পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ዩ জুৰমতীতে নতুন গুলদয়েছে— গুমগুন করে গাজী তার ওপর দিয়ে চলে ধৰে। ফুপ করে তোমার গাজীখন ৰদি ছিড়ে পড়ে গাঙের জলে। ...কিংবা ধরে—তুমিই যদি গাতীর জানাল দিয়ে যাও পড়ে--- বধু কিন্তু ভয় পায় না ; ফিক করিয়া হাসিয় ফেলে। বলে—মুন্ধিল তা হ’লে তোমার বটে। আবার ছালনাতলায় গিয়ে নতুন শালীশালাজের ঠোন খেতে হবে। না ?—বলিয়া তাকাইয়া থাকে। আবার বলিয় ওঠে—সে ভয় নেই গো। পড়ি ত ডুববে না কিছুতে, ভেসে উঠব। দুধমতী মেয়েমানুষ—আমিও। সে আসবে মেয়েমামুষের সঙ্গে লাগতে-ভয় নেই মনে মনে ? একটা মজার গল্প এ অঞ্চলের বি-বউ বলাকওয়া করিয়া থাকে। গল্পটা নদীর ঐ পুলের সম্বন্ধে। সত্য হইলে, মেয়েমানুষ সম্পর্কে দুধমতীর ভয় থাকিবার কথাই বটে। লোহালক্কড়ের জালে আবদ্ধ নদী ; বুকের উপর সেতুর জগদল পাথর লইয়া এই বছরখানেকের মধ্যেই তার উদ্ধাম তরঙ্গ বেশ শাস্ত ও ভদ্রতাসঙ্গত হইয়া উঠিয়াছে। ঐ জলের বেগ কমাইতে কোম্পানী বাহাদুর জলের মত টাকা ঢালিয়াছেন, কত লোকজন আসিয়াছিল, এপার ওপার ছাউনী করিয়াছিল, ছোটসাহেব বড়সাহেব কত আসিল, তাদের ক্লাস্তিহীন অবিরাম চেষ্টা দুধমতী বুদ্ধদের মত, একটি কলমী-ডগার মত, তীরবর্তী অসহায় বাবলা-শিগুগুলার মত, অবহেলায় ডুবাইয়া ভাসাইয়া লইয়। যাইত। শেষে ত কোম্পানী রাগিয়া খুন--সাহেবের চাকরি থাকে না এমনি গতিক,— হঠাৎ কোথা হইতে একদিন মেমসাহেব আসিয়া হাজির। গাছ-কোমর বাধিয়া মেমসাহেব নদীর পাড়ে কোন্দল করিতে আসিল—দেখি ভূধমতী, তোর আম্পৰ্ব কেমন ! আমার বরের চাকরি খাবি ? মেমসাহেব নিজে সাহেবের পাশে থাকিয় লোহালক্কড় বলাইতে লাগিল। দ্বধ্বতী সেই হইতে এতটুকু। গাঙ বধি হইয়া গেল। মেয়েমানুষকে পুরুষে জদ কবে করিতে পারিয়াছে-মেয়ে নইলে হয় না ওসব। রওনা হইবার জাগের নি খুব রাগ করিয়া জাসিয়া ফুলকুমাৰী বলিল—ডিঙি তোমার কে ঠিক করতে বলেছে, শুনি ? ఆure নিৰ্ব্বিকার কণ্ঠে ত্রিলোচন বলিল—জেমছিলাম, শক্তি সত্যিই যাবে বুঝি। না যাও ত বল, মানা করে পাঠাই— ফুলকুমারী কহিল—ষ্ঠা, ডিঙি মান করে বড় দেখে পানী ভাড়া কর গে। নন্দ ষাৰে, পটু বাবে, হারাণও যাবে... শোন একটা মজার কথা—কাল ন-থিসি এমনি একবার হারাণকে বলেছে, তোকে নিয়ে স্বাবে না কলকাতায়-ছেলের সেই থেকে মুখের ভাৰ যদি দেখ–কিছুতে শান্ত করতে পারি নে— —তিমু, টুনি, সত্ত—ওরাই বা দোষ করলে কি, বউ? ওদের নেবে না ? মুখখানি বিষন্ন করিয়া বধু কহিল—তাই ত ভাৰছি। রাতদিন যা করে বেড়ায়—আমি টিকটিক ক'রে মরি। না নিয়ে গেলে দেখবে কে ? তোমার হাতে দিয়ে যাব, ভেবেছ ? ত্ৰিলোচন হাসিয়া ফেলিয়া বলিল—জৰিও তাই বলি বউ, হয় দলমৃদ্ধ রওনা হও ; নয়ত আর দিনকতক সবুর করে, ছেলেপিলে তোমার বড় হোক –কিন্তু ষে রকম সব শাস্ত শিষ্ট—দলমৃদ্ধ নিয়ে পথে ঘাটে সামলাতে পারবে ত ? ফুলকুমারী রাগিয়া উঠিল । বলিল—আমার বয়ে গেছে। আমি যাব তীর্থ করতে, সঙ্গে পল্টন নিয়ে যাব ! ভারী আমার ইয়েরা কিনা, একটাকেও নেব না । দ্রুতপদে সে চলিয়া গেল। রাত্রে ত্রিলোচন আসিয়া খবর দিল—এই মন্ত বড় পাগী, একেবারে চার টাকা আগাম দিয়ে এলাম। তোমার সবস্থদ্ধ স্বচ্ছন্দে ধরে যাবে বউ,— ফুলকুমারীর তবু আপত্তি। বলে—উমাপদর সঙ্গে যাচ্ছি না, তা ব'লে। ছেলেপিলে নিয়ে-ও বলে নিজেই এক ছেলেমানুষ । তোমাকে যেতে হবে । ঞ্জিলোচন স্বীকার করিল-জাজছ । ফুলকুমারী তৰু ভাবিতে লাগিল। বলিল—সকালে উঠে ठिछ् नरूप्क शब्रय भूफ़ि ceरज विहे ; नन्न भूकि पब्रि न, খালি স্থধ। তোমার কলকাতায় ছধ-গুড়ি পাওয়া যায় ত? ত্ৰিলোচন কহিল—ষায় বোধ হয় । ফুলকুমারী কহিল—আন্দাজী বললে ছেলেপিলে নিয়ে ৰাই কো ভয়পায় ? তুমি একটু খবরও নিতে পাঞ্জমি ? আবার