পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৪ গষ্টপধ্যায়ের অন্তর্তৃপ্ত নহে। কারণ পোদাতাল আদিতে ছিলেন, অস্তেও এক মাত্র তিনিষ্ঠ থাকিবেন ; কোরাণকেও যদি কদম মানিয়া লওয়া হয়, তাহা হইলে দুষ্টটি শাশ্বত বস্তুর অস্তিত্ব মানিয়া লষ্টতে হয়-ইহা দ্বৈতবাদ ( Dualism ) যাহা ইসলামের বিরোধী। মুসলমান দর্শনে ইঙ্গার কি মীমাংস আছে জানি না, কিন্তু আর্য্যদর্শন মতে কোরাণকে বলা যায় বেদ ও র্যাহা হইতে এই বেদ নির্গত হইয়াছে তিনিষ্ট নাদ-ব্ৰহ্ম । কোরণ খোদাতালার স্পষ্ট ; অস্তিমে অবিনশ্বর কোরণ থোদাতালাতেঙ্গ লয় মানিয়া লওয়া গীটি মুসলমান দোমাণ্ডই মনে করে । আকবর বাদশ নাকি এক দিন বলিয়াছিলেন মাটি হঠতে এক প। উঠাইয়। আমি অন্য পাথানি উঠাইতে পারি না ; হজরত মহম্মদ কি করিয়া রাত্রে বিছান হষ্টতে জেরুসালেম গিয়া সেগান হইতে সশরীরে আসমানে হঠলে -তহ| চড়িলেন এবং থোদাতালার সঙ্গে দেখা করিয়! আবার মক্কায় নিজ বাড়িতে পেীডিয়া দেখিতে পাইলেন দরজার কড়া তখনও নড়িতেছে এবং বিছানার লেপপানিও গরম আছে ? আকবর স্থলজগতের বিজ্ঞানসম্মত কথা বলিয়াছিলেন ; কিন্তু হজরত রমুলাল্লার সশরীরে স্বর্গে গমনাগমন অধ্যাত্ম-রাজ্যের ব্যাপার, যেখানে জড়-বিজ্ঞানের নিয়ম থাটে না। ধাহী হউক, মামুন আকবরের মত এতটা অবিশ্বাসী ছিলেন না। মোতাজেলার বলেন, মিছ রাজ ব্যাপারটা মিথ্যা নয়; কিন্তু হজরত স্থল শরীরে আস্মানে উঠেন না ; ঘটনাটি স্বপ্ন কিংবা ভ্রম মহে। ক্ষশরীরে তিনি সপ্তম স্বর্গে খোদাতালার সহিত সাক্ষাং করিয়া আসিয়াছিলেন। মোতাজেলার সে যুগে আধা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে গিয়া জনসাধারণের ধৰ্ম্মবিশ্বাসে আঘাত দিয়াছিলেন। মোতাজেলাদের মতে কিয়ামতের দিন ইমান দারের পোদাতালার মুখ পূর্ণিমার চাদের ন্যায় স্পষ্ট দেপিতে পাইবে বটে, কিন্তু এই পৃথিলীর চৰ্ম্মচক্ষে নয়। b২১৮ হিঃ ( ৮৩৩ খ্ৰী: ) অর্থাৎ নিজ রাজত্বের শেষ বৎসর এক ফতোয় জারি করিয়া মামুন জোরজবরদস্তি করিয়া অধিকাংশ কাজী ও উলেমাগণকে কোরাণ স্পষ্ট এই কথা স্বীকার করাইয়া লইয়াছিলেন । যাঙ্গরা তাহার প্রবাসী さいこ8R এষ্ট মত গ্রহণে অস্বীকার করিয়াছিল, তাহাদিগকে নিছক গলাগলি দ্বারা ঠাণ্ড করার ব্যবস্থা করিলেন । এই সমস্ত উলেম অনেকট আকবরের সময়কালীন শেখ আবদুন্নবী ও মোল্ল আবদুল্ল মুলতানপুরীর ন্যায় ছিলেন। ধর্মের পাও| হঠয়৷ ধৰ্ম্মকে ফাকি দিতেন।* মামুন বোগদাদের কোতোয়ালের কাছে লিখিলেন --অমুক ব্যক্তি দি খলিফার ফতোয়ায় দস্তখত করিতে নারাজ হয়, বলিও সরকারী গোল হইতে পাণ চুরি করায় বোধ হয় তাঙ্গর বুদ্ধিপ্রংশ হইয়াছে , অমুক মিশরে কাজীগিরি করিয়া এক বৎসরে কত টাকা জমাইয়াছে আমীর-উলমোমিনিন ভাল রকম জানেন , অমুকের জন্মের ঠিক নাই ; আবুলছর থেজর বিক্ৰী করে, বুদ্ধিও তাহার তদ্রুপ ; মুদ খাচয়৷ ইবন সুষ্ঠ ও ইবন হাতেমের আকল ও ইমান ইহুদীর মত ইষ্টয়াছে ; মধ্যভাণ্ড বেপারীকে বলিও ঘুষ ও সওগাত লণ্ডয়াতেই বুঝা যায় তাহার ইমান কতখানি ঠিক, ইত্যাদি। যাহা হউক, মোতাজেল-বাদ খলিফা মামুনের পরবর্তী দুষ্ট পলিফার সময় প্রবল ছিল । অবশেষে আওরঙ্গজেব-রূপী খলিফা মোতোয়াঙ্কেল মোত জেলাগণকে ধ্বংস করিয়া পুনরায় থাটি সনাতন ইসলামকে রাহুমুক্ত করিয়াছিলেন ; সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানের স্বাধীন চিস্ত ও অমুসলমানী জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার পথ চিরদিনের জন্য বন্ধ হইল। ইমাম হিসাবে মামুন মোতাজেল-মত-বিরোধীদিগকে কঠোর শাসন করিলেও তাহার রাজনীতি উদার ছিল, খলিফা হারুণের মত তিনি খ্ৰীষ্টান প্রজাদিগকে উৎপীড়ন করেন নাই । ভারতবর্ষে এক মাত্র আকবরের রাজত্বকাল ও ভারতের বাহিরে মামুনের শাসনকালেই মুসলমান-রাজ্যের অমুসলমান প্রজার ধৰ্ম্মবিষয়ে সৰ্ব্বাপেক্ষা স্বাধীনত ভোগ করিত। কিন্তু মামুন আকবরের মত অন্যধৰ্ম্মাবলম্বিগণকে রাষ্ট্রে সমান অধিকার দেন নাই—ইচ্ছা থাকিলেও দেওয়া অসম্ভব ছিল। প্রাচীন পারস্য-রাজগণের ন্যায় মামুনও বিভিন্ন

  • ইহাদের এক জন জাকাং (ধৰ্ম্ম-দান) না দেওয়ার জন্য প্রতি বৎসরের নবম মাসে সমস্ত সম্পত্তি স্ত্রীর নামে কবল (বিত্রী) করিয়! আবার নূতন বৎসরের প্রথম মাসে স্বীর নিকট হইতে নিজের নামে কিনিয়া লইতেন ।