পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৪ औषप्नब्र छैब्रटि ॐाझांब्र छौगtनब्र मृथ डैtणाश्च इग्न । भूब श्रझ कथांद्र বলিতে গেলে জায়াল ও যেমন রাজনৈতিক সিন্‌ফিন তিনি সেইরূপ কৃষিবিষয়ে একজন সিলফিন । 豪 辭 e 家 嶺 আমেরিকার কংগ্রেসওয়ালাঞ্জেয় সেখানকার নারী-সভবকে বিশেষ ভয় করিয়া চলিতে হয়। এই-সমস্ত নারী সঙ্গের একমাত্র কাজ মানবের হিতসাধন। নিৰ্ব্বাচনের সময় নারী-সজা অনেক উপায়ে কাহার ভোট বেশী করিয়া দিতে পারে আবার কাহারে ভোট পাইবার আশা একেবারে লোপ করিয়া দিতে পারে। ওয়াশিংটন সহরে এই সজোর কেন্দ্র আছে । কংগ্রেসের প্রত্যেক সভোর সমস্ত খোজ নারী-সঙ্গ রাখে। কোন খবর ইহার কাছে গোপন রাখা চলে না। কোন কংগ্রেস-সভ্য কোথায় কি বলিলেন, কি করিলেন, কোন কখ। রাখিতে পারিলেন ম৷ ইত্যাদি সব খবরই থাকে। একজন কংগ্রেসওয়ালা সম্বন্ধে নারী-সঙ্ঘের খাতায় লেখা , আছে—‘ইনি বিদ্যালয়ে ফুটবল এবং বেসবল খেলিতেন, ৭ এবং একটা সভায় ইনি একটা পাশ-হওয়া আইনকে পাশ হয় নাই বলিয়া ভুল করেন।' কংগ্রেসওয়ালাদের সব সময়েই ভয় থাকে কখন উীহারা এই নারী-সঙ্গের বিষ-নয়নে পড়েন। حصعصة কৃষ্ণভাবিনী-স্মৃতিসভায় আজ যাহার স্মৃতিসভায় আমরা সমবেত হইয়াছি, সেই দেবী কৃষ্ণভাষিনী দাস চুয়াডাঙ্গার এক সন্ধান্ত ঘরে জন্মগ্রহণ করেন, ও পরে শ্ৰীনাথ দাসের পুত্রবধূ হন। ভবিষ্যতে তিনি যে একজন জগদ্বিখ্যাত মহিলা হইবেন তাহার আভাস শৈশবকাল হইতেই পাওয়া গিয়াছিল। বিবাহের পর তিনি যখন দাস-মহাশয়ের গৃহে পদার্পণ করিলেন তখন তাহার রূপে ও গুণে সকলেই মুগ্ধ হইয়াছিলেন । * কিছুকাল পরে তাহার স্বামী দেবেন্দ্রনাথ দাস মহাশয় জ্ঞানপিপাসা বর্ধনের জন্য ও উচ্চশিক্ষা-লাভেচ্ছ হইয়া বিলাত-গমনের বাসনা করেন। তখন বিলাত-গমনের নাম শ্রবণ করিলেই সকলে ভয়ে ও বিস্ময়ে অভিভূত হইতেন। যাহারা বিলাতে গমন করিতেন তাহার জাতিচু্যত হইয়া পিতার অবাধ্য ত্যাজ্যপুত্র রূপে পরিগণিত ও এমন কি বিষয়সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত হইতেন। দেবেন্দ্রনাথ দাস মহাশয়েরও সেই অবস্থা ঘটে। কৃষ্ণভাৰিনী দাস মহাশয়াও সমস্ত জানিয়া-শুনিয়াও, ঐ ষে হিন্দুশাস্ত্ৰ-মতে হাতে হাতে সপিয়া দিবার সময় প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ MAeeA eeeM Ae eMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAMAM MA AMA AMAM MMAAA AAAA SAAAAA AMMAe AMeeAe MMMMSAeS eAeS eMAAA AAAA SAAAAA AAAAM MA MAAA AAAA AAAAA [ २२ण उांग, sथ ५७ মা-বাবা বলিয়া দিয়াছিলেন—“পত্তিই দেবতা, সুখে দুঃখে বিপদে তার চিরসঙ্গিনী থেকে,”—সেই পতিই দেবতা" এই কথা প্রাধে ইষ্টমন্ত্রের মত গ্রহণ করিয়া স্বামীর সঙ্গে বিলাত গমন করিবার বাসনা করেন। ইহাতে র্তাহার আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব প্রভৃতি র্তাহাকে মধুর সান্থনাবাক্য ও উপদেশাদি দ্বারা ক্ষান্ত করিতে চেষ্টা করেন। এমন কি দেবেন্দ্রনাথ দাস মহাশয়ও তাহাকে " প্রতিনিবৃত্ত করিবার জন্য প্রাণপণ প্রয়াস করেন; কিন্তু কৃষ্ণভাবিনী দাস উত্তরে বলেন, “আমার সব ধাকৃ তাতে দুঃখ কি ? সীতা রাজসম্পদ ত্যাগ করে রামের সঙ্গে বনে ধেতে পেরেছিলেন আর আমি তো কোন ছার।” এই সময় তাহার দুই বৎসরের একটি কন্যা ছিল । তাহাকে ত্যাগ করিয়া যাওয়াই তাহার পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর হইয়াছিল। নিজে হিন্দু-সমাজে জন্মগ্রহণ করিয়া ভালরূপ লেখাপড়া শিক্ষা করিতে পাবেন নাই, কন্যা তিলোত্তমাকে দিয়া সে সাধ পূর্ণ করিবেন ইহাই তাহার একান্ত বাসনা ছিল ; কিন্তু বিলাত-গমনে র্তাহার শ্বশুরমহাশয় তিলোত্তমার ভার সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করেন এবং এক সন্ত্রাস্তবংশীয় ধনী যুবকের সহিত তাহার বিবাহ দেন। এই পাত্রে পড়িয়া তিলোত্তম অত্যন্ত মনোকষ্ট পাইতেন, কিন্তু স্বামীকে ছাড়িয়া কিছুতেই যাইতে চাহিতেন না। মাতার উপযুক্ত কন্যা হইয়া নীরবে অশ্রজল ফেলিতেন । তবুও এক মুহূর্তের জন্য স্বামীকে ত্যাগ করিতেন না। . . . . দশ বৎসর যাবৎ বিলাতে থাকিবার পর দেবেন্দ্রনাথ দাস যখন সস্ত্রীক স্বদেশে প্রত্যাগমন করিলেন, তখন র্তাহার পিতা তাহাকে স্নেহময় ক্রোড়ে স্থান না দিয়া ত্যাজ্যপুত্র করেন। তিনি মন্ত্রীক কখনও পৃথক বাটতে কখনও হোটেলে থাকিতেন। তখনই তিনি কৃষ্ণভাবিনী দাস মহাশয়াকে লইয়া ট্রামে ও পদব্রজে গমনাগমন করাইয়৷ স্ত্রীস্বাধীনতা শিক্ষাদান করিয়া এবং বন্ধুবান্ধবদিগের সহিত পরিচয় করাইয়া সঙ্কোচের ভাব দূর করেন। এই সময়ে কৃষ্ণভাবিনী দাস নিতান্ত অনিচ্ছা সত্বেও স্বামীর আজ্ঞাকুবর্ভিনী হইয়া বিলাতীভাবে পরিচ্ছদদি পরিধান করিতেন।