পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dఫ్చి ه حبیره می به عیسی جایی رحیمی احتیهای محیه হয়ে এলো। বলে, “দাদা বুঝি আমাদের দেশ বেড়িয়ে বেড়াচ্ছেন, কোন দিকে বেড়িয়ে এলেন, নদীর ধারে বুঝি ?” তার পর সে বলে, “দাদা, আপনি রান্নাঘরে বলবেন ? আমি আপনার জন্তে পিড়ি পেতে রেখেছি।” পিলিমা বল্লেন, “বেীমার যত অনাছিষ্টি, এখানে বাছাকে ধোয়ার মধ্যে বসিয়ে রাখা ।” আমি বহুম, “আমার কোনো কষ্ট হবে না, এখানেই বসি পিসিমা ।” রান্নাঘরের মধ্যে গিয়ে বসলুম, উমারাণী খাবার তৈরী ক’রে রেখেছিল আমায় খেতে দিল, তার পর কাজ করতে বসে গেল। দেখলুম সে অনেকগুলো চালের গুড়ি ময়দা প্রভৃতি উপকরণ নিয়ে খুব উৎসাহের সঙ্গে পিটে তৈরী স্বরু করেচে। পিসিমা খুবই বৃদ্ধা, তিনি কাজকৰ্ম্ম বিশেষ কিছু করতে পারেন না, থার্টুতে সবটাই হচ্ছিল উমারাণীর। রোগা মেয়েটির অবস্থা দেখে বড় কষ্ট হোলো ভাবলুম কেন অনর্থক পিটে কৰ্ত্তে বসে মিথ্যে কষ্ট পাওয়া ? সেবার আনন্দে উমারাণী যা করতে বসেচে তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বল্লুম না অবশ্য । জিজ্ঞাসা করলুম, “রাণী, জামায় পিটে গড়তে শিখিয়ে निदि ?” উমারাণীর বড় লজ্জা হোলো। মুখটি নীচু ক’রে সে বলে, "দাদা, আমরা বেঁচে থাকৃতে পিটে খাওয়ার ইচ্ছে হলে আপনাকে কি পিটে গড়ে নিতে হবে, যে আপনি পিটে গড়তে শিখবেন ?” পিসিমা বল্লেন, "না, তোমার দাদার পিটে খাবার ইচ্ছে হলে এই সাত লঙ্কা পাড়ি দিয়ে এসে তোমার এখানে খেয়ে যাবেন ।” উমারাণী চুপ ক’রে রইল । আমি বল্লুম, “তা কেন, পিসিমা । ও তার আর-এক উপায় বার করেছে, শোনেন নি বুঝি ?” পিলিমা বলেন, “কি বাবা " ' আমি বল্লুম, “ও এই আষাঢ় মাসের মধ্যেই ওর দাদার বিয়ে দেবে ।” পিসিম ৰঙ্কেন, “তা বৌমা তো ঠিক কথাই বলেচে প্রবাসী-শ্রাবণ, }9షిన [ २२° छांभू, >* थe eAeeAMA AMAeS AeSAASAASAAeS eS eS eSAeSASMAeAeAeeAeS AeS eeS جای مانده به صیصههایی ه বাবা । এত বড়টি হয়েছ, আর কি বিয়ে না কর ভাল দেখায় ? সংসারী হতে হবে তো ।” উমারাণী ব’লে উঠলে, “ভালো কথা, দাদা দিন তখন তো আর দেখা হোলো না পাজিতে, আমি আর ওপরে যেতে পার্লাম না । অবিশুি ক'রে বলবেন খাওয়ার পর রাত্রে ।” আমি বল্লুম, “বলবো রে বলবো। এতদিন তো মনে ছিল না তোর, এখন সামনে পেয়ে বুঝি দাদার ওপর ভারি মায় ।” পিসিমা বল্লেন, “ও তোমার তেমন পাগলী বোন নয় বাব। সে কখা বুঝি বৌমা বলেনি তোমায়। আজ ৩৪ বছর হোলো, ওরা যখন প্রথম কলকাতা থেকে এখানে আসে, তখন বেীমা এক জোড়া পশমের জুতো বুনে রেখেছে, তোমার জন্তে ৷ বলে, দাদা দুঃখু করেছেন যে আমার বোন আমার জুতো বুনে দেবার জন্যে উলুবোন শিখে, প্রথম কিনা জিনিস বুনলো তার স্বামীর । তা আমি এবার দাদাকে পশমের জুতো পরাবো । তার পর ওদের আর কলকাতায় যাওয়া হোলো না, স্বরেনের অন্ত জায়গায় চাকরী হোলো। তুমিও আর কখনো এদিকে আসনি। কাল তুমি আসতেই বৌমার যে আহলাদ, আমায় বললে, পিসিম, আমায় সাধ এইবার পূৰ্বলে, এতদিন পরে দাদাকে পশমের জুতো পরাতে পারবো।” s উমারাণীর চোখ দুটি লজ্জায় নীচু হয়ে রইল, প্রদীপের আলোয় উজ্জল তার মুখখানি কিশোরীর মুখের মত এমন লাবণ্যমাখা অথচ কচি মনে হচ্ছিল, যে, বোধ হল নোলক পরলে তাকে এখনও বেশ মানায়। তার পর নানা কথায় আর খেতে দেতে সেদিন অনেক রাত হয়ে গেল । সেদিন অনেক রাত্রে যখন উপরের ঘরে গুতে গেলুম, তখন চাদ উঠেছে। গভীর রাতের মৌন শান্তি সেদিন বড় করুণ হয়ে বাঙ্গলে আমার মনে । আজ অনেকক্ষণ উমারাণীর নিকটে ব’সে থেকে একটা জিনিস বেশ বুঝতে পেরেছি—উমারাণীর থাইসিস হয়েছে । • মৃত্যু ওর শাস্ত ললাটে তার তিলক পরিয়ে ওঁকে