পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ԳԵ मांध कभिग्नां यांeब्रांब कउ cश कांश भब्रिग्रांटछ उांशग्न टैिंक নাই । আর সেই পাটের কাজে কলওয়ালারা একশত টাকা খাটাইয়া এক বছরে ছয়শত টাকা লাভ করিয়াছে। ইহ যে সম্ভবপর হইল, যদি পাটের কলগুলি বিদেশী লোকের হাতে না থাকিয়া দেশী লোকের হাতে থাকিত তবেই কি ইহার কিছু ব্যতিক্রম আশা করা যাইত ? স্থযোগ পাইলে টাকা রোগার করিবার পথ, অতিরিক্ত লাভ করিবার পথ, দেশী বিদেশী কেহই ছাড়িত না । এই যে ব্যাপারটি ঘটিল, পাটের দর তিনটাকা মণ মাত্র দাড়াইল, একমণ পাট বিক্রয় করিয়া আধমণ ধানও পাওয়া গেল না, আর তার সঙ্গে-সঙ্গেই পাট-কলে একশত টাকায় ছয়শত টাকা মুনাফা দেওয়া হইল,—এই অবস্থা কোন শিক্ষায় অসম্ভব হইত ? প্রাথমিক শিক্ষা চাষার পাইলেও এই ঘটনা ঘটিত । মাড়বাড়ী মধ্যবর্তী না থাকিয়া সবটা হাত-ফেরতার কাজ হাটখোলার বাঙ্গালী মহাজনদের হাতে থাকিলেও এই দুর্ঘটনা বন্ধ হইত না । কুটার-শিল্পের প্রচলন থাকিলেও এই দুর্দশার নিবারণ হইত না, কেননা পাটে নিযুক্ত শ্রমেরই মূল্য পাওয়া যায় নাই। সাধারণের শিক্ষা, কুটার-শিল্প প্রতিষ্ঠা কিছুতেই এই ব্যাপারের সংঘটন বন্ধ করিতে পারিত না । ইহা যুদ্ধেরও ফল নহে, কেননা পাটের কাজেই আবার একদল লোক লক্ষ লক্ষ টাকা জমায়েং করিয়াছিলেন । পাটের ক্ষেতে কাজ করিয়া, কোমর অবধি পচাজলে ডুবাইয়৷ পাট ধুইয়া, রৌদ্রে পুড়িয়া পাট শুখাইয়া যে হতভাগ্য পাট ব্যবহারোপযোগী করিল, সে অন্নাভাবে, দারিদ্র্যে, সংক্রামক ব্যাধিতে মরিল ; আর সেই পাটে গুটিকতক মাত্র লোক, তাদের দেশ যেখানেই হউক, চামড়ার রং সাদা বা কালোই হউক, চাযার অনাহার ও অকালমৃত্যুর হেতুভূত পাটে লক্ষ লক্ষ টাকা করিল। supply and demand, "চাহিদা ও সরবরাহের” মন্ত্রে সমস্ত জিজ্ঞাস্ক মুগ্ধ হইয়া রহিলেন । কেহই ছেদ করিলেন না যে চাষীদেরও বাচিবার অধিকার অাছে। বাচিবার অধিকার Right to live এক দিন সমাজকে মানিতেই হইবে। যে সমাজ মানব-ধর্মের শ্রেষ্ঠ আদর্শ ভুলিয়া আছে, সেই অনিচ্ছুক ও স্বাধীন্ধ সমাজেরও প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২৯ eAeAeAeAeMAMSMAeeSAAAA { २२° उांग, >म थ७ একদিন প্রেমের শাস্ত মন্ত্রে নয় ত ধ্বংসের গর্জনে স্বীকার করিতেই হইবে যে চাবাদেরও বাচিবার অধিকার আছে । যদি চাষার সঙ্ঘবদ্ধ হইয়। বলিত যে বারে টাকার কমে পাটের মণ বেচিব না, তবে কলওয়ালাকে হয়ত ঐ দরেই পাট কিনিতে হইত। কিন্তু সঙ্ঘবদ্ধ হইবার শিক্ষা - অন্য রকম। লোকে ঠেকিয়া শিক্ষা করে । ধৰ্ম্মাশ্রিত সমাজ . উহা মানিয়া লয়; আর স্বার্থাদ্ধ সমাজ, যে সমাজ ভোগ করাই পরম লাভ বলিয়া জানিয়াছে, সে সমাজ সঙ্ঘবদ্ধ হইবার চেষ্টার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হয় ; তখন বিরোধ সংঘর্ষ ও প্রাণহানি আরম্ভ হয় । সঙ্ঘ নানা রকমের ও নানা ছোট ও বড় স্বার্থ রক্ষার জন্য স্থষ্ট হয়। আজকাল আমাদের দেশে নিৰ্ব্বিসংবাদী একপ্রকার সঙ্ঘ দেখা দিয়াছে। এইগুলি সমবায়ু-সমিতি নামে পরিচিত। মহাজনদের হাত হইতে কৃষক ও শিল্পীকে রক্ষা করিয়া তাহার ব্যবসায়ের উপযুক্ত মূলধন যোগানই এইসকল সমিতির কাজ । কোনও কোনও স্থানে জোলা তাতী ও মুচিদের এই সমিতিতে বেশ কাজ হইতেছে। আবশুক-মত অল্প স্বদে ধার পাইতেছে । স্থদও শতকরা সাড়েবারো টাকার বেশী নয়। টাকা শোধের ও প্রত্যেক সভোর মূলধনের অধিকারী হইবার ব্যবস্থা আছে। তথাপি এইসকল সমিতির দ্বার চাষীদের দুঃখ দূর হইবার অনেক অন্তরায় আছে । যখন এই সমিতিগুলি শক্তির কেন্দ্ররূপে ব্যবহৃত হইতে আরম্ভ হইবে, যখন কৃষকেরা সমবায়-সমিতিকে কেবলমাত্র ঋণ লইবার অফিস বলিয়া ব্যবহার করিবে না, তখন ধনিক-শীর্ষ সমাজ ইহাকে কি চক্ষে দেখিবেন সে বিষয়ে আশঙ্কা আছে । গবর্ণমেণ্ট ও ধনিক-সমাজ আজ যে সমিতিগুলি অর্থ দ্বারা লোক দ্বারা গঠন করিবার চেষ্টা ও সাহায্য করিতেছেন সেই সমিতিগুলি চাষীদের স্বার্থরক্ষার সঙ্ঘরূপে সত্যই ব্যবহৃত হইলে, বিষাক্তজ্ঞানে এখনকায় পৃষ্ঠপোষকেরা ঐসকল সমিতি দমন ও ধ্বংস করিবার চেষ্টা করিবেন ইহা স্বাভাবিক মনে इु । এইপ্রকার সমবায়ু-সমিতিগুলির মূলে ক্ষুদ্র কেন্ত্রের স্বার্থ থাকায় ইহারাও অপর অর্থাধিকারীরত্তায় পরপীড়ক হইয়া থাকে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ ধরা যাউক, কোনও গ্রামের