পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহরিণ কেশী এক রাজ্য হইতে অন্য রাজ্যে আসিতেছিলেন তখন র্তাহীদের জাহাজ জলমগ্ন হয় এবং তাহার বিভিন্ন হইয় পড়েন। রাণী একটি বৃদ্ধ ব্যাধ ও র্তাহার স্ত্রীর কুটীরে আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং সেইখানে তাহার এক সস্তান জন্মগ্রহণ করে । ব্যাধের স্ত্রীর অত্যাচারে রাণী সন্তানের প্রতিপালনের ভার অন্য একটি বৃদ্ধ স্ত্রীলোকের উপর দেন। স্বয়ং ইন্দ্রই এই বৃদ্ধ স্ত্রীলোক ছিলেন। রাণী চলিয়া যাইবার পূৰ্ব্বে র্তাহার নবজাত সন্তানের গলায় ভোবৃবংএর স্বর্ণাঙ্গুরী সাধিয়া রাথিয়া যান। ইন্দ্র সস্তানটিকে লইয়া রাজপথে রাখিয়া দেন, কেননা ইহা সৌরীভং-এর রাজত্ব ছিল এবং তিনি এইপথে রাজহস্তীতে প্রত্যহ যাতায়াত করিতেন। সৌরীভং ভ্রাতার স্বর্ণাঙ্গুরি চিনিতে পারিয়া তাহাকে রাজপ্রাসাদে লইয়া যান এবং সেখানে এক বৃহৎ প্রাসাদ প্রস্তুত করাইয়া সমস্ত দেওয়ালে দুই ভ্রাতার জীবনবৃত্তান্ত চিত্রিত করান। এদিকে ভোরবং স্ত্রীর অন্বেষণে সেই স্থানে উপস্থিত গুচয় চিত্রিত দেয়াল দেখিতে পান এবং সমস্ত ঘটনা স্মরণ হইয়া রাজপ্রাসাদে গমন করেন। ইতিমধ্যে ইন্দ্রও কেশীকে রাজপ্রাসাদে উপস্থিত করান। তখন সকলে মিলিত হইয়া বিমাতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে প্রবৃত্ত হন । যুদ্ধে বিমাতাকে বিতাড়িত করিয় তাহদের পিতাকে পুনরায় রাজসিংহাসনে প্রতিষ্ঠা করান। এখনও কাম্বোডিয়ায় এই যুদ্ধ যে পাহাড়ে ইষ্টয়াছিল বলিয়। কথিত আছে তাহাকে ভোবৃবং-সৌরীভং পৰ্ব্বত বলা হয়। আশ্চর্য্যের বিষয় কাম্বোডিয়ার এই গল্পটির সঙ্গে বাংলার প্রসিদ্ধ শীত-বসন্ত গল্পের একটি হুবহু মিল দেখিতে পাওয়া ñGT-S5, GR Tefeitost Folk Literature of Bengal পুস্তকের ১৬৬ পৃষ্ঠায় এই গল্পটিতেও দেখিতে পাই .' শীত-বসন্তও সংমা কর্তৃক নির্বাসিত হন। এখানেও সংগের যুদ্ধ ও তাহদের ঐ অনুরূপ কথোপকথন আছে। স্ট্রেী ঘুমন্ত শীতকে পৃষ্ঠে করিয়া লইয়া গিয়া রাজসিংহাসনে প্রতিষ্টত করে । একজন সদাগর বসস্তকে বন্দী করিয়া রাপে । কিন্তু সদাগরের যে বাণিজ্য-পোত জলে ভাসানো ধাইতেছিল না উহা বসন্তের স্পর্শে সম্ভবপর হইল। বসন্ত রাজকুমারীকে বিবাহ করেন কিন্তু সদাগর দুষ্টবুদ্ধিবশতঃ *সূত্ৰধারার সময়ে কন্যাকে জলে ফেলিয়া দেন এবং এই रे७----९ ※,1 বৃহত্তর ভারতে বঙ্গ-সংস্কৃতির প্রভাৰ $వ* গল্পের শেষও ঠিক ভোরবং ও সৌরীভং গল্পের অনুরূপ। দীনেশবাবুর মতে এই গল্পগুলি প্রাচীন বৌদ্ধগল্প এবং উহ! পালরাজত্বের সময় হইতেই এদেশে প্রচলিত হইয়া আসিতেছে । স্বতরাং ইহা নিঃসন্দেহ যে অষ্টম শতাব্দীর শেষ-ভাগ হইতে চতুর্দশ শতাব্দী পৰ্য্যন্ত বাংলার সংস্কৃতি কাম্বোডিয়া দেশকেও বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করিয়াছিল এবং এই সময়েই বাংলার স্থাপত্যশিল্প কাম্বোডিয়ায় প্রবর্তিত হয়। বিজনবাবুর উক্ত পুস্তকের ২৭৪ পৃষ্ঠায় এইরূপ উল্লেখ আছে, "ফরাসী পণ্ডিতেরা স্বীকার করেন যে যদিও ফু-নানের স্থাপত্য শিল্পের সহিত (বিশেষভাবে অলঙ্কার খুঁটিনাটিতে ) পহলবদেশীয় স্থাপত্যশিল্পের সাদৃশু আছে কিন্তু দ্বিতীয় যয়বর্ধণ কর্তৃক প্রবৰ্ত্তিত স্থাপত্যশিল্পের সহিত দক্ষিণ ভারতীয় স্থাপত্যের বিশেষ কোন সাদৃশু নাই ।” গ্রস্লিয়ার ( Groslier ) লিথিয়াছেন, “সম্ভবতঃ সপ্তম শতাব্দীর হাঞ্চির ( Hanchi, কাম্বোডিয়া ), ইষ্টক নিৰ্ম্মিত মন্দিরের সহিত বুদ্ধগয়ার মন্দিরের ঘনিষ্ঠতম প্রকৃতিগত সম্বন্ধ আছে। দ্বিতীয় যয়বর্মণের সময়কার নিৰ্ম্মিত হাঞ্চিমন্দিরের অভ্যস্তরভাগ দক্ষিণ-ভারতীয় প্রভাব হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত এবং ইহা বুদ্ধগয়া মন্দিরের ক্ষুদ্র সংস্করণ মাত্র।" গ্রস্লিয়ারের সম্পূর্ণ এই মত যে সপ্তম শতাব্দী হইতে দশম শতাব্দী পৰ্য্যস্ত কাম্বোজের স্থাপত্যশিল্প মগধ-প্রভাবে অনুপ্রাণিত হইয়াছিল । এমন কি যখন এই ইষ্টকনিৰ্ম্মাণ-পদ্ধতি রুচিহীন হইয় পড়ে তাহার পরেও বেয়নের মন্দিরগাত্র ফলকে ইহা উৎকীর্ণ দেখিতে পাওয়া যায়। এইরূপে দক্ষিণ-ভারতের শৈব স্থাপত্য কাম্বোজে মগধ-স্থাপত্যের স্থান করিয়া দিতে বাধ্য হয়। এখন আমরা সপ্তম শতাব্দীর শেষভাগে ইৎ সিং কর্তৃক বিবৃত নালন্দার অবস্থা সম্বন্ধে দেখিতে চেষ্টা করিব। ইৎ সিং লিথিয়াছেন যে নালন্দার মন্দিরসংলগ্ন দ্বার খুব উচ্চ ছিল এবং উহ নানারূপ স্বন্দর মূর্তিদ্বারা অলঙ্কত ছিল । চতুষ্কোণাকৃতি মন্দিরের চতুষ্পার্থে বৰ্দ্ধিত ছামণ্ডিত দীর্ঘ মঞ্চ ও অন্তর্ভাগে প্রশস্ত স্থান ছিল। ভিতরে আটটি মন্দির ছিল । মানমন্দিরের জন্তও বেদী ছিল। মন্দিরগুলির একটির

  • Recherches ຮurios dumbolgieng, pp. 359,”