প্রথম পুতল
> আর ক্ষণে ক্ষণে পথের ধুলায় সেচন করচে গন্ধবারি। শুক্ল ত্রয়োদশীর রাত । মন্দিরে প্রথম প্রহরের শঙ্খ ঘণ্টা ভেরী পটন্ত লেজে গিয়েচে । আজ চাদের উপরে একটা ঘোলা আবরণ, জ্যোংমু তাঞ্জ ঝাপসা,— বাতাস রুদ্ধ,— আকাশে ধোয়া জমে আছে, দূরের গাছপালাগুলো যেন শঙ্কিত,-— কুকুর আকারণে অাৰ্বনাদ করচে,— ঘোড়াগুলো কান খাড়া করে ডেকে উঠচে কোন. অলক্ষোর দিকে তাকিয়ে । হঠাৎ গম্ভীর ভীষণ শব্দ শোনা গেল-মাটির নীচে— পাতালে দানবেরা যেন রণদামামা বাক্তিয়ে দিলে— গুরু গুরু গুর গুরু | মন্দিরে শঙ্খ ঘণ্টা বাজতে লাগল প্রলল শব্দে । হাতী বাধা ছিল তারা বন্ধন ছি ড়ে গর্জন করতে করতে ছুটল চারদিকে মাটিতে কঁাপন লেগে ঢেউ উঠল,— জনতার হাজার হাজার লোক দিশাহারা হয়ে আৰ্ত্তস্বরে ছুটোছুটি লাধিয়ে দিলে চোখে তাদের ধাঁধা লাগে, আত্মপরের ভেদ হারিয়ে কে কাকে দেয় দ’লে । মাটি ফেটে ফেটে ওঠে ধোয়া, ওঠে গরম জল — ভীম সরোবর দীঘির জল মৃত্যুৰ্ত্তে বালির নীচে গেল শুষে । মন্দিরের ছাদে বাধা বড় ঘণ্টা তুলতে ছলতে বাঙ্গতে লাগল ঢং ঢং, আচমকা ধ্বনি থামল একটা ভেঙে পড়ার শব্দে । পৃথিবী যখন স্তব্ধ হোলো পূর্ণপ্রায় চাদ তখন হেলেচে পশ্চিমের দিকে। আকাশে উঠচে জলে-ওঠ কাণাৎগুলোর ধোয়ার কুগুলী জ্যোৎস্নাকে যেন অজগর সাপে জড়িয়েচে । পরদিন আত্মীয়দের বিলাপে দিগ্বিদিক যখন শোকার্জ,— তখন রাজসৈনিকদল মন্দির ঘিরে দাড়াল,