পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 سواني SAeAeAeA AeA AeSAeMAeMAMAMAeA eA AeAeAeA AeAM প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২৯ [ २२ं एठीं, *१ ५७ AMMA AMAMA MAMAMAMAMAMA AMAAMAMAMMMAMMAMAMAMAAAA 奪 বাংলায় মনসা-পূজা সৰ্প-পূজা নানা আকারে সার জগং জুড়িয়াই আছে। ংলায় অনেক লোক মনে করেন আমরাই বুঝি শ্রাবণ মাসে মনসার ভাসান শুনি এবং নাগ-পঞ্চমীতে নাগপূজা করি। কিন্তু আসলে প্রায় সব দেশেই এই প্রথা fŵw xi wfts 1 cafwR Encyclopaedia of Religion and Ethics (GFRff) 22" Rts (fপূজা প্রকরণটি দেখিতেছিলাম। দেখিলাম ইলিয়াট স্মিথের মতে এই সর্পপূজা সব প্রথমে ছিল মিশর দেশে খৃষ্টজন্মের ৮০০ বৎসর পূৰ্ব্বে । তারপর তাহা নানা দেশে ছড়াইয় পড়ে। কিন্তু সাপের পূজা বিশেষ কোনো এক দেশ হইতে অস্ত সব দেশে ছড়াইয়াছে ইহা নাও হইতে পারে। সর্প সব দেশেই আশ্চর্ঘ্য জীব। তার অদ্ভূত আকৃতি, তীব্র বিষ, ক্ষিপ্ৰ গতি, ছয় মাস না খাইয়া অন্ধকারে পড়িয়া থাকা, খোলস ছাড়িয়া নবজীবন লাভ করা, দুইভাগ-করা জিহবার লকূলকানি, এই সবই সব দেশে বিস্ময় ও পুজা আদায় করিয়া ছাড়িয়াছে। কাজেই দেখিতে পাই আফ্রিকার আদিম জাতিদের মধ্যে, আমেরিকার রেড ইণ্ডিয়ানদের কাছে, মেলানেসিয়ায় ( Melanesia), মেক্সিকোতে, চীনে, জাপানে, ক্রীটে, মিসরে, বাবিলোনিয়ায়, হিব্রুভাষী জাতিদের মধ্যে, ফিনিসিয়ায়, গ্রীসে, রোম দেশে, কেলটিক ( Celtic ), বান্টে-স্লাভিক ( Balto-Slavic) ও টিউটন জাতিদের মধ্যে সৰ্ব্বত্রই কোনো না কোনো যুগে, কোনো না কোনো আকারে সর্পজাতি পূজা পাইয়াছে এবং বহুস্থানে নানা আকারে এখনও পাইতেছে। মিশর ও দ্রবিড় জাতির ঐক্য র্যারা মানেন তারা ভারতের দক্ষিণে দ্রবিড় দেশে সপ-পূজার বাহুল্যে বিচারের একটি মূতন ক্ষেত্র পাইবেন। সপের প্রতি শ্রদ্ধা বা পূজার ভাব এক এক দেশে এক এক রকম। কোনো দেশে সাপ মৃত্যুলোকবাসী পিতৃগণের প্রতিনিধি, কারণ সর্প খোলস ছাড়িয়া মৃত্যু জয় করিয়া নবজীবন লাভ করে ; কোনো দেশে সর্প ভবিষ্যৎ বংশ ও সন্তান বৃদ্ধির চিহ্ন। এই বাংলা দেশেও লোকের বিশ্বাস মাছে যে সৰ্প স্বপ্নে দেখিলে বংশবৃদ্ধি হয়। পৃথিবীর বহু স্থানে সন্তান-কামনায় সর্পপূজার পদ্ধতি অাছে। গুজরাত, পঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিমে এই উদ্বেপ্তে কুমারীর সর্পপূজা করে । কাজেই সন্তানকামনায় শিবপূজায় যাহার লিঙ্গ-পূজা অনুষ্ঠানের পরিচয় পাইয়াছেন, সর্প ও শিবের একত্র পূজায় তাহাদের বিক্ষিত হইবার হেতু নাই। শিবের সঙ্গে নাগের নিত্য যোগ অথচ মনসার সঙ্গে মহাবিরোধ, কাজেই মনসারূপিণী" সর্প ও প্রাচীন নাগ এক নহে। অভিচারাদি কৰ্ম্মে, যাদুবিদ্যায়, পুরাণ ও ইতিকথায় সৰ্পের উল্লেখ ও সর্পের নানা ভাবে ব্যবহার ও পূজা এদেশে ও নানা দেশে আছে। নারীধৰ্ম্ম, সন্ততি-লান্ত ও ইঞ্জিয়-সম্ভোগের সঙ্গে সপের ধারণা নানা দেশেই জড়াইয়া আছে। আমাদের দেশেও আছে (তুর্দুঅষ্টাদশঃ ভাষা-বারবিলাসিনী-প্রৌঢ়-ভুজঙ্গ ইত্যাদি ) । এই ভারতবর্ষেও বিভিন্নপ্রদেশে সর্পপূজার বিভিন্ন নাম ও বিভিন্ন পদ্ধতি। কাশ্মীরে, উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে, পঞ্চাবে, মধ্য ভারতে, কাশী কোশল মগধে, দক্ষিণাত্যে দ্রবিড় জাতিদের মধ্যে, আসামে খাসিয়া পৰ্ব্বতে, মণিপুর ও উত্তর-পূৰ্ব্ব-সীমান্তবাসী জাতির মধ্যে সৰ্ব্বত্রই সর্প পূজা আছে। নেপাল, ভোটান প্রভৃতি পৰ্ব্বতবাসীদের মধ্যেও আছে। নাগের নামে তক্ষকের নামে সপের নামে কত মন্দির, পুর ও শিলা এখনও ভারতের নানাস্থানে ছড়াইয়া আছে। নাগপত্তন, নাগপুর, তক্ষশিল, অহিচ্ছত্র, অনন্তপুর ইত্যাদি নামে সে পরিচয় পাই । কিন্তু বাংলা দেশের যে মনসা পুজা তাহাতে একটু বিশেষত্ব আছে। আমরা তার মূলের একটু সন্ধান जहेरङ क्लोहे । কাশীতে ভারতের সব প্রদেশের লোকই আসা-যাওয়া করেন—তারা সবই প্রাচীন ভাবের লোক। র্তাদের আচার ও পদ্ধতি লক্ষ্য করিলে প্রাচীন কালের ভাল পরিচয়ই পাওয়া যায়। আমার জন্মভূমি কণীতে, তাই ছেলেবেলায় লক্ষ্য করিতাম—সব জাতিই নানা ভাবে