পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Šesto নামের সঙ্গে চারটি রঙের যোগ আছে। যথা— শ্বেত, নীল, কাংস ও রাঙ্গ। রামাই শব্দ রাঙাই শব্দ থেকে হয়েছে, এ কথা প্রসঙ্গচ্ছলে শহিদুল্লা সাহেব আমাকে বলেন। স্বতরাং এই চার পণ্ডিতের সঙ্গে চারটি রঙের যোগ অবশ্যম্ভাবী। এখন দেখা যাকৃ এই চার রঙের উৎপত্তি কোথায় । নেপালে যে বৌদ্ধধৰ্ম্ম আছে সেটিকে বেশ একটি স্বম্পষ্ট প্রণালীতে পরিণত করবার চেষ্টা হয়েছিল। আদি-বুদ্ধ তাদের পরব্রহ্ম। তিনি স্বষ্টিকাৰ্য্য চালাবার জন্য পঞ্চ ধ্যানী-বুদ্ধ স্বষ্টি করেন। এই পঞ্চ ধ্যানীবুদ্ধের নাম হচ্ছে বৈরোচন, অক্ষোভ, রত্নসম্ভব, অমিতাভ, অমোঘসিদ্ধি। এদের তিনজন গত হয়েছেন ; চতুর্থ ধ্যানীবুদ্ধ অমিতাভ হচ্ছেন বর্তমান জগতের নিয়ন্ত । অমোঘসিদ্ধি হচ্ছেন পঞ্চম ধ্যানীবুদ্ধ যিনি আসবেন। বৌদ্ধদের ত্রিকায়-তত্ত্ব অনুসারে প্রত্যেক বুদ্ধের তিনটি করে কায়া আছে। সেগুলি তিনটি স্তরের জিনিষ। পৃথিবীতে সেই বুদ্ধ আছেন মাতুৰী বুদ্ধরূপে—তাদেম্ব মধ্যে যে তিনজন গত হয়েছেন, তাদের নাম হচ্ছে ক্রকুচ্ছন্দ, কনকমুনি, কাশ্যপ। বর্তমান মানুষী বুদ্ধের নাম হচ্ছে শাক্যসিংহ ; আর ভবিষ্যতের বুদ্ধের নাম হচ্ছে মৈত্রেয়ী। ত্রিকায়ের এই স্তরকে দার্শনিকগণ নাম দিয়েছেন নিৰ্ম্মাণ-কায়। এর পর হচ্ছে ধ্যানীবুদ্ধ, যারা নিৰ্ব্বাণ লাভ করেছেন ;–র্তাদের অবস্থাকে বলা হয়েছে ধৰ্ম্মকায়। আর তৃতীয় অবস্থায় ধারা আছেন, তাদের নাম দেওয়া হয়েছে বোধিসত্ত্ব । Štai vattga Firsts-off: (A. Getty–Northern প্রবাসী—ভাদে, ১৩২৯ AMMMMAMMAMMJJJJJJJJJJAM MMMM MM SMMMSJMMMMMMAMMMAMMMMMMMM [२२° छोण, ४म १७ Buddhism, p. ro)। মোটামুটি সংক্ষেপে uई शक বৌদ্ধদের বুদ্ধতত্ত্ব ( Buddhalogy) ! এই-সব ধ্যানীবৃদ্ধ ও বোধিসত্বদের মূৰ্ত্তি উপাসকেরা কল্পনা করেছেন, চিত্রীরা পটে এঁকেছেন, ভাস্করের পাথরে কুঁদেছেন, ছাচে ঢেলেছেন। নেপালে, তিব্বতে, চীনে, জাপানে এদের মূৰ্ত্তি পাওয়া যায়। প্রত্যেক ধ্যানীবুদ্ধের মূৰ্ত্তি বা চিত্রকে বুঝবার জন্ত পৃথক পৃথক চিহ্ন আছে। প্রথম চেনা যায় মূদ্র দিয়ে ; তারপর জানা যায় সহচর দিয়ে ; আর চেনা যায় রঙ দিয়ে । নেপালে তিব্বতে ধ্যানীবুদ্ধদের যে-সব চিত্র পাওয়া যায়, সেগুলির বর্ণের মধ্যে বিশেষ চিহ্ন আছে। যেমন বৈরোচনকে তারা শ্বেত বর্ণ দিয়ে ও অক্ষোভ্যকে নীলবর্ণ দিয়ে, রত্নসম্ভবকে পীত বা স্বর্ণ বর্ণ দিয়ে, অমিতাভকে রক্ত বর্ণ দিয়ে ও অমোঘসিদ্ধিকে হরিৎ (সবুজ ) বর্ণ দিয়ে আঁকতেন। এখন যদি আমরা বলি যে ধর্শ্ব-পূজার পণ্ডিতগণ সাবেকী আমলের ধ্যানীবুদ্ধের নূতন সংস্করণ, তবে বোধ হয় ভুল বলা হবে না। তার কারণ হচ্ছে এই— প্রথমে দেখুন, ধ্যানীবুদ্ধ ও পণ্ডিতদের পর্য্যায় ঠিক রয়েছে। ১ বৈরোচন ( শ্বেত বর্ণ) এদিকে শ্বেতাই ; ২ অক্ষোভ্য (নীলবর্ণ) এদিকে নীলাই পণ্ডিত ; ও রত্নসম্ভব (স্বর্ণবর্ণ বা পীত ) এদিকে কংসাই পণ্ডিত । কাংস বর্ণ ও স্বর্ণ বা পীতবর্ণের মধ্যে বেশী তফাৎ নেই। ৪ অমিতাভ (রক্তবর্ণ) এদিকে রামাই পণ্ডিত । রামাই শস্ব রাঙাই থেকে হয়েছে নিশ্চিত। বর্ণের মিল করবার জন্ত এ নামের স্বষ্টি। আরও অধিক বলবার আগে । নীচে দুটা ছক্‌ দিয়ে বিষয়টা স্পষ্ট করবার চেষ্টা করবো । یحیی تعمیم هماعی বুদ্ধ-তত্ত্ব ধ্যানীবুদ্ধ মামুৰীযুদ্ধ বোধিসত্ত্ব তারা স্থান ইন্দ্রিয় ভূত বর্ণ ১ । বৈরোচন ক্রকুচ্ছন্দ সমস্তুভদ্ৰ বজধাত্বশ্বরী মধ্য শকা ব্যোম শ্বেত ২ । আক্ষোভ্য কনকমুনি বজ্রপাণি লোচনা পূৰ্ব্ব স্পর্শ মরুং नैंौल ৩ । রত্নসম্ভব কাশ্যপ রত্নপাণি মামকী *ि१ ट्टैि তেজ স্বর্ণ বা পীত ৪। অমিতাভ শাক্যমুনি পদ্মপাণি পগুরা পশ্চিম “ স্বাদ ੋ রক্ত ৫। অমোঘসিদ্ধি মৈত্রেমী বিশ্বপাণি তারা উত্তর গন্ধ ক্ষিতি इब्रि९