পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক शांछेि S్పరిషా) মহী কুণ্ডু রুখিয়া দাড়াইল—তবে এটা তোর বাপের জায়গা নাকি ? খবরদার বলছি ওর গায়ে হাত দিস নে. আমিনের কাছে রেকর্ড দেখে আয় আগে কার নামে এ রাস্ত । —তবে তোমারই এ কাও ! জোচ্চোর-ছোটলোক--- মারামারিট আর হইল না। মহেন্দ্ৰ কুণ্ডু সোজা থানায় গিয় ডায়ের করিয়া আসিল যে যোগেশ বাড়ি-চড়াও হইয়া মারামারি করিয়া গিয়াছে। এদিকে যোগেশ পুরানো কাগজপুত্ৰ লইয়া আদালতের দিকে নালিশ করিতে রওনা হইল। মহেন্দ্ৰ কুণ্ডু বিষম চিন্তায় পড়িল। আজ খবর পাইয়াছে থে বোগেশ মোকদ্দমা জিতিয়া আসিয়াছে । আল্পক-ক্ষতি নাই, আপীল চলিবে কিন্তু টাকার যে টানাটানি ! কিন্তু তবু আপীল করিতেই হইবে। শক্রর সঙ্গে পাল্লা দিয়া তাহদের বংশে কেহ কথনও হারে নাই—সে-ই বা হারিবে কেন ? ব্রাহ্মণকে দিন দিন চালকলা দিতে হয় বলিয় গৃহদেবতাকে ব্রাহ্মণের ঘরে রাখিয়া আসিল । বিদায় দেওয়ার সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ করিয়া বার-বার মাথা খুড়িয়া বলিতে লাগিল, ঠাকুর অপরাধ নিয়ে না—মুদিন হ’লে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আস্ব। ঘরের সোনা গাইয়ের গায়ে হাত বুলাইয়া আদর করিয়া বলিল, খরচ দিয়ে আর ত তোকে রাখতে পারি নে মা, যেখানে যত্ন পাখি সেইখানে যা । নিৰ্ব্বেধ পশু ব্যাপারী লেখিয়া সেই যে গুছয় পড়িয়াছিল কিছুতেই খাড়া হইয়া দাড়াইল না। কিন্তু শেষ-পৰ্য্যস্ত বিদায়ই তাহাকে লইতে হইল । গরু বিক্ৰী করিয়| ঘটী-বাটি বন্ধক দিয়া কোন রকমে আপীল করিবার টাকা জোগাড় হইল, কিন্তু বলরাম হঠাৎ শহর হঠতে ফিরিয়া আসিয়া গণ্ডগোল বাধাইল । বলিল—দাদামশাই—আমার পরীক্ষার ফীর টাকা জমা দিতে হবে। —ফী আবার কি ! -ই দিতে হয়, না হ’লে পরীক্ষা দিতে দেবুে না। —এখন আমি টাকা দিতে পারব না—যা--- --ব রে! তাহলে কি আমি পরীক্ষা দেবো না নাকি ! ক যে দিতেই হবে! —মানে ? জোর ক'রে টাকা নিবি না কি ! আমি লি না—সোজা কথা । শক্রকে আবার টাকা কিসের ! —ফীর টাকা যে দিতেই হবে দাদু, নইলে... —পারব না বললুম যে একবার! তবু বলবি চাই ? শালার এই সময়ে যত ঝামেলা করবে। না পরীক্ষা দিতে পারলে ত বয়ে গেল বড় । তোর বাপের কাছ থেকে টাকা নিগে যা । শালারা এদিকে আমার সৰ্ব্বনাশ করবে— ওদিকে আবার টাকা চাই। পারব না আমি দিতে। —টাকা যে দিতেই হবে দাদামশাই! —পারব না, পারব না—এক-শ বার বলছি পারব না। বৃদ্ধ চীংকার করিয়া উঠিল, তোর বাপ করবে মোকদ্দমা— ছেলে আসবে টাকা চাইতে ! আমি টাকা না দিলে ওর পরীক্ষা হবে না। সব শাল জোচ্চোর—ঠগ । নিগে য শালা—নিগে যা, আমাকে তোরা বাপ-বেটায় মিলে না ডুবিয়ে ছাড়বি নে। টাকা তোর এই সময়েই যত দরকার—তবে নে। যেমন বাপ তার তেমনি ব্যাটা-নে সব, আর দে এখানে ছুরি চালিয়ে। বৃদ্ধ গলা বাড়াইয়া দিল । অবশেষে আপীলের সমস্ত টাকাকড়ি ছড়াইয়া দিয়া চলিয়া গেল। মহী কুণ্ডু খবর পাইল, বলরামের অমুখ করিয়াছে—খুব শক্ত অসুখ নাকি । ওপাশের দিকে যাইতে পারে না, সমস্ত ক্ষণ উংস্থক হইয়া থাকে—বলরাম এখন কেমন আছে ! টাকাগুল মিথ্যাই গেল—এ * অমুখে নাকি পরীক্ষা দিতে পারে! বুড়া বিড় বিড় করে, আহ-ভগবান বাচিয়ে রাখুন। তামাক টানিতে টানিতে ফটিককে শোনাইয়া শোনাইয়া বলে, ছেলেটাকে মেরে ফেবে-আমি বলে দিলুম। মহী কুণ্ডুর কথার নড়চড় নেই ওষুধপত্র দেয় না, হবে না ! —কে বললে বাবা-ডাক্তার ত রোজ আসে ? বুড়া আগ্রহসহকারে বলিল—ডাক্তার রোজ আসে ? কোন ডাক্তার রে-নিবারণ নাকি ! তার সঙ্গে আমার যে একটু দরকার রে --কখন আসে ? --এই ত এক্ষুনি গেল। –এক্ষুনি গেল ! কই আমাকে বলিস্ নিত। বুড়া উঠিয়া পড়িল। লাঠিহাতে রাস্তার দিকে ছুটিল। বহুদূরে আসিয়া ডাক্তারের নাগাল পাইল । চারিদিকে একবার দেখিয়া লইয়া বলিল—এ্যা নিবারণ, বলরামের অমুখ এখন কেমন ? —ভাল নয় কুণ্ডুমশাই। —র্বাচবে ত?