পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brbr8 প্রবামাণ্ড জন্মিবে বলিয়া যাহা বলিয়াছেন, তাহ প্রণিধানযোগ্য। মিঃ স্বহ রাবন্দীর তিন হাজার টাকা পরিমিত রাহাখরচ প্রভূতি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবের খাতায় গত ১৪ই আগষ্টের কাছাকাছি তারিখে লিখিত না হইয়। বর্তমান সেপ্টেম্বরের কোন তারিখে লিখিত হইলে তাহ অপব্যয় বিবেচিত না হইবার কোন কারণ দেখিতেছি না। র্তাহার চাকুরি সেনেট কর্তৃক মঞ্জুর হইবার আগেই তিনি ইউরোপ চলিয়া গিয়াছেন ইহ। কেহ অস্বীকার করেন নাই । ইহার দ্বারা সেনেটের প্রতি প্রভূত সম্মান প্রদর্শিত হইয়াছে ! সেনেটের অধিবেশনে ‘মালোচ বিষয়টি সম্বন্ধে জ্ঞাতব্য সব কথা গেনেটেরদিগকে যথাসময়ে জানান হয় নাই বলিয়৷ শ্ৰীযুক্ত বিচারপতি মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায় প্রস্তাব করেন, যে, বাগীশ্বরী অধ্যাপকের পদে নিয়োগটির সম্বন্ধে প্রস্তাবটি, যথেষ্ট জ্ঞাতব্য তথ্য সেনেটকে দিবার অনুরোধ সহ যথাস্থানে ফেরত পাঠান হউক । তাহাতে অধ্যাপক রামন বলেন, যে, প্রস্তাবটি যেমন ফেরত যাইবে ঐ আকারেই আবার ফেরত আসিবে। তাহাতে প্রশ্ন হয়, ইহা ভয়প্রদর্শন না কি ? উত্তরে অধ্যাপক রামনের কথার এইরূপ একটা বাজে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, যে, উহ ধমক নহে ; জ্ঞাতব্য তথ্য যাহা পাওয়া গিয়াছিল সবই সেনেটকে যথাসময়ে জানান হইয়াছে। কিন্তু মন্মথবাধু র্তাহার প্রস্তাব উত্থাপন করার পর মিঃ শু্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মিঃ স্বহ রাবদ্বীর এক খান দরকারী চিঠির কথা সেনেটকে প্রথম জানান ! অবশু, অধ্যাপক রামনের রূঢ়তারই জিত হইল এবং অপর পক্ষকে ধমক হজম করিতে হইল! কারণ ভাইস-চ্যান্সেলারের দল পুরু ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অধ্যাপকাদি নিয়োগ সেনেটের গত অধিবেশনে আরও কয়েকটি নিয়োগ হইয়াছে। শ্রযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “কমলা লেকচারার” নিয়োগ সকলেরই অনুমোদনীয় হইয়াছে । তাহার বক্তৃতার বিষয় হইবে “মানুষের ধৰ্ম্ম ।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের দর্শনের অধ্যাপক স্বপণ্ডিত ক্রযুক্ত হরিদাস ভট্টাচাৰ্য্য S99శు “ষ্টিফেনস নিৰ্ম্মলেন্দু ঘোষ লেকচারার" নিযুক্ত হওয়ায় যেমন গুণ গ্রাহিত প্রদর্শিত হইয়াছে, তেমনই উদারতাও সপ্রমাণ হইয়াছে, কারণ এই পদে এপর্য্যস্ত খ্ৰীষ্টিয়ান পণ্ডিতেরাই নিযুক্ত হইয়াছেন । ইহার বক্তৃতাগুলি তুলনামূলক ধৰ্ম্মতত্ত্ব সম্বন্ধে হয়। ভট্টাচায্য মহাশয় “প্রাণবান ধৰ্ম্মসমূহের ভিত্তি" সম্বন্ধে বক্তৃত। করিবেন। রায় বাহাদুর খগেন্দ্রনাথ মিত্রকে “রামতনু লাহিড়ী অধ্যাপক” নিযুক্ত করা হইয়াছে । এই পদে আগে ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন অধিষ্ঠিত ছিলেন । এই পদ পাইবার জন্য র্যাহারা আবেদন করিয়াছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা প্রস্তুত তাহাদের নাম যোগ্যতা প্রভৃতির বর্ণনাপত্র আমরা দেখি নাই । আবেদক বলিয়া খবরের কাগজে র্যাহাদের নাম উল্লিখিত হইয়াছে, তাহীদের কয়েক জনের বিষয় কিছু লিখিব । শ্ৰীযুক্ত খগেন্দ্রনাথ মিত্র দীর্ঘকাল স্কুল ইনস্পেক্টরের এবং কলেজের অধ্যাপকের কাজ করিয়াছেন । স্বতরাং শিক্ষাদান-বিষয়ে তাহার অভিজ্ঞতা আছে । কিন্তু তিনি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে-যে বিষয়ের অধ্যাপনার জন্য নিযুক্ত হইলেন, তাহার অধ্যাপন। তিনি কখনও করেন নাই , বিশেষ আলোচনাও করিয়াছেন বলিয়া অবগত নহি । বিষয়গুলি মোটামুটি প্রাচীন ও আধুনিক বাংলা সাহিত্য, তাহার ইতিহাস ও ক্রমবিকাশ, বাংলা ভাযা, বাংলা ভাষার উৎপত্তি ক্রমবিকাশ ও ক্রমোন্নতি, বাংলা ভাষার ভাযাতত্ত্ব শব্দতত্ত্ব উচ্চারণতত্ত্ব ব্যাকরণ ইত্যাদি। বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপনা করিতে হইলে রূপ ও রসের দিক দিয়া তাহা বুঝিবার ও উপভোগ করিবার এবং বুঝাইবার ও উপভোগ করাইবার ক্ষমতাও চাই। এই সমুদয় কথা বিবেচনা করিলে খগেন্দ্রবাবুর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক হইবার কোনই যোগ্যতা নাই, ইহা কোন ক্রমেই বলা চলে না । বৈষ্ণব সাহিত্যের আলোচন। তিনি কিছু করিয়াছেন । বাংলা স্কুলপাঠ্য বহি, প্রবন্ধ, প্রভৃতিও তিনি কিছু লিখিয়াছেন । কিন্তু আবেদকদের মধ্যে তিনি যোগ্যতম, ইহাও কোন ক্রমেই বলা চলে না। সাহিত্য এবং ভাষাতত্ত্ব উভয়দিকেই তঁহি অপেক্ষ নিঃসন্দেহ যোগ্যতর লোক ছিলেন । এ বিষয়ে আমরা বিচারক হইবার স্পন্ধা রাখি না, লিখন