পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8R প্রবাসী ১৩৪২ ভাৰূরী বাধিয়া নিসাঁর দিকে রওনা হইল। টিপি টিপি বৃষ্টি পড়িতেছিল, দু-জনেই ঘোংড়ী (দেশী কম্বল) দিয়া মাথা ও শরীর মুড়িয়াছে। আট ক্রোশ পথ চলিবার পর দেখে বর্ষায় নদী ফুলিয়া ফাপিয়া উঠিয়াছে। পাহাড় হইতে লাল জল প্রবল স্রোতে বহিয়া চলিয়াছে। রামভাউ বলিল, “দত্তোব, এখন উপায় ?” দত্তোব বলিল, “রামভাউ, এত পথ যখন এসেছি, তখন যাবই।" দুজনে পরিবার কাপড় ও ভাকুরী ঘোংড়ীর ভিতর পোটল করিয়া বাধিয়া হাতের উপর উচু করিয়া ধরিয়া লেংটি পরিয়া জলে নামিয়া পড়িল, এবং পরপারে, প্রায় আধ মাইল নীচে গিয়া উঠল। তার পর বহু পথ পৰ্য্যস্ত নদীতীরের কালে জমির উপর লাল লাল পায়ের চিহ্ন ফেলিয়া তাহার নিসাঁর দিকে অগ্রসর হইল । নিসাঁ গিয়া জানিল সখারামকে শহরের হাসপাতালে লইয়া যাওয়া হইয়াছে। তখন রামভাউ বলিল, “দত্তোব, এবার কোলাপুর যেতে হয়, চল রেলে যাব।” অনেক অনুরোধ সত্বেও রামভাউ বেহাইয়ের বাড়ির আতিথ্য গ্রহণ করিল না। ষ্টেশনের দিকে যাইতে যাইতে দত্তোবা বলিল, “রেলে যে যাবে রামভাউ, পয়সা এনেছ ?” রামভাউ ট্যাক হইতে নগদ এক টাকা এগার আনা খুলিয়া দেখাইল । দু-জনে গাড়ীতে বসিয়া ভাকুরী খাইল, কোলাপুর ষ্টেশনে নামিয়া নল হইতে জল খাইল । হাসপাতালে গিয়া দেখিল, সখারাম ভাল করিয়া কথা বলিতে পারে না, একটা লোহার খাটের উপর গুইয়া আছে। রামভাউয়ের হাতে তখন এক টাকা ছয় আনা বাকী ছিল, তাহা হইতে জামাইকে দুধ খাওয়াইবার জন্ত এক টাকা দিয়া, বাকী ছয় আনায় দুই জনে তিনদিন কোলাপুরে থাকিয়, চতুর্থ দিন তোর রাত্রে রওনা হইয়া বেলা এক প্রহরের সময় বটগায়ে গিয়া পৌছিল। বাড়ি আসিয়া রামভাউ আহার-নিদ্ৰা ত্যাগ করিল। দত্তোব বলে, “রামভাউ ঘাবড়াচ্ছ কেন ?" এমন দুৰ্ব্বলতা রামভাউরের মধ্যে দত্তোব কোনও দিন দেখে নাই। কয়েক দিন পূৰ্ব্বে ক্ষেত্রের সীমানা লইয়া কামার আর মারাঠাদের মধ্যে লাঠালাঠি হইয়া গিয়াছে, রামভাউ দলের নেতা হইয়া দারুশ ভাবে লাঠি চালাইয়াছে, মনে হইয়াছে তাহার যেন অসীম ক্ষমতা। কিন্তু আজ যেন সে শিশুর মত দুৰ্ব্বল । কিছু দিন বাদে যখন রামভাউ আর দত্তোব আবার কোলাপুরে গেল, তখন গিয়া দেখিল, হাসপাতালের কালে খাটটা খালি পড়িয়া আছে।—চৌদ্দ বৎসর পূর্ণ না হইতেই ধোওঁী বিধবা হইল। কয়েক দিন পর্য্যস্ত ধোওঁী হাসিল না, মাঠে গেল না, ঘরের মধ্যে চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। গাই মরিয়া গেলে বাছুর যেমন হাম্বা হাম্বা ডাকে, অথচ কি হইয়াছে বলিতে পারে না, সে রকম। শুধু বুড়ী কুতুমাসী এক-এক বার বিলাপ করিয়া উঠতে লাগিল । কিন্তু কিছু দিন পরে ধোওঁী সব ভুলিয়া গেল। রীতিমত কাজকৰ্ম্ম করিতে লাগিল, যেন কিছুই হয় নাই। দুপুরে সে রামভাউয়ের ভাকুরী লইয়া ক্ষেতে যাইত। এখন কুণ্ডুমাসীকে আর ভাকুরী তৈরি করিতে বা জল ভরিতে হয় না, সবই ধোওঁী করে। সে মাঠে আসিয়া খুব যত্ন করিয়া রামভাউকে খাওয়াইত। দত্তোবাকে মাঝে মাঝে বলিত, “দত্ত, মামা, তোমাকে একটু লোঞ্চ ( আচার ) দেব ? এইটে খেয়ে দেখ, আমি নিজে করেছি।" দত্তোব খাইয়া খুনী হইত, সেই অবধি বাড়ি হইতে পুটলী বাধিয়া দুইখানার জায়গায় আড়াইখানা ভাকুরী আনিত । ধোওঁী বিধবা হইবার পর রামভাউ বিশেষ করিয়া তাহার জন্য রাঙা রাঙা শাড়ী আর রং-বেরঙের কাচের চুড়ি আনিয়া দিত। শুধু তাহার কপালটি খালি থাকিত—তাহাতে সিদ্ধর পরিত না । বছরের পর বছর ধোওঁী বাড়িয়া চলিল, আর তাহার মায়ের মুখত্র তাহার মধ্যে ফিরিয়া আসিতে লাগিল । এক দিন দত্তোবাই তাহাকে চিনিতে পারে নাই। সেবার ধোওঁী দেবরের বিয়েতে শ্বশুরবাড়ি গিয়াছিল, মাস-তিনেক পরে ফিরিয়া আসিয়াছে । এক দিন দত্তোবা দেখিল মাঠ হইতে একটি মেয়েমানুষ একঝাকা ঘাস মাথায় লইয়া যাইতেছে। মুখের দুই দিকে ঘাস বুলিয়া পড়িয়াছে, মাঝখানে ঠিক যেন গাছের পাতার ভিতরে টাদের মত একটি গৌরবর্ণের মুখ শোভা পাইতেছে। দত্তোব खाँदिण, अर्गेल्न ७यन ब्रोड ८बौ ि८क ? किङ्ग क्न अिश्ब्र