পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহণয়ণ বাংলার পাল-শিল্পের ক্রমবিকাশ ≤@ፃ যাইতে পারে। এই সময়েই গৌড় মগধে পাল-শিল্পের, উড়িষ্যায় কলিঙ্গ-শিল্পের, তামিল দেশে পহলব-শিল্পের ও কর্ণাটকে চালুক্য-রাষ্ট্রকূট শিল্পের স্বচনা হয়। কিন্তু এই সকল শিল্পধারার প্রাদেশিক বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও গুপ্তকলাদ্বারা অনুপ্রাণিত হওয়ায় প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের অল্পবিস্তর আকারগত ও রসগত সাদৃশু আছে। এই সাদৃশুই উহাদের ভারতীয়তাকে আরও নিবিড় করিয়া তুলিয়াছে। প্রাদেশিক প্রভাব ও জাতীয় বৈশিষ্ট্যের গুণে কোথাও একটা কিছু অভিনব বা ছন্নছাড়া শিল্পাদর্শ তৈয়ারী হয় নাই। খ্ৰীষ্টীয় অষ্টম হইতে দ্বাদশ শতাব্দী পর্য্যস্ত বাংলা দেশে পাল ও সেন বংশের রাজাদের আমলে শিল্পকলার যে দীর্ঘ চার শত ংসরের ইতিহাস পাই তাহার মূলও নিহিত গুপ্ত-যুগের অতুলনীয় শিল্পপ্রথায়। গুপ্ত আদর্শে উদ্ভাসিত হইয় বাংলার পাল-শিল্প তাহার প্রথম যুগে প্রতিবেশী অন্যান্য প্রদেশের রূপভঙ্গীর সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া কিরূপে ধীরে ধীরে অগ্রসর হইয়াছিল ছবিকয়গানি দেখিলে তাহার সামান্য আভাস পাওয়া যাইবে ।

  • প্ৰাণী—সপ্তম শঙীন্দী-কোট, গোয়ালিয়র চিত্রশীল।