পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పేవూ উপরে আর একটি এইরূপভাবে ত্রিতল ধাপে নিৰ্ম্মিত হইত এবং যাতায়াতের স্ববিধার জন্য ইহার মধ্যে ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ থাকিত। ইটের এইরূপ গড়নের উচ্চতা প্রায় ১• ফুট হইতে ৩০ ফুট পৰ্য্যন্ত হইত। সৰ্ব্বোচ্চে একটি মামুষারুতি মস্তক নিৰ্ম্মিত হইত এবং একটি পুকুর মন্দির পাশ্বে ছিল তাহাকে বলা হইত সপক্ষ ভুজঙ্গের (নাগ ? ) পুকুর । এই বিবরণটির সহিত নাগপুকুর-সংযুক্ত হরিহরালয় এবং অমরেন্দ্রপুরের মন্দিরগুলির হুবহু সাদৃশু আছে। ইহা ছাড়া হয়েন সাংও মগধের বৌদ্ধমঠ সম্বন্ধে লিখিয়াছেন ( Watters : Translation, Vol. II. p. 105 ) cx, এখানে চতুঃপ্রাঙ্গণবিশিষ্ট ত্রিতল মহাযান বৌদ্ধ মঠ ছিল। মধ্যদ্বারস্থ পথের অগ্রভাগে তিনটি মন্দির ছিল এবং ইহাদের পাদদেশে দোকানপসার থাকিত এবং দেয়াল ও সোপানশ্রেণী উদগত খোদিত মূৰ্ত্তি-দ্বারা অলঙ্কত ছিল। হুয়েন সাং নালন্দা সম্বন্ধেও লিখিয়াছেন ( স্থয়েন সাংএর জীবনচরিত-লেখক Beal, p. 111 ) যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ সৌধগুলি একত্রিত ছিল এবং বহিঃপ্রাঙ্গণ চারিটি উন্নত ধাপে নিৰ্ম্মিত ছিল। ( পাহাড়পুরের সহিত এই মন্দিরগুলিরও একটি সাদৃশ্ব আছে দেখিতে পাই ) । কাম্বোজের স্থাপত্য সম্বন্ধেও অনেকের মত যে ইহার মূলভিত্তি ভারতে কোথাও পাওয়া যায় না, সুতরাং কাম্বোজের ইহা নিজস্ব স্থাপত্য-পদ্ধতি কিন্তু উক্ত সব বিবরণ ইহার সত্যতা নিৰ্দ্ধারণ করিবে। ইহাও সত্য যে উত্তর-ভারতীয় মন্দির বিশেষভাবে পালযুগের মন্দিরগুলি প্রায় লুপ্ত হইয়া গিয়াছে এবং যাহা আছে তাহা এক পাহাড়পুর মন্দির ব্যতীত আজ পয্যন্ত অন্য কোন মন্দির এখনও আবিষ্কৃত হয় নাই। [ সম্প্রতি 'অমৃতবাজার পত্রিকা", বৃহস্পতিবার, ফ্রেব্রুয়ারী ১৪,১৯৩৫, সংখ্যায় প্রকাশিত হইয়াছে যে দিনাজপুরের বৈগ্রামে শিবমণ্ডপ নামে একটি স্তুপ পাওয়া গিয়াছে এবং ডক্টর বসাক এইখানে প্রাপ্ত একখানি তাম্রশাসন পাঠ করিয়া বলিয়াছেন যে এই মন্দিরটি শিবাননা কর্তৃক ৪৪৮ খ্ৰীষ্টাব্দে (গুপ্তকাল ১২৮ ) নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এখনও ইহার খননকাৰ্য্য আরম্ভ হয় নাই এবং আশা করি এই শুপটিতেও আমরা অনেক নূতন তথ্য পাইব । ] যশোৰঙ্গণের সহিত নূতন স্থাপত্য-পদ্ধতিই শুধু কাম্বোজে প্রতিষ্ঠা লাভ করে নাই, ইহারই রাজত্বকালে কাম্বোঙ্গে স্থাপত্য ør) SNలీ8షీ শিল্পের চরম উন্নতি সাধিত হয়। এই সব মন্দিরেও যে অক্ষরলিপি পাওয়া গিয়াছে সেই সম্বন্ধে বিজনবাবু তাহার উক্ত পুস্তকের ১০৯ পৃষ্ঠায় লিথিয়াছেন, “যশোবর্মণের সঙ্গে যে অক্ষরমালা কাম্বোজে উপনীত হয় উহা উত্তর-ভারতীয় অক্ষর । * * * সাধারণতঃ এই অক্ষরগুলি দেবনাগরীর মত অত বিস্তৃত নয় কিন্তু বঙ্গাক্ষরের মত দীর্ঘ, খাড়া ও অসরল। জাভা এবং কাম্বোজের এই নূতন অক্ষরলিপিতে খাড়াটান প্রায় সৰ্ব্বদাই দক্ষিণ দিকে দেখিতে পাওয়া যায়। ইহা বঙ্গাক্ষর ব্যতীত ভারতের আর কোন বর্ণমালায় দেখিতে পাওয়া যায় না । বাৰ্ণেলেরও মতে. এই অক্ষরগুলির সহিত বঙ্গাক্ষরের সাদৃশ্ব আছে এবং ইহাছাড়া আর একটি বিশেষ প্রমাণ এই খে কাম্বোজের এ-কার স্বরবর্ণ বঙ্গাক্ষরের মত ব্যঞ্জনবর্ণের বা দিকে বঁকাইয়া লেখা আছে উহা নাগরীর মত ব্যঞ্জনবর্ণের মস্তকে লেখা নাই ।” এই বঙ্গ-প্রভাব কাম্বোজে কতদিন পৰ্য্যস্ত স্থায়ী হইয়াছিল তাহ নিম্নলিখিত কথাটি হইতেই উপলব্ধি করিতে পারি। confers (Ramusio) fsfalts-, “In the middle of the 16th century there was a great demand in Kambuja for Bengal Мuslim." setts, city” afsij?ђа মধ্যভাগে কাম্বোজে বঙ্গের মসলিনের ভীষণ চাহিদা ছিল। vহরপ্রসাদ শাস্ত্রী লিথিয়াছেন, “বল্লাল সেনের রাজত্ব কালে বাংলার বৌদ্ধের ভীষণভাবে নির্ধ্যাতিত হয় এবং সেইজন্য তাহারা যে যাহার মত দেশবিদেশে ছড়াইয় পড়ে। ইহারাই নানাদিকে বৌদ্ধ মত প্রচার করিত এবং মৃদুর পূৰ্ব্বখণ্ডেও দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালাইত "* পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ ভাগেও বাংলার বস্ত্র, চিনি প্রভৃতি বিদেশে চালান যাইত এবং এই সব দেশের সঙ্গে বাংলার ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ স্থাপিত হইয়াছিল উহা প্রাচীন বাংলার কবি কর্তৃক লিখিত ‘মনসার ভাসান, ‘কবিকঙ্কণ চণ্ডী প্রভৃতি কাব্যেও উল্লেখ আছে দেখিতে পাই । কাম্বোজের প্রায় এই সময়ের অধিকাংশ মন্দিরেরই স্থাপত্য অভিজ্ঞান বঙ্গদেশের স্থাপত্য এবং প্রসিদ্ধ আঙ্কোরভাট এই বঙ্গ স্থাপত্য হইতে প্রভাবান্বিত হইয়াছিব • Introduction to Modern Buddhism and it: Followers in Orissa by N. N. Vasu.