সেই ফসল উাহার ভাগ্যগুণে পৰ্য্যাপ্ত করিয়া ফলিত বলিয়, বহুকাল তাহার যুক্তির মধ্যেকার ভুলের ফাকট। র্তাহার চোখে পড়ে নাই। চোখে পড়িয়াছিল স্বরবালার । বহু-আয়াসে, প্রতিপদে স্বামীর বহুবিরক্তির বিনিময়ে, সেই অমিতাচারের সংসারেও লক্ষাধিক টাকা তিনি সঞ্চয় করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । স্বামীর ব্যবসায়ের ভাঙন لأن لا حدسيلان نو ধরার মুখে, সে টাকাকে আর-কোনও উপায়ে রক্ষা করা যাইবে না ইহা বুঝিতে পারিয়া, সঞ্চয়ের শেষ পাই-পয়সাটি পর্য্যন্ত এই বাড়ীনিৰ্ম্মাণে নিয়োগ করিতে হৃষীকেশকে তিনি বাধা করিয়াছিলেন । কিন্তু যে-বাড়ীর প্রতিটি ইটের গাখুনিতে চণস্বরকির মশলার সঙ্গে তাহার অনেকদিনের অনেক অশ্রুজল অলক্ষ্যে মিশিয়া গিয়াছিল, নিজে সেই বাড়ীতে একটি দিনও বাস করা তাহার ভাগ্যে ঘটিয়া উঠে নাই। যখন রঙের কাজ, আলোর মিস্ত্রীর কাজ শেষ হইয়া বাড়ী বাসযোগ্য হইতে আর দুই-তিন সপ্তাহ মাত্র বাকী তখন অকস্মাৎ এক মেঘভারাচ্ছন্ন অন্ধকার শ্রাবণ-রাত্রির শেষে বীণার ছোট ভাই রাহু পুথিবীতে আসার সুত্রে এই পৃথিবীর কাছ হইতে তিনি নিজে চিরবিদায় গ্রহণ করিয়া গেলেন । ছোটখাট প্রাসাদের মত বাড়ীটার গায়ে ছোট একটি একতলা বাংলা, এক-ইটের দেয়াল, টালির ছাত । এইটিতে হৃষীকেশ নিজে বাস করেন । তাহার প্রিয়তম। পত্নী যে বাড়ীর প্রতিটি দরজা-জানাল হইতে মুরু করিয়া সিড়ির প্রস্থ, রেলিঙের লোহার কাজের পরিকল্পনা, ভিতর