পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و!Vیو؟ S99āు পূৰ্ব্বে জীয়াউদ্দীন বারণী তারিখ-ই-ফিরোজশাহী” লিথিয়াছিলেন। তিনি আলাউদ্দীনের রাজত্বের অনেক গল্প র্তাহার পিতৃব্য আলাওল মূলুকের (আলাউদ্দীনের সময়ে ইনি দিল্লীর কোতোয়াল ছিলেন ) নিকট হইতে অনেক কথা শুনিয়াছিলেন । তিনি আলাউদ্দীনের প্রশংসা অপেক্ষ নিন্দাই বেশী করিয়াছেন। কিন্তু চিতোর-বিজয়সম্পর্কে আমীর খসরুর চেয়ে বেশী কিছু বলেন নাই। ইহাতেও পদ্মিনী-উপাখ্যানের নামগন্ধ নাই । ৩। ফিরিশতার ১৫ o_ বৎসর পূৰ্ব্বে মহারাণ কুম্ভকর্ণের রাজত্বকালে লিখিত একলিঙ্গমাহাত্ম্যম্ গ্রন্থের রাজবর্ণন অধ্যায়ে লিখিত আছে— স ( = সামর সিংহঃ ) রত্নমেনং তনয়ং মিযুজ্য স্বচিত্রকূটাচলরক্ষণায়। মহেশপূজাহতকল্মমেঘ: ই লাপতিস্বৰ্গপঠিবভূব । সু খু মণি বংশঃ বংগু: ) খলু লক্ষসিংহ-- তস্মিন গতে দুর্গবরং ররক্ষ । কূলস্থিতিং কাপুরর্যৈবিমুক্তাং ন জাতু ধীরাঃ পুরুষাস্ত্যজস্তি ! * রতনসিংহের পিতা সমরসিংহ সম্বং ১৩৫৮ বিক্রম শতাব্দীর মাঘ মাস পর্য্যস্ত জীবিত ছিলেন। ১৩৫৯ সম্বতের মাঘ মাসের তারিখ-যুক্ত রত্নসিংহের একখানি শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে। ছয় মাস অবরোধের পর সোমবার, ১১ই মহরম, ৭০৩ হি: ( বি. সং ১৩৬০ ভাদ্র শুক্লাচতুর্দশী - ২৬এ আগষ্ট, ১৩০৩ খৃঃ) আলাউদ্দীন চিতোর অধিকার করেন। সুতরাং রাবল রতনসিংহ এক ধৎসর কয়েক মাস মাত্র রাজত্ব করিয়াছিলেন । র্যাহারা “পদ্মাবতের ঐতিহাসিকতা" প্রমাণে উৎসাহী, তাহার এত অল্প সময়ের মধ্যে রতনসেনের সিংহল-যাত্র, আলাউদ্দীনের সহিত যুদ্ধ, কারাবাস, মুক্তি ইত্যাদির সমাবেশ হয় কি-না বিবেচনা করিবেন। একলিঙ্গ-মাহায্যের শ্লোক হইতে বুঝা যায়, রতনসেন-পদ্মিনী-বিষয়ক উপাখ্যান তখন পৰ্য্যস্ত মেবারের মাটিতে গজায় নাই । ৪ । ফিরিশতা লিখিয়াছেন রাজা রতনসেন কারামুক্ত হইয়া আলাউদ্দীনের রাজ্য লুটপাট করিয়াছিলেন।

  • জীমহোপাধ্যায় গৌরীশঙ্কর হীরাচাদ ওঝা-কৃত “রাজপুতানেকী ইতিহাস, ২য় ভাগ, ৪৮৪ পৃষ্ঠায় উজ্জত।

আলাউদ্দীন তাহাকে দমন করিতে না পারিয়া চিতোরদুর্গ তাহার ভাগিনেসকে দিয়াছিলেন। অথচ একলিঙ্গমাহাত্ম্যম্’ হইতে প্রমাণ হয়, চিতোর-দুর্গ-পতনের পূৰ্ব্বে রতনসিংহ মারা গিয়াছিলেন। রতনসিংহের মৃত্যুতে গহলোত-বংশের “রাবল” শাখা নিৰ্ম্মল হওয়ায় শিশেীদে-সামন্ত রাণ উপাধিধারী অপর শাখা মেবারের গদী পাইলেন। লাক্ষসিংহের পৌত্র হর্মীরই মুসলমানদিগকে ব্যতিব্যস্ত করাতে জালোর ভূতপূৰ্ব্ব অধিকারী মালদেব সোনগরকে সুলতান চিতোর-দুর্গ দিয়াছিলেন। সুতরাং দেখা যাইতেছে, মেবার-ইতিহাস সম্বন্ধে ফিরিশতার সাধারণ জ্ঞানও ছিল না। ‘পদ্মাবত’, ‘তারিখ-ই-ফিরিশতা’, এবং টডের রাজস্থানোক্ত পদ্মিনী-উপাখ্যানের ঐতিহাসিকতা-সম্বন্ধে পণ্ডিত গৌরীশঙ্করঞ্জীর মতামত ১৩৩৭ সালের ফাঙ্কন সংখ্যার ‘প্রবাসীতে বিশদভাবে আলোচিত হইয়াছিল। এস্থলে সংক্ষেপে উহার পুনরুক্তি করা অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। “কৰ্ণেল টড এই কথা পদ্মিনী-উপাখ্যাম ] মেবারের ভাটদের উপর নির্ভর করিয়া [ আধার পর ] লিখিয়াছেন এবং ভাটের উহা ‘পদ্মাবত’ হইতে लट्टेग्नाcछ |••• • • • • • • ‘পদ্মাবত’, ‘তারিখ-ই-ফিরিশতা", এবং টডের রাজস্থানের বর্ণনার যদি কোন মূল থাকে তবে তাহ এ-টুকু—আলাউদ্দীন ছয় মাস অবরোধের পর চিতোর-দুর্গ দখল করেন। চিতোরের রাজা রতনসিংহ লক্ষ্মণসিংহ প্রভৃতি অনেক সামস্তের সহিত এ যুদ্ধে মারা যান। তাহার রাণী পদ্মিনী বহু স্ত্রীগণের সহিত অগ্নিতে প্রাণবিসর্জন করেন । এই প্রকারে চিতোর-দুর্গে অল্প দিনের জন্য মুসলমান-অধিকার স্থাপিত হয়—বাকী সমস্ত কথা বহুধা কল্পনামূলক।” ( 'প্রবাসী, পৃ. ৮১৪-৮১৫ ) এখন যে ‘রাজপ্রশস্তি’ কাব্যকে নিখিলবাবু পদ্মাবতের ঐতিহাসিকতার সর্বাপেক্ষা বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ বলিয়াছেন, তাহার আলোচনা করা যাক্ । আওরংজেবের সমসাময়িক মহারাণ রাজসিংহের “রাজসমুদ্র” সরোবরের বাধে পচিশখানি শিলাখণ্ডের উপর এই প্রশস্তি খোদিত হইয়াছিল। ইহার রচয়িতা পুরোহিত্যু গরীবাসের পুত্র রণছোড়াস এবং রচনাকাল ব্ধি