পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSo --আশা কম—ডবল নিমুনিয়া। তবে যদি বড় ডাক্তার ●यांनांग्न• • • —আনায় না কেন তবে ? ছেলেটাকে মেরে ফেলবে তা বলে ! —টাকা কোথায় পাবে কুণ্ডুমশাই, বলে একটু ফলের রস দিতে পারে না তার আবার••• —কেন ? আচ্ছ ধর, আমি যদি দিই তবে তুমি আনিয়ে দিতে পার না ? —আপনি দেবেন ! —কেন দেবে না-আলবং দেবে, কুণ্ডু-বংশে টাকা নেই না কি ! কিন্তু খবরদার বাব নিবারণ, আমি দিয়েছি ব'লে যুগোর কাছে বলে না যেন । আচ্ছা হঁ্য নিবারণ— বলরাম আমার নাম-টাম করে না ? —বিস্ময়াবিষ্ট নিবারণ অন্যমনস্ক ভাবে হু দিয়া চলিয়া গেল। বুড়ার তবু আশঙ্কা কাটিল না। বলরামকে দেখিবার ইচ্ছা প্রবল হইয় উঠে। একদিন সন্ধ্যার অন্ধকারে জানালার ধারে উকি মারিল । ঘরে তখন কেহ ছিল না— বলরাম এক গুইয়া আছে। বুদ্ধ মৃদু কণ্ঠে ডাকিল—বলরাম, এখন কেমন আছিস্ দাদা ? নিৰ্জ্জীব বলরাম কোন উত্তর দিল না। বুড় আবার ডাকিল—ও বলরাম !--- হঠাৎ এই সময়ে বুদ্ধকে লক্ষ্য করিয়া সশঙ্ক কণ্ঠে কে বলিল -কে ওখানে দাড়িয়ে । বৃদ্ধ খড়ম-জোড়া ফেলিয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে নিজের ঘরের দিকে ছুট দিল। যোগেশ চোর চোর বলিয়া বুড়ার ঘরের দিকে ছুটিয়া গেল। মহী কুণ্ডু তখন ঘরের ভিতরে চীংকার করিতে মুরু করিয়াছে যে তাহার খড়ম-জোড় যে চুরি করিয়াছে তাহার ছেলের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। কে চোর-কাল সকালেই দেখা যাইবে । আজ সে ঠাকুরঘরে মানত করিয়া রাখিল—ইত্যাদি । ভোরের সময়ে শহর হইতে লোক আসিয়া খবর দিল— মহেন্দ্র কুণ্ডু আপীলে জয়লাভ করিয়াছে। বৃদ্ধ তোড়জোড় প্রবাসী N98R করিয়া রাস্তা বন্ধ করিবার জন্য বঁাশ কাটিতে লাগিয়া গেল । ওপাশের যোগেশ ভাবিল, বলরাম সারিয়া উঠুক—তখন দেখা যাইবে। বড় বাধটা লইয়া আর এক তরফ জুড়িয়া দিব। করুণ একটা ক্ৰন্দনের শব্দে মহী কুও গভীর রাত্রে সশঙ্কিত হইয়া বাহিরে ছুটিয়া আসিল । ওপাশের সীমার মধ্যে পা দিতে কুণ্ঠ বোধ করিল। নিজের প্রাঙ্গণে দাড়াইয়া নিঃশব্দে কিসের যেন প্রতীক্ষা করিতে লাগিল । কিছু ক্ষণ পরে বলরামের শবদেহ লইয়া তাহার সম্মুখ দিয়াই তাঁহারই বিজিত অংশের পথ দিয়া কয়েক জন চলিয়া গেল। মহী কুণ্ডু দাড়াইয়া দাড়াইয় দেখিল—লাঠি লইয়৷ আজ আর ছুটিয়া আসিল না। বলরামের শব অদৃশ্ব হইয় গেল। মহী কুণ্ডু গভীর দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়িয়া মন্দিরের ভিতরে ঢুকিল। গৃহদেবতা মন্দিরে ছিল না। তবু বেদীটার উপরে মাথা ঠুকিতে যুঁকিতে কাতর কণ্ঠে বৃদ্ধ বলিতে লাগিল—ঠাকুর এ ত আমি চাই নি—তবে কেন এমন হ’ল দেবতা ? তখন যথেষ্ট বেলা হইয়াছে। মহী কুণ্ডু শূন্ত বেদীর উপরে মাথা ঠুকিয়া ঘুমাইতেছিল—রোদেব তীব্রতায় উঠিয়া বসিল । বিগত রজনীর কথা স্মরণ হইতে লোলচক্ষু হইতে দুই ফোট জল গড়াইয় পড়িল। বলরাম আর নাই—কোন ছলেই সে আসিবে না। বৃদ্ধ চক্ষু মুছিয়া মন্দিরের বাহিরে আসিতেই আপীলে-জয়-করা রাস্তাটার দিকে নজর পড়িল । ফটিক তখন সেই রাস্তাটার উপরেই যোগেশের কঙ্কালসার কনিষ্ঠ সন্তানের সহিত কলহ করিতেছিল। থেলিতে খেলিতে তাহাদের মতের অনৈক্য ঘটিয়াছে। ফটিক যোগেশ কুণ্ডুর ছেলেকে গলা ধাক্কা দিয়া বলিতেছে—বেরো তুই আমাদের জায়গা থেকে । এ ত আমাদের রাস্ত—ইটিস না একবার এই রাস্ত দিয়ে! ঠাং দি না ভেঙে দিই তবে“মহী কণ্ডুর ছেলে আমি নই। ছেলেটা বলিতেছে—দেবো ইট ফিকে। পোষ্য পুত্তর শ, মহী কুণ্ডুকে হঠাৎ দেখিতে পাইয়া ছেলেটা ভয়ে ছুটিয়া পলাইল ।