পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

عدbأسواج প্রবাসী SNరిణిస్చి দালান। উত্তরের মণ্ডপটিই সৰ্ব্বাপেক্ষা বৃহদাকার ; উহ নুনাধিক ২৭ ফুট লম্বা ও ২৩ ফুট ৫ ইঞ্চি চওড়া।” ইহার পরে পাহাড়পুরের চতুৰ্জ্জুর্গ বিহার সম্বন্ধে শ্ৰীযুক্ত দীক্ষিত একটি বিবরণী প্রস্তুত করেন। ( মৰ্ম্মামুবাদ) "মন্দিরটি বর্তমানে যেমন আছে তাহাতে উহা উত্তর-দক্ষিণে ৩৬১ ফুট লম্ব এবং পূৰ্ব্ব-পশ্চিমে ৩১৮ ফুট বিস্তৃত ছিল দেখা যায়। বর্গক্ষেত্রের আকৃতিতে মন্দিরটি নিৰ্ম্মিত কিন্তু প্রত্যেক ধারেই কতকটা অংশ বৰ্দ্ধিত আছে । উত্তর ধারের বৰ্দ্ধিত অংশ অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ, কারণ উহার পাহাড়পুর মন্দিরের ভিত্তিভূমি উপর দিয়া সিড়ি গিয়াছে। তিনটি ক্রমহ্রস্বায়মান তলে মন্দিরটি সম্পূর্ণ। উত্তর দিকের প্রশস্ত সিঁড়ি দিয়া উপরের তলগুলিতে উঠা যায়।” তাহার মতে পাহাড়পুরের প্রস্তর মূৰ্ত্তিগুলির মধ্যে কয়েকটির কারুকার্য গুপ্ত-রাজত্বের শেষাশেষি সময়ের ভাস্কৰ্য্য-শিল্পের নিদর্শন বলিয়া বিবেচিত হয় এবং এই মুঞ্জিগুলি খ্ৰীষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে নিৰ্মিত হইয়াছে। ইহ অনায়াসে ধরিয়া লওয়া যাইতে পারে যে পাহাড়পুরের পরিকল্পনা ও গঠনপ্রণালী যাহা এতদিন ভারতে অজ্ঞাত ছিল, গুপ্তরাজত্বের সময় শুধু বাংলায় তাহা প্রকাশিত হয়। পাহাড়পুরের আবিষ্কারে তৎকালীন বাংলার সামাজিক অবস্থা সম্বন্ধেও আমরা অনেক তথ্য জানিতে পারিতেছি । এথানে যে-সমস্ত টেরা-কোটা’ বা পোড়া মাটির জিনিষ, প্রস্তর-মুৰ্ত্তি প্রভৃতি পাওয়া গিয়াছে তাহাতে দেখা যায় যে, এইস্তান একসঙ্গে বৌদ্ধ, ব্রাহ্মণ ও জৈনদের লীলাক্ষেত্র ছিল । ইহা তৎকালীন ভারতের আকর্ষণের বস্তু অটিচলৈ ঘরের নকশ৷ ছিল বলিয়৷ বিভিন্ন দূরদেশ হইতে শিক্ষার্থী ও তীর্থযাত্রী আসিত । পঞ্চম শতাব্দীর প্রথম ভাগ হইতে দশম শতাব্দীর শেষভাগ পৰ্য্যন্ত পাহাড়পুর একটি প্রসিদ্ধ নগরে পরিণত হইয়াছিল এবং পাল-রাজত্বের বহু পূৰ্ব্ব হইতেই বঙ্গবাসীরা শুধু ভারতে নয় মৃদুর পূর্ব-খণ্ডেও গমনাগমন করিতেন । এমন কি আনন্দ কুমারস্বামী তাহার Vristory y India anul /ndomesian Art পুস্তকেও লিথিয়াছেন, “দ্বীপময় ভারতের সহিত পূৰ্ব্বভারতের গমনাগমন পঞ্চম ও নবম শতাব্দীর মধ্যভাগ হইতেই খুব শক্তিশালী হইয়াছিল এবং ইহারই ফলে তদেশীয় চিত্রকলা, স্থাপত্য, ধৰ্ম্ম ভারতীয় প্রভাবে অনুপ্রাণিত হয় ।” আরবেরাও ঐবিজয়ের (স্বমিত্ৰা ) শৈলেন্দ্র রাজদের সম্বন্ধে লিথিয়াছেন, “র্তাহার বাংলার পাল রাজা এবং দক্ষিণের চোল রাজাদের সহিত বন্ধুত্ব-বন্ধনে আবদ্ধ হইয়াছিলেন।” মালয় উপদ্বীপে প্রাপ্ত ভিয়েং সা (Wieng Sa ) খোদিত লিপিতেও আমরা দেখিতে পাই যে ঐবিজয়ের শাসনকৰ্ত্তার মহাযান বৌদ্ধ ছিলেন। তাহারা বাংলার পাল রাজা দেব