পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনে নেই! হাঃ হাঃ হাঃ! কি মজাই না হবে! তারপর উকিল-মশায় বলবেন—ত আপনার নাম বলুন ত, খামখানা বার করে দি। আমি তখনো নাম বল্ব ম—একটু মজা করব তাঁকে নিয়ে! বেচার একেবারে ৰৈাকী বনে যাবে—! শেষে আমি নাম বলব-মামি । ঐ-- এ্যl -এ কি ! শ্ৰ--কি ? নামটা ভুলে গেলাম নাকি ?” * তার পথ চল বন্ধ হয়ে গেল। সে হর্টাং থম্কে পথের মাঝে দাড়িয়ে পড়ল! কোনো রকমেই অার নামটা তার মনে আসে না । সে একটা বেঞ্চে বসে’ নামটার জন্তে আকাশ পাতাল খুঁজতে লাগলো। ক্রমাগত মনে আসে শ্ৰী—তারপর আর কিছুই মনে আসে না। নামটা যেন তার গলার কাছে এসে আট্‌কে আছে, যুগে অীর কোনো রকমেই আসে না । কেবল ঐ--শ্ৰী— তারপর আর কিছুই মনে আঁসে ন i ঘণ্টা কুয়েক এমণি করে ভাববার পর তার মাথা গরম হয়ে উঠল। চোখ মুখ দিয়ে আগুন বেরুতে লাগল। তার গা দিয়ে তখন দরদর করে ঘাম পড়ছে । হাত ধেন হাজার চারেক পিপূড়েতে কামড়াচ্চে বলে মনে হতে লাগল। তার বসে থাকা অসম্ভব হলো । সে মাটিতে খুব জোরে একটা লাথি মেরে উঠে পড়ল।–“এমন করে এক জায়গায় বসে’ ভাবলে নামটা মনে আসবে না, আরো দূরে পালাবে, তার চেয়ে কিছু খেয়ে নি, একটু শাস্ত হলেই আবার মনে আসবে ঠিক।" এই মনে করে সে রাস্ত দিয়ে চলতে লাগল ক্ষেপার মতন। পথের লোকজনের ব্যস্তভাবে চলাফের, গাড়ীর শব্দ-—এই-সবের মধ্যে সে তার আড়াইলাখ-পাবার নামের খোজ করতে লাগল। "শ্ৰ-শ্ৰ—“ আর কিছুই মনে আসে না । সন্ধ্যা হলো। সে ক্রমাগত পথে পথে ঘুরছে । ভার ধাওয়ার কথা মনে নেই-চুল উঙ্গে খুঙ্কো। চোখ-দুটাে আগুনের মত জলছে। লোকের বাড়ীতে আর রাস্তার দোকানে আলো জলে উঠল। • সে প্রবাসী+বৈশাখ, ১৩২৯ - খুবৃতে ঘুরতে । ২২শ ভাগ ১ম খণ্ড উক্কিলের বাড়ীর ছয়ারে এসে দরজার হাতলটা ধরে বলে’ উঠল, উঃ আর পাচ্ছি না, আমি পাগল হলাম নাকি ? আড়াই লাখ টাকা-চুরি করেছি বটে। কিন্তু তার জন্তে শান্তিও ত বড় কম ভোগ করিনি? টাকা রয়েছে, উকিল রয়েছে, আমিও রয়েছি! সব যাবে কি ? একটা কথ, একটা নামের জন্তে আমার সব যাবে কি ? ঐ–ী—ন, আর মনে আসবে ন!--তাকে কি ?-ঐ—ঐ--” সে একেবারে হতাশ হয়ে পড়ল । রাস্তা দিয়ে চলেছে সে-ইস্ নেই। লোকের গায়ে ধাক্কা লাগছে, পথের লোকে তার দিকে চেয়ে তাকে পাগল মনে করে দূরে সরে যাচ্ছে, তার খৈয়াল নেই। কতবার সে গাড়ীর তলায় পড়তে পড়তে বেঁচে গেল ! গাড়োয়ান গাল দিয়ে গেলকোনো দিকে তার মন নেই। “ঐ-—ঐ—” তার পর আর মনে আসে না ! একটু রাত হলে পর সে ক্লান্ত হয়ে নদীর ঘাটে এসে দাড়াল। পলকহীন চোখে নদীর স্তন্ধ জলে চেয়ে রইল । “নদীর জলে কি নামটা পাওয়া যাবে ? হয়ত বা যাবে”— এই কথা তার দুবার মনে হলে । তারপর সে ঘাটের সিড়ি দিয়ে জলের কাছে গিয়ে আঁজলা করে জল গেল । এ কি ! নদীর জল তাকে টানচে কেন ? হারানো নামটার সন্ধান দেবে বলে ? সে থাকৃতে পার্ল না—পড়ল নদীর জলে ঝাপ দিয়ে! ডুবে গেল। আবার ভেসে উঠল। হটাৎ চীৎকার করে উঠলে—“পেয়েছি ! পেয়েছি । ঐজলধর—ত্রজল—” ঘাটে লোক ছিল না। নদীতে নৌকা ছিল না। স্তৰ জলে পথের ধারের আলোর আর আকংশের তারার - ছায়৷ পড়ে নাচছিল। একবার একটা শব হলো, খানিকটা জল ছলং করে ঘাটে এসে লাগল-তারপর সব নিস্তষ্ক : , , ঐহেমন্ত চট্টোপাধ্যায়. [. * * MM SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS


  • মরিস লেভেল লিখিত ফরাসী গল্পের অনুকরণে 1’