আশ্বিন প্রেম নাই Նձ খানিক থামিয়া তারিণী আবার বলিতে লাগিল— দেখ, মুকুন্দকে আমি বলে দিয়েছি—সে ত ভিন্ গায়ে যায়, যদি জয়াকে কোথাও দেখতে পায়, ত আমাকে এসে খবর দেবে। বুদ্ধি যে জয়ার কম তা নয়—যত বয়েস বাড়ছে ওর বুদ্ধিটা যাচ্ছে কেঁচে-ছোটবেলায় বারোয়ারী-তলায় জগন্নাথ অপেরার যাত্র হয়েছিল জানিস ত ? সেই যে-ছেলেটা কেষ্ট সেজেছিল—ফরসা মতন— ছিপছিপে, সেই ছোড়াটা একদিন আমাদের বাগানে ঢুকে গাছে উঠে আম পাড়ছিল--ও কখন তলে তলে টের পেয়েছে, আমায় দৌড়ে এসে খবরটা দিয়েছে । আর এখন কি যে হয়েছে—বাড়ির একটা কাজ করা দূরে থাক, আমি বুড়ে মানুষ রোধে দেব তাই পেয়ে উনি আডড দিতে বেরুবেন । হঁ্য রে—তোর নিরু-বউকে মনে পড়ে ? প্রশ্নটা করিয়া সুরোর দিকে চাহিতেই তারিণী দেখিল সুরো কখন চলিয়। গিয়াছে। নিজের কথা বলিতে বলিতে কতক্ষণ যে কুরোকে দাড় করাইয় রাথিয়াছিল তারিণীর সে খেয়াল ছিল না। সুরের আর অন্যায় কি ! তাহ{র ৪ ত নিজের কাজ গাছে । গিয়াছে ভালই করিয়াছে । তারিণী মনে মনে লজ্জিত হইয়। ঘরের দিকে ফিরিয়া আসিল । রামায়ণ লইয়া বসা রোজই হয়—পড়া কিন্তু নিয়ম-মত
- ट्रं = ।
সেদিন তারিণী দোকানে বসিয়। রামায়ণ পড়িতেছিল। পড়িতেছিল একটু অন্তমনস্কভাবে জয় হয়ত একদিন ফিরিয়া আসিবে। বামও বন হইতে একদিন ফিরিয়া আসিয়াছিল, কিন্তু আসিয়া দেখিয়ছিল দশরথ তখন বাচিয়া নাই । তারিণী একদিন মরিয়া যাইবে। আর শরীরের যেরূপ অবস্থা তাহার দিন-দিন দাড়াইতেছে, তাহাতে তাহার শীঘ্র মরাট। কিছু আশ্চর্য্যের নহে! ধর, সে মরিয়া গেল একদিন । তাহার মরিবার পরে অনেক দিন বাদে একদিন وكان لا عنصص مياه لا জয়া আসিয়৷ হাজির হইল। তখন তাহার রাগ চলিয়া গিয়াছে; না থাইতে পাইয়৷ দেহ কঙ্কালসার হইয়। গিয়াছে, মুখখানা শুকাইয়া হইয়াছে এতটুকুন ! বাবার কাছে আশ্রয় চাহিবার জন্যই আসিয়াছে ; দোকানের কাছে আসিয়া দেখিল দোকান বন্ধ কিংবা অম্বরি শ৷ সেই দোকানটিকে পাটের গুদাম করিয়াছে । ধর কাহারও দেখা না পাইয়া জয় সটান চলিয়া আসিল একদম বাড়ির দিকে । আদিয়া দেখিল তাহার হাতের পোত শাকসঞ্জীর গাছগুলির এতটুকু চিহ্নও নাই । তারপর দেখিবে বাড়ির দরজায় তাল লাগfন অথবা মুকুণী সে বাড়ি কিনিয়া লইয়৷ সপরিবারে সেখানে বাস করিতেছে। মুকুন্দ হয়ত ডাক শুনিয়া বাহিরে আদিবে। আসিয়া দেখিবে জয় । বলিবে—আরে—জয়া না ? তারপর জয় যখন শুনিবে তাহার বাবা মারা গিয়াছে --তখন ? তখন গাঢ় কাল কালি তাহার সারা মুখখানিতে লেপিয়া যাইবে! চোখ দুটি টল টল করিয়া উঠিবে, ধপ, করিয়া সে সেইখানেই বসিয়া পড়িবে হয়ত । তারপর দুই হাতে মুখ ঢাকিয়া সে কি কান্না । সে কান্না আর তাহার শেষ হইবে না জয়ার কাল্পনিক দুঃখ স্মরণ করিয়া তারিণী নিজেই থানিকট কাদিয়া ফেলিল । তারপর চোখ মুছিয়া পুনৰ্ব্বার রামায়ণ-পাঠে মনোযোগ দিবার উদ্দেশ্বে সোজ হইয়। বলিল । সোজা হইয়া বসিতে গিয়াই সামনে নজর পড়িল । সামনে দাড়াইয়াছিল মুকুন্দ—মজর পড়িল ঠিক তারই উপর । —আধ সের তেল দিতে হবে যে তারিণীদ। —সরষের তেলে— তারিণী ভীড়ে তেল ভরিতে ভরিতে বলিল--- নোনীগঞ্জ থেকে কবে এলি রে মুকুন্দ ? মুকুন্দর হঠাৎ যেন কি কথা মনে পড়িয়া গেল । —বুঝলে তারিণীদা—জয়াকে দেখলাম।
- X. ക്കൂ#& به