রবীন্দ্রনাথের পত্র শীঘুক্ত হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষকে লিখিত— শাস্তিনিকেতন দিন সম্ভাষণপূর্বক নিবেদন আমার শরীর অশক্ত। বিস্তারিত কর। আমার পক্ষে দুঃসাধ্য। সম্প্রতি একটি পত্রের উত্তরে এ সম্বন্ধে যা লিখেছি আপনাকে পাঠাই। শক্তিপূজায় এক সময়ে নরবলি প্রচলন ছিল, এখনও গোপনে কখনও কখনও ঘটে থাকে। এই প্রথা এখন রহিত হয়েছে । পশুহত্যাও রহিত হবে এই আশা করা যায়। ইতি ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৫ ৷ ক’রে মত ব্যক্ত ভবদীয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -- বড় চিঠি লেখার মতে শক্তি ও উৎসাহ আমার নেই, সংক্ষেপে দুই একটা কথা বলি । জনসাধারণের মধ্যে সবুধের দুর্বলতা ও ব্যবহারের অন্যায় বহুব্যাপী, সেই জন্যে শ্ৰেয়ের বিশুদ্ধ আদর্শ ধৰ্ম্মসাধনার মধ্যে রক্ষা করাই মানুষের পরিত্রাণের উপায়। নিজেদের আচরণের হেয়তার দোহাই rিয় সেই সৰ্ব্বজনীন ও চিরন্তন আদর্শকে যদি দুর্শিত কর। যায় তাহলে তার চেয়ে অপরাধ আর কিছু হতে পারে না। ঠগীর দক্ষ্যবৃত্তি ও নরহত্যাকে তাদের ধম্মের অঙ্গ করেছিল। নিজের লুব্ধ ও হিংস্রপ্রবৃত্তিকে দেবদেবীর প্রতি আরোপ করে তাকে পুণ্য শ্রেণীতে ভুক্ত করাকে দেবনিন্দ বলব। এই আদর্শ-বিরুতি থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্যে যিনি প্রাণ উৎসগ করতে প্রবৃত্ত, তিনি তো ধৰ্ম্মের জন্যেই প্রাণ দিতে প্রস্তুত ; শ্ৰীকৃষ্ণ অৰ্জ্জুনকে এই ধৰ্ম্মের উদ্দেশ্লোহ প্রাণ দিতে স্বয়ং উপদেশ দিয়েছিলেন । সেই উপদেশই রামচন্দ্ৰ শৰ্ম্মা পালন করছেন। সাধারণ মানুষের হিংস্রত নিষ্ঠুরতার অন্ত নেই—স্বয়ং ভগবান বুদ্ধ তাকে সম্পূর্ণ রোধ করতে পারেন নি —তবুও ধৰ্ম্ম অনুষ্ঠানে হিংস্রতার বিরুদ্ধে আত্মোংসর্গের মতে দুষ্কর পুণ্যকৰ্ম্ম আর কিছু হতে পারে ন! ; তাতে আশুফল কিছু হতে পারে কি না জানি নে কিন্তু সেই প্রাণ-উৎসগষ্ট একটি মহৎ ফল। রামচন্দ্ৰ শৰ্ম্ম৷ আপনার প্রাণ দিয়ে নিরপরাপ পশুর প্রাণ-ঘাতক ধৰ্ম্মলোভী স্বজাতির কলঙ্ক ক্ষালন করতে বসেছেন এই জন্যে আমি তাকে নমস্কার করি। তিনি মঙ্গপ্রাণ ব'লেই এমন কাজ তার দ্বার সম্ভব হয়েছে । ইতি ২৪ ভাদ্র, ১৩৪২ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ్వూs:4*-భా:
- * * * - *· ... <rú :. za, we « Wa - Ý:•Ꮌ ; , & ! so. wo *::: 轉