বৈশাখ বৰ্ত্তমান বাঙ্গালা লাটকের সহিত সংস্কৃত মাটকের সম্বন্ধ 8% নব নাটক ’ এইরূপ লিখিত আছে দেখিতে পাওয়া যায় । নবনাটক কথাটি বড় অক্ষরে মুদ্রিত হইয়াছে সত্য তবে সমগ্র পঙক্তিটির দিকে লক্ষ্য করিলে ইহাকে জাতিসংজ্ঞ ছাড়া আর কিছুই মনে করা যায় না । গ্রন্থের প্রস্তাবনার দুইটি স্থল হইতেও এইরূপ ধারণাই বদ্ধমূল হয়। গ্রন্থকার লিখিতেছেন,—‘এই নবনাটুকে দেশে নব নাটকের অভাব নাই, এ সমাজে একখানি নবনাটকের অভিনয় করি । তাহা ছাড়, বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ১২৮২ সালে প্রকাশিত ‘বিদ্যাসুন্দর’ নামক নাটককেও আখ্যাপত্রে নবনাটক এই আখ্যা দেওয়া হইয়াছে । নবনাটক যে নাটকের এক স্বতন্ত্র প্রকারভেদের নাম ছিল এই নামকরণকে তাহারই স্পষ্ট প্রমাণ বলিয়া মনে করা যাইতে পারে। তবে নবনাটকের লক্ষণ কি—ইহার বৈশিষ্ট্য কি, সে-সম্বন্ধে আমরা কিছুই জানি না । পরলোকগত শৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর রসাবিষ্কার’ নামক এক অভিনব নাট্যগ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছিলেন। তিনি ইহার নাম দিয়াছিলেন—‘বৃন্দক’ * শ্ৰীকৃষ্ণের রাসলীলা, বিশ্বামিত্রের ধ্যানভঙ্গ প্রভৃতি পরম্পর নিরপেক্ষ এক-একটি বিষয় এই গ্রন্থের এক-একটি দৃশ্যে নাট্যাকারে চিত্রিত হইয়াছে।. পরম্পরনিরপেক্ষ বহু বিষয়ের অবতারণাই বৃন্দকের বৈশিষ্ট্য বলিয়া গ্রন্থকার উল্লেখ করিয়াছেন। তিনি লিখিয়াছেন—“যে নাট্যে বহু বিষয়ের প্রসঙ্গ থাকে, মাতে নানা জাতীয় কাৰ্য্য এককালে প্রদর্শিত হয় এবং যার অঙ্ক-সংখ্যার নিয়ম নাই তাহাকেই বৃন্দক বলে । ( পৃ: ২ ) গিরিশচন্দ্র তাহার বুদ্ধদেব চরিত’-এর নাম দিয়াছেন দেবনাটক । ঔপন্যাসিক নাটক, নাটোপন্যাস, নাট্যলীলা প্রভৃতি আরও নানা নাম নাটকের প্রকারভেদ সুচনার জন্য বাঙ্গালায় ব্যবহৃত হইতেছে। বাহ নামকরণের প্রসঙ্গ ছাড়িয়া দিয়া আভ্যন্তরিক
- গ্রীযুক্ত হেমেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত তাহার ‘গিরিশ-প্রতিভা গ্রন্থে (*ः ४१२) जशङ्गाध भई आइट्रू ब्रनादिकांग्रवांक्षक' दजिल्ला छान्नर्थ করিয়াছেন। সংস্কৃত মরুক নামক রূপকখানি ( Descriptive Catalogue of Sanskrit Manuscripts in the Oriental Library, Madras–Vol. XXI, No. 12519) wool এইরূপ দিয়া মনে হয়। ইহা দৃশ অলঙ্কারে সম্পূর্ণ। ..
3. বিষয়বিন্যাসের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায় সংস্কৃত নাট্যশাস্ত্রের প্রস্তাবনা ও ভরতবাক্য বর্তমান বাঙ্গালা নাটো একরূপ পরিত্যক্ত হইয়াছে। বর্তমান যুগের স্বত্রপাতে যেসমস্ত নাট্যগ্রন্থ রচিত হইয়াছিল তাহাদের মধ্যে কতকগুলিতে প্রাচীন রীতি অনুসারে নান্দী ও প্রস্তাবনা ব্যবহৃত হইয়াছিল দেখিতে পাওয়া যায়। তবে সকল স্থলে সংস্কৃত রীতি সম্পূর্ণভাবে রক্ষিত হয় নাই। হরচন্দ্র ঘোষ কুত কৌরববিয়োগ’ নাটকের নান্দী গদ্যে বিরচিত । কিন্তু গদ্যে নান্দী রচনার প্রথা সংস্কৃতে কোথাও দেখিতে পাওয়া যায় না | পরবর্তী কালে কোন কোন গ্রন্থে প্রস্তাবনা এই নাম দেখিতে পাওয়া যায় বটে, তবে তাহার সহিত সংস্কৃত নাটকের প্রস্তাবনার কোনও সম্বন্ধ নাই। তবে সকলে এই প্রসঙ্গে প্রস্তাবনা এই নাম ব্যবহার করেন নাই। অমৃতলাল বস্তু তাহার নাটকের প্রারম্ভিক দুশোর বিবিধ নামকরণ করিয়াছেন। পূৰ্ব্বরূপ, সূচন, পূৰ্ব্বদৃশ্ব প্রভৃতি নানারূপ নাম তাহার নানা গ্রন্থে দেখিতে পাওয়া যায়। শ্ৰীযুক্ত জ্ঞানেন্দ্রনাথ গুপ্ত রচিত ‘মনীষা’ নামক নাটকে এইরূপ স্থলে উদ্বোধন শব্দটি প্রযুক্ত হইয়াছে। সংস্কৃত নাটকে নট ও সুত্রধারের যে কাৰ্য্য নিদিষ্ট হইয়াছে বাঙ্গাল নাটকে তাহা হইতে কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষিত হয়। বাঙ্গাল নাটকে অনেক সময় স্বত্রধারকে প্রাচীন ধরণের যাত্রার অধিকারীর অনুরূপ কাৰ্য্য করিতে হয়।* বর্তমান যুগের প্রথম সময়ের বাঙ্গালা নাটকের বিবরণ দিতে গিয়া কিশোরীচঁাদ মিত্র লিখিয়াছিলেন— ‘অভিনয়ের প্রথমে নট-নটী (সূত্ৰধার নহে) নৃত্যগীতের দ্বারা দর্শকদিগকে পরিতৃপ্ত করিয়া পত্রিপরিচয় করাইয়া দেয়। অভিনয়ে নাটকের প্রধান প্রধান ঘটনাগুলির উল্লেখ করিয়া কে কোন ভূমিকা গ্রহণ করিবে তাহারা তাহারও বিবরণ প্রদান করে '+ - রামনারায়ণের নবনাটকে নট ও স্বত্রধার নাটকের অবসানে রঙ্গভূমিতে আসিয়া গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বিষয়
- প্রাচীন জাগামী নাটকেও স্বয়ংয়ের এইরূপ কাৰ্য ছিল। শঙ্করসবে পালিত হরণ নাটকে স্বত্রবার সকল সময় রাস্থলে
'ன்iங்-:இ