পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহণয়ণ তিন শতাব্দীর পরে নিৰ্ম্মিত । সুতরাং ইহা স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে ভারতীয় এই বিশিষ্ট পদ্ধতি এই মন্দিরগুলির মূল আদর্ণ।” একটি আশ্চয্যের বিষয় এই, ক্রমহ্রস্বায়মান তলসংযুক্ত মন্দির ও ইহার ক্রুশ-চিহ্নিত ভিত্তি এখনও বাংলার বাস্তশিল্পে সুস্পষ্ট দেখিতে পাওয়া যায় এবং আশা করি উহা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করিবে । সাধারণতঃ বাংলাঘরের উপরে দ্বিতলঘর তৈরি করায় অস্ববিধা আছে বলিয়া চৌরীঘরের উপর দ্বিতল ধর তৈরি করা হইয় থাকে । ষ্টে দ্বিতল ধরের প্রথম ভিত্তিকে বলা হয় কোলডোয়৷ । এখানে 'ডোয়া’ বোধ হয় ‘দাওয়া’ শব্দেরই অপভ্রংশ। ভাবে আমি কথাগুলি শুনিয়াছি ঠিক সেই ভাবে এখানে উল্লেখ করিলাম ) । এই কোলডোয়ার উপরে চতুষ্পাশ্ব হইতে কিছুটা স্থান বাদ দিয়া একতল ঘর তোলা হয়। এই ঘরেব শীর্ষদেশে একতল ঘর হইতে ক্ষুদ্র পরিস্থ দ্বিতল ঘর তোলা হয় এবং উহার চতুপাশ্বে ঘোরানে বারান্দা করা হয় । ইহা বোধ হয় ঘরের সমত রক্ষা করে । ঠত ছাড়া বাংলার দোলমঞ্চের কথা বোধ হয় অনেকে জানেন এবং দেখিয়াছেনও ইহা কিরূপ ভাবে ধাপে ধাপে প্রস্তুত করা ইহার নিৰ্ম্মাণ-পদ্ধতিতেও আমরা প্রথমে দেখি ‘কোল.ডায়া’ তারপর ‘ডোয়া’, ইহার উপর ধাপে ধাপে ক্রমহ্রস্বায়মান শবে বহু ‘ডোয়া উঠিয়া গিয়াছে এবং বড় বড় আটচালা - নাটমন্দিরের নক্সাও অতি কৌতুহলোদ্দীপক। ইহাতেও ক্রমহ্রস্বায়মান পদ্ধতি আছে। অন্যএ একখানি আটনা ঘরের নক্সা প্রদত্ত হইল। আর একটি আশ্চর্য্যের মু পল্লীগ্রামে এখনও বাস্তুভিটার পূজা কিংবা বনদুর্গার প্রভৃতি ব্ৰতকথার বেদীগুলিতে ক্রুশচিহ্নিত ভিত্তি হয়। এই সমস্ত মন্দির ও বাস্তশিল্পের বিচার করিলে যাদের মনে হয় ভারতীয় এই বিশিষ্ট পদ্ধতির ধার। কে মাত্র বাংলায় প্রচলিত ছিল । বাংলায় হয় । আনন্দ মন্দির--পেগান এখন ৪ দ্বীপময় ভারতের সাধারণ ঘরগুলি পৰ্য্যস্ত ঠিক ংল। ঘরের মত হইয় থাকে । ভূপ্রদক্ষিণকারী শ্ৰীযুক্ত রমানাথ বিশ্বাস সেদিন দ্বীপময় ভারত হইতে আসিয়া লিগিয়াছেন, “বলিদের গৃহনিৰ্ম্মাণ-পদ্ধতি ঠিক বাঙালীর মত। সাতসমূদ্র পার তুষ্টয়া কিরূপে আমাদের গৃহনিৰ্ম্মাণ প্রথা ওর অবলম্বন করিয়াছে, তার ঠিক সিদ্ধাস্তে এখনও আমি আসিতে পারি নাই ।” ( ‘প্ৰবৰ্ত্তক’, কাৰ্ত্তিক, ১৩৪১ ) । ইহার বাংলার অনুরূপ লুঙ্গি এগন ও পরিয়া থাকে। বাংলার লুঙ্গি অথব। তপন প্রাচীন কালে বৌদ্ধের ব্যবহার করিতেন এবং বাংলায় প্রাচীন যত টের-কেট, চিত্র কিংবা প্রস্তরমূর্তি দেখিতে পাওয়া যায় তাহার প্রত্যেক মূৰ্ত্তির পরিধানেষ্ট কয়েকটি রেখাযুক্ত এ লুঙ্গি আছে। আমার ‘বঙ্গের পট-চিত্র প্রবন্ধে দেখাইয়াছি, অজস্তার ও বাংলার মূৰ্ত্তিগুলির বক্ষ সাধারণতঃ উন্মুক্ত, শুধু কটিদেশ বস্ত্রাবৃত এবং উহাও আবার মাত্র কয়েকটি রেখার সমাবেশে পূর্ণ। কিছুদিন পূৰ্ব্বেগু বঙ্গে স্ত্রীলোকেরা তাতীর তৈরি রঙীন ডুরে শাড়ী পরিতেন এবং প্রাচীন চিত্র এবং অনেক কবির বর্ণনা দেখিয়া আমাদের মনে হয় বাংলার স্ত্রীলোকের পূর্কে শুধু বস্ত্র ভিন্ন সাধারণতঃ দেহে অন্য বিশেষ কিছু রাপিতেন না। আশ্চর্যের বিষয় এখনও, আধুনিক কালের রুচির সংস্পর্শে আসিয়াও, বলিদ্বীপবাসীদের ঐ অনুরূপ শুধুমাত্র