পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণ্ডুয় শ্ৰযতীন্দ্রমোহন মজুমদার, বি-এ পাণ্ডুয়া মালদহ জেলার অতি প্রাচীন নগর । নগরের অনেক ধ্বংসাবশেষ এখনও উক্ত দেশের নানাস্থানে দৃষ্ট হয়। স্থানীয় লোকের অতুমান, এখানে বিরাট রাজার রাজধাণী ছিল, এবং আপামরসাধারণের ধারণ যে, ইহা পাণ্ডবের অজ্ঞাতবাসের স্থান ছিল বলিয়া ইহার নাম পাণ্ডুয়া হইয়াছে। অনেকে অন্তমান করেন, আদিনা ডাক বাংলার সমুথে যে বৃহৎ অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান, ইহাই তৎকালীন রাজনগণের দরবার-গৃহ ছিল ; এবং এই স্থানেই অজ্ঞাতবাসের নিদিষ্টকাল অস্ত হইলে যুধিষ্ঠির সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। জাদিন মসজিদ বাহির হইতে একাংশের দৃষ্ঠ ; ইহাতে বুদ্ধদেব ও গণেশের মূৰ্ত্তি আছে আদিনার বৃহৎ গম্বুজ-বিশিষ্ট চতুষ্কোণ অট্টালিক বিরাটরাজের নাট্যশাল ছিল বলিয়া অল্পমান । এই স্থানে বৃহন্নলা বিরাট-কন্তাগণকে মৃত্যগীত শিক্ষা দিতেন এবং এই স্থানেই ভৗম কত্ত্বক কীচক বধ হইয়াছিল । আদিনা ডাকবাংলার সম্মুখস্থ অট্টালিকা আদিন । মসজিদ বলিয়াই সৰ্ব্বত্র পরিচিত। পরবর্তী কালে অর্থাং হিf৭৬৩ সালে শেকন্ধর শাহ কর্তৃক এই অট্টালিকা মসজিদে পরিবর্তিত ফুলেঃ ইহা যে হিন্দু আমলের রাজ সভা অথবা তদনুরূপ অন্য কোন দরবার-গৃহ ছিল তাহাতে সন্দেহ নাই । কারণ এখনও উক্ত অট্টালিকার তিন চারিট দরজার উপর গণেশমূৰ্ত্তি বর্তমান রহিয়াছে। অস্ত্রের আঘাতে ঐ সকল সৃষ্টির অবয়ব বিকৃত হইলেও নিকটে দাড়াইয়া দেখিলে সুস্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়। একটি প্রবেশদ্বারের উপরিভাগে বুদ্ধদেবের মূৰ্ত্তিও আছে। দেবমন্দিরের উপকরণাদি আনিয়া নূতনভাবে মসজিদ নিৰ্ম্মিত হইলে অপৌত্তলিক মুসলমানগণ কত্ত্বক কখনও প্রতি দ্বারদেশের উপরিভাগে এরূপ মূৰ্ত্তি খোদিত হইত না। এতদ্ব্যতীত যেরূপ মসজিদ আমরা সচরাচর দেখিতে পাই আদিনা মসজিদ ভিতর হইতে একাংশের দৃপ্ত তাহার সহিত ইহার আকৃতিগত যথেষ্ট বৈলক্ষণ্য আছে। কোন বৃহৎ দরবার-গৃহকে মসজিদে পরিবর্তিত করিলে যেরূপ দেখিতে হয় ইহাও তদ্রুপ। এই অট্টালিকার দৈর্ঘ্য পাঁচ শত সাত ফিট, প্রস্থ দুই শত পচিশ ফিট এবং দেওয়ালের উচ্চতা এখনও প্রায় তেইশ ফিট হইবে। তন্মধ্যে প্রায় এগার ফিট কৃষ্ণপ্রস্তর নির্কিত। পশ্চিম দেওয়ালে আক্কু ভাষায় ஆr লিখিত আছে। মুখস্থলে নট গম্বুজবিশিষ্ট ইং কক্ষ, এই