পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] هماییهایی که بین حتی عج সৰ্প-পূজা করে। কিন্তু ইহাদের মধ্যে কোন প্রকারের পূজার সঙ্গে মনস্তা-পূজার ঘনিষ্ঠ জাতিত্ব ? সব প্রদেশেই দেখিলাম সর্পকে কোনে না কোনো বিশেষ জাতির মানুষের আপনাদের আদি-পুরুষ ও প্রধান দেবতা ও উপাস্ত দেবতা বলিয়া বিশ্বাস করে । নাগা জাতির কোনো কোনো শাপ ও অগ্রৱাল জাতি নাগের বংশ বলিয়া খ্যাত। সর্প মারিলে নরহত্য হয়, ७भन कि उन्नश्डाis झ्छ । उीशंद्र ८श्छू ¢यां५ झग्न भशভারতের আস্তিক পৰ্ব্বটি দেখিলে বুঝিতে পারি। বৈদিক যুগের সর্পপূজার উল্লেখ আজ করিব না। বেদেও বিস্তর সর্পপূজন ধর্মের পরিচয় আছে। নাগরা তখন এক পরাক্রমশালী জাতি। তাহাদের সঙ্গে আৰ্য্য ও ব্রাহ্মণাদির বিবাহ হইত। জনমেজয় যখন সরম-দত্ত শাপ নিবারণের জষ্ঠ যোগ্য পুরোহিত অনুসন্ধান করিতেছেন, তখন তাহার যজ্ঞের পৌরোহিত্যে উপযুক্ত দেখিয়া তিনি শ্রুতপ্রবা ঋষির পুত্র সোমপ্রবাকে বরণ করিলেন। তাহাতে শ্ৰুতশ্রব বলিলেন—আমার এই পুত্র “সৰ্পকন্যার গর্তেজাত মহাতপস্বী স্বাধ্যায়সম্পন্ন মতপোবীৰ্য্যসম্ভূত" ( মহাভারত, আদিপর্বে পৌষ্যপৰ্ব্ব ১৭ শ্লোক ) ; যদিও এই ক্ষেত্রে ঠিক বিবাহ হয় নাই। কিন্তু জরৎকারু ছিলেন মহাতপা উদ্ধ রেতা তপস্বী ( মহাভারত, আদি, ৪৫ অধ্যায় ) । তিনি একদিন এক বিজন বনে র্তাহার পিতামহ শংসিত-ব্ৰত ঋষিদের দেখিতে পাইলেন যে র্তাহারা জরৎকারুর সন্ততির অভাবে অধোলোকে যাইতে বসিয়াছেন। হেতু জিজ্ঞাসা করিলে অধোগামী পিতামহগণ বলিলেন— “জরৎকারু নামে আমাদের এক বংশধর আছে । সে তপস্তাই করিবে, বিবাহ করিবে না। তবে আমর অধোগতি হইতে রক্ষা পাই কেমন করিয়া ?” তখন জরৎকারু আত্মপরিচয় দিয়া কহিলেন, “আমি অতি দরিদ্র, আমাকে কে কন্যা দিবে?” পিতৃগণের মুখে তিনি শুনিলেন তাহাদের রক্ষার জন্য জরৎকারুর বিবাহ ও সন্ততি লাভ করাই চাই। তিনি সৰ্ব্বদেশ ঘুরিয়াও পাত্রী না পাইয়া, একদিন অরণ্যে মনের দুঃখে উচ্চৈঃস্বরে कश्लिन, “षांधि एब्रिञ्च । এতন্মুল আমি উগ্ৰ তপস্তা রত ছিলাম। আজ পিতৃগণের নির্দেশে বিবাহ করিতে বাংলায় মনসা-পূজা Sob-6. চাই । কেহ আমাকে কি কন্যা দিবে ?” তপন নাগরাজ বাসুকি স্বীয় ভগিনীকে তাহার হস্তে দেন ( মহা, আদি, ৪৬ অধ্যায় )। এই বিবাহ বৈধভাবে সম্পন্ন হয়, এবং এই বিবাহই সফল হইয়া জরৎকারুর পিতৃগণকে অধোগতি ইষ্টতে রক্ষা করে। এই বিবাহে মহাতপস্বী আস্তিকের জন্ম হয়। তিনি জনমেজয়ের যজ্ঞে গিয়া প্রার্থনা করেন যে সৰ্পসন্ত্রের বিরাম হউক । ইহা বলিয়া তিনি আপনার পরিচয় দেন। আস্তীক বলিলেন যে “মাতুল-বংশ আমার নাগকুল, ভাই তাহদের রক্ষার জন্য এই বর প্রার্থনা করি।” জনমেজয় কহিলেন, “হে দ্বিজবরোত্তম, অন্ত বর প্রার্থনা করুন” ( মহা, আদি, ৫৬ অধ্যায় )। তখন যজ্ঞের বেদবিং সদস্যগণ সকলে একবাক্যে কহিলেন, “এই ব্রাহ্মণকে নিজ প্রাপ্য হইতে বঞ্চিত করিবেন না। এই যজ্ঞ নিবৃত্ত হউক" ( ৫৬ অধ্যায়)। তখন আস্তীককে নানাবিধ দীন দিয়া রাজা বিদায় করিয়া কহিলেন, “এই যজ্ঞ তো নিবৃত্তই হইল, তবে আমার পুরীতে পুনরায় আপনার আলিতে হইবে। আমার মহাযজ্ঞ অশ্বমেধ করিবার ইচ্ছা আছে। তাহাতে আপনিই সদস্য হইবেন" (মহাভারত, ৫৮ অধ্যায়, ১৬ শ্লোক)। নাগকস্তার গর্তে জন্ম হইলেও ইহঁার ষিপ্রত্ব ও ঋধিত্ব কিছুমাত্র দোষগ্রস্ত शग्न नांझे । মহাভারতের আদিপর্ক্সেব অন্তর্গত পৌষ, পৌলোম ও আস্তীক পৰ্ব্বগুলি আগাগোড়া নাগদের বৃত্তান্তে পরিপূর্ণ। পৌষ্যপর্বে তক্ষশিলার উল্লেখ আছে (মহাভারত, আদি, পৌষ্য পৰ্ব্ব, ১৭১ শ্লোক ) ; সেখানে দেখিতে পাই ঋষি শৃঙ্গ রাজা পরীক্ষিতের উপর রুষ্ট হইয়া নাগরাজ তক্ষককে শক্ৰ-দমনে নিযুক্ত করিতেছেন (মহাভারত, আদিপৰ্ব্ব, ৪•,৪৯ অধ্যায় )। ব্রাহ্মণ কাশ্যপ পরীক্ষিত রাজার বিপদের প্রতীকার করিতে আসিতেছিলেন । তাহাতে তক্ষক র্তাহাকে বলিলেন, ব্রাহ্মণের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণ হইয়া আপনি দাড়াইবেন ? কাশ্যপ অর্থাভিলাষী ছিলেন। কাজেই তাহাকে যথেষ্ট অর্থ দিয়া তক্ষক নিবৃত্ত করিলেন (মহাভারত, আদিপৰ্ব্ব, ৪৩ অধ্যায় )। ইহাতে দেখিতে পাই ব্রাহ্মণের স্বার্থরক্ষায় নাগরাজ কেমন সচেষ্ট ! সর্পদয়ে ক্ষত্রিয় রাজার নাগকুল , নিৰ্ম্মল করিতে