পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২ S994ు নাট্যশালা ছিল। চারিদিকে দরজাযুক্ত চতুষ্কোণ আকৃতি বিশিষ্ট এই গৃহের গঠন বৈচিত্র্যে ইহা নাট্যশালা ব্যতীত অন্য কিছু ছিল বলিয়৷ আহুমিত হয় না। বৰ্ত্তমানে ইহার ভিতরে তিনটি সমাধি দৃষ্ট হয়। এইগুলি অনেকে

নি’হাসন-বেদীতে উঠিলার প্রস্তুর-নিৰ্ম্মিত সোপান যদু জালালউদ্দিন, র্তাহার পত্নী এবং পুত্রের সমাধি বলিয়া অম্বুমান করেন । পাণ্ডুয়া যে এক প্রাচীন নগর এবং গৌড় হইতে প্রাচীন তাহাতে সন্দেহ নাই। কেহ অম্বুমান করেন (জেনারেল কনিংহাম) চীন পৰ্যটক হিউএনসাং লিখিত পৌণ্ডনগর বগুড়া জেলার মহাস্থান গড়ে অবস্থিত ছিল ; কেহ-ব বদ্ধনকোটকে পৌণ্ডনগর বলিয়া নির্দেশ করিয়া থাকেন। উভয়স্থানেই অট্টালিকাদির ভগ্নাবশেষ বর্তমান আছে । এই সকল স্থানে পূৰ্ব্বে কোন-না-কোন রাজবাড়ি ছিল । মহাস্থান গড় করতোয় নদীর তীরে অবস্থিত। এই স্থানে বর্তমানে একটি ক্ষুদ্র তোরণ এবং একটি বৃহৎ কৃপ আছে *স্থার সমস্তই ধ্বংস হইয়া ইষ্টকস্ত পে পরিণত হইয়াছে। মহাস্থান গড়কে দুর্গ বলিয়া কেহ কেহ নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন এবং দেখিলে ইহা দুর্গ বলিয়াই প্রতীয়মান হয়। ইহার অনতিদূরে চাদ সওদাগরের বাড়ি এবং লক্ষীন্দরের বাসরঘরের স্থান নির্দিষ্ট হইয় থাকে। একটি বৃহৎ উচ্চ চতুষ্কোণ ঢিপির ভিতর লক্ষীন্দরের বাসরগুহ ছিল বলিয় স্থানীয় লোক অনুমান করিয়া থাকে। স্থানটি সর্পসস্কুল। যা হউক মহাস্থান গড় বা বৰ্দ্ধনকোট যে পৌণ্ডনগর হইতে পারে না, তাহা তাহাদের ভৌগোলিক অবস্থান হইতে প্রমাণ হয়। এতদ্ব্যতীত চীনপর্যাটক হিউএনসাং-এর ভ্রমণবৃত্তান্তে পৌণ্ড নগরের যে-বিবরণ পাওয়া যায় তদ্বারাও পৌণ্ড নগরের স্থাননির্দেশ করা যাইতে পারে। তাহা হইতে বুঝা যায় পৌণ্ডনগর হইতে পূৰ্ব্বদিকে কামরূপ রাজ্য এবং দক্ষিণপূৰ্ব্ব কোণে কর্ণসুবর্ণ রাজ্য—উভয় রাজ্যই সমান দূরে সেকেন্দর শাহের সমাধি অবস্থিত —তাহার পরিমাণ ৯০০ লি। মুর্শিদাবাদ জেলায় বহরমপুরের অনতিদূরে রাঙমাটি কর্ণন্ধবর্ণের স্থান নির্দিষ্ট হইয়া থাকে। পৌণ্ডরাজ্যের পূর্ব সীমায় করতোয় নদীর অপর তীরে কামরূপ রাজ্য অবস্থিত । তাহা হইলে বৌদ্ধ পরিব্রাজকের উল্লিখিত ভ্রমণবৃত্তান্তু