পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

નાના Sక95శు —জয়া ! দেখলি তুই ? কোথায় কোথায় রে ?— তারিণী বিস্মিত হইয় গেল । নোনাগল্প থেকে ফিরছি, বুঝলে-চাপাতলার হাট চেন ত—সেইখানে ; রদরে ঘুরে ঘুরে আর না থেয়ে থেয়ে দেহ তার এই এমনি হ’য়ে গেছে—দেথ তারিণীদ —ঠিক এই এমনি—বলিয়া মুকুন্দ উদাহরণ-স্বরূপ তাহার হাতের একটা আঙল উচু করিয়া দেখাইল । একটুও না থামিয়া মুকুন্দ আবার বলিল—তাকে বললাম—কি রে জয় বাড়ি যাবি নে ? তোর বাপ ঘে তোর জন্তে কেঁদে ম’লে— - কথাট। লুফিয়া লইয়। তারিণী বলিল—তা সে কি পল্লে ? —বস্লে কি জান তারিণীদ ?.বললেবলিয়া কথা অৰ্দ্ধসমাপ্ত অবস্থায় রাখিয় মুকুন্দ চুপ করিল। ---কি বললে কি ? জয়ার উত্তরটা শুনিবার জন্য তারিণী উবু হইয়া বসিল । অন্যদিকে চাহিয়া মুকুন বলিল—বললে—আমন বাপের অন্ন আর মুখে দেব না— —বললে ওই কথা ?.. তারিণীর ठ्झेल न । মুকুন্দ চুপ করিয়া রহিল—অর্থাৎ এমন লজ্জার কথা, দ্বিতীয়বার উল্লেখ করিবার নহে । তারিণী বলিল—তা এতদিন ত এই বীপের অল্পই খেয়ে এসেছিস্—থেয়ে এত বড়ট হয়েছিল। এখন আমার গেয়ে আমারই ওপর তেরিয়া-মেরিয়— কথাটা বলা হইল এমন ভাবে যেন জয়া সামনেই দাড়াইয়া সব শুনিতেছে। মুকুন্দ বলিল-আমিও তাই ব’লে এলাম—বুঝলে তারিণীদ –আমিও কিছু বাদ রাখিনি !—বললাম--দেখে নেব আমরাও, ওই থোত মুখ ভোত ক’রে আবার যদি তারিণীদার পায়ে মাথ৷ কুটুতে না হয় ত কি বলেছি— তারিণী বলিল-তা শুনে কি বললে ? —কি আবার বলবে তারিণীর ? বলবার মুখ রেখেছি যে বলবে? বুৰি ৰেদেই ফেললে, মনে হ’ল যেন বিশ্বাস সারাদিন কিছু খেতে পায় নি।—ঠোঙায় ক’রে এই এত কটা মুড়ি চিবোচ্ছে—মিউনো মুড়ি-চিবোনর শব্দও নেই— তারিণী তেল ওজন করিতে করিতে কি যেন ভাবিতে লাগিল। বলিল—বেশ করেছ, দিয়েছ ঠকে-না থেয়ে ও মরে যাক্-আমার হাড় জুড়োক, ওর মুখ আর আমি দেখছি নে—এই বলে রাগলুম-দেগো—বলিয়া তারিণী তেলের ভাড় বাড়াইয় দিল । দাম ফেলিয়া দিয়া মুকুন্দ চলিয়। যাইতেছিল— যাইতেছিল তাড়াতাড়ি এবং বাড়ির কথা ভাবিতে ভাবিতে—হঠাৎ বাধা পড়িল । ফিরিয়া দেখে তারিণীদ। তাহারই নাম ধরিয়! ডাকিতেছে— তারিণী আগাইয়া আসিতেছিল —মুকুন্দ ও দু-প আগাইয় গেল— –চাপাতলার হাট না কি তখন বললি রে মকুন্দচাপাতলার হাটই ত ? —ই –কিন্তু কেন বল দিক্ষিন—ঘাচ্ছ না কি জয়াকে খুজতে ? তারিণী বলিল-ধাই--আর কি করি ? সে বাপ ব’লে না মানলেও আমার ত ছেলে ব’লে টান আছে, ত; ঠিক কোন জায়গাট। আমায় একটু বুঝিয়ে দে ত মাণিক— মুকুন্দ বলিল-আচ্ছ, সবুর কর—নোনীগঞ্জ থেকে চাপাতলার হাটে আসতে দক্ষিণমুখো চলতে হয় ত, তা তুমি ত আর সে দিক দিয়ে আসছ না—তুমি ফতেপুর থেকে যাচ্ছ উলুবমূপে--উত্তরমূখে বরাবর গিয়ে চাপাতলার হাটের কাছাকাছি সেই বটগাছটা দেখেছ ত?...সেই গাছের পাশ দিয়ে বা-দিক পানে যে রাস্তাট চ’লে গেছে সেই রাস্তাটা ধরে বরাবর চলে যাও— স্থানটি মনে মনে থানিক কল্পনা করিয়া লইয়া তারিণী বলিল—হঁ্যা গেলুম—তার পর ? —গিয়ে দেখলে মল্লিকদের গোলার পাশে—মিত্তিদের শান-বাধীন পুকুরটা—তক্‌ তক্‌ করছে জল । সেইখানে সব্বার ওপরকার পৈঠেতেই দেখতে পাবে-বুঝলে— সব্বার ওপর কার—মোদ যাবে ত যাও এইবেলা— আসতে কিন্তু রাত হ’য়ে যাবে তোমার, তা বলে দিচ্ছি—