৮২ লইয়াই লিখিত ( পূ. ৮১১ ) । উক্ত সংজ্ঞানুসারে কাব্য, উপন্যাস, কিংবা নাটকের ঐতিহাসিকতা স্থির করিতে গেলে বঙ্কিমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র, দ্বিজেন্দ্রলাল, কিংবা ক্ষীরোদবাবুর অধিকাংশ পুস্তককেI"ঐতিহাসিক বলিয়৷ মানিয়। লইতে হয় না কি ? ইতিহাসের নায়িকার অভাবই কবি এবং উপন্যাস-লেখক পূরণ করিয়া থাকেন। তবে কি ঐতিহাসিক উপন্যাস কিংবা কাব্যের এ নায়িকাগুলিকে ঐতিহাসিক ‘ফাউ’ হিসাবে গ্রহণ করিবেন ? নিতান্ত সমসাময়িক ন হইলে কোন কাব্যকে ঐতিহাসিক বলিয়া গ্রহণ করা বড়ই বিপজ্জনক । মারাঠী শিবভারত’, সংস্কৃত রামচরিতম্’, ‘পৃথুিরাজ দিগ্বিজয়ম্, হিন্দী সুজন-চরিত(জীঠরাজ। স্থরজ মলের জীবনচরিত), রাজবিলাস’ ইত্যাদি ঐতিহাসিক কাব্য—কেন-ন এগুলি দরবার কবির রাজার আদেশে লিপিয়াছিলেন—চাটুবাদগুলি বাদ দিলে এইগুলি হইতে সত্য ইতিহাস বাহির হইয় পড়ে। ঘটনার বহু বর্ষ পরে রচিত ‘পদ্মাবতের মত দার্শনিক altegory-র কথা দূরে থাকুক, সমসাময়িক কবির বংশধরেরা লিখিয়াছেন, এমন প্রামাণ্য পুথুিরাজ-রাসো’ হইতে ইতিহাস উদ্ধার করা যায় না। মেবার-পতি সমরসিংহ বীর পৃথুিরাজের ভগিনী পুথা বাঈকে বিবাহ করিয়াছিলেন এবং শিয়াবুদ্দীন ঘোরীর সহিত তিরোরীর দ্বিতীয় যুদ্ধে ইনি প্রাণত্যাগ করেন—ইহা ‘পৃথুিরাজরাসোর’ প্রসিদ্ধ ঘটনা এবং মহারাণ রাজসিংহের সময় রচিত ‘রাজপ্রশস্তি'w কাব্যে ইহার উল্লেখ আছে। অথচ অজমের-চৌহানবংশে তিন জন পৃথুিরাজ ছিলেন ; কোন পৃথুিরাজের ভগিনীকে সমরসিংহ বিবাহ করিয়াছিলেন ? শিয়ালুদ্দীন ঘোরীর প্রতিদ্বন্দ্বী পৃথ্বীরাজের সমসাময়িক রাজা ছিলেন সামস্ত সিংহ, সমরসিংহ নহেন । মেবার-রাজ রাজর্ষি সমরসিংহ ছিলেন পদ্মাবতের নায়ক রতনসিংহের পিতা। সমরসিংহের রাজত্বের একটি শিলালিপি চিতোরে আবিষ্কৃত হইয়াছে। উহার দ্বারা প্রমাণ হয়, সমরসিংহ
- “ততঃ সমর সিংহাখাঃ পৃথ্বীরাজস্ত ভূপতেঃ। পুধাখ্যায়। ভগিন্ধান্তু পতিরিত্যাতিহাদতঃ। শুরাস পুস্তকেস্ত যুদ্ধস্তোক্তোন্তি বিস্তর।
- রাজপ্রশস্তি, সর্গ ৩) So09āు অন্ততঃ বি. সং ১৩৫৮, * অর্থাৎ ১৩০২ ইংরেজীর জাগুয়ারি মাস পর্য্যস্ত জীবিত ছিলেন । সুতরাং ১১৯২ খৃষ্টাব্দে তিরোরার যুদ্ধে সমরসিংহের মৃত্যু কেমন করিয়া সম্ভব ? ইহাতে বুঝা যায় যে, প্রকৃত সমসাময়িক ইতিহাস দ্বারা সমর্থিত না হইলে কোন কাব্যের নায়ক, বিশেষতঃ নায়িকাদিগকে, ঐতিহাসিক ব্যক্তি বলিয়া গ্রহণ করা যুক্তিযুক্ত নয়। এইবার আমরা “পদ্মাবতীর ঐতিহাসিকতা” প্রবন্ধের কয়েকটি সিদ্ধাস্তের আলোচনা করিব । পদ্মাবতের রচনাকাল নিখিলবাবু ‘পদ্মাবতে’র রচনাকাল সম্বন্ধে ডাঃ দীনেশচন্দ্র সেন এবং গিয়ার্সন সাহেবের মত-সামঞ্জস্য ঘটাইবার জন্য এক অদ্ভুত থিওরী খাড়া করিয়াছেন। তিনি বলেন, ৯২৭ হিজরীতে কাব্য-রচনা আরম্ভ হইয়াছিল এবং ইঙ্গিত করিয়াছেন ৯৪৭ হিজরীতে বোধ হয় গ্রন্থ শেষ হইয়াছিল। হিন্দী কাব্যের মুখবন্ধে “রাজস্তুতি’ একটি অপরিহার্য অঙ্গ ! কাব্য আরম্ভের সময় ধিনি রাজা থাকেন তাহার যশই কীৰ্ত্তিত হইয়া থাকে। র্যাহার সিংহাসনে বসিবার বৎসরেই কাব্য সমাপ্ত হইল তাহাকেই কাব্যে বন্দন করা হইয়াছে,—প্রবন্ধ-লেখক এমন আর একটি উদাহরণ হিন্দী কাব্যে দেখাইতে পারেন কি ? তাহার উদ্ধৃত হিন্দী দোহার শেষ চরণ “কথা-আরম্ভ Goriকবি কহৈ” বাংলা না হিন্দী ? নাগরী-প্রচারিণী-সভা পদ্মাবতের অনেক পুথির সাহাধ্যে এই কাব্য সঙ্কলন করিয়া প্রকাশিত করিয়াছেন । তাহাতে লিখিত আছে ৯৪৭ হিজরীতে কাব্য আরম্ভ করা হইয়াছিল – সন নব সৈ সে তালিস অহা । কথা-আীরস্ত বৈন কবি কহ ॥ সিংঘল দীপ পদমিনী রাণী । রতন সেন চিতউর গঢ় আনী। অলটদান দেহলী সুলতানু । রাঘে চেতন কাঁহী বখাতু । স্বনা সাহি গঢ় ছেক। আই । হিন্দু কুরুকহ ভই লরাই । अग्नेि ‘श्रश्व स्वम् १ffं खरैश् । লিপি ভাখা চোপাই কহৈ । - ----جامع مس--سسسسسسسس--سم
- ভক্ষাকৃত রাজপুতানেক ইতিহাস হয় ভাগ, পৃ. se--sev e