পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পশ্চিমযাত্রিকী শ্ৰীমতী তুর্গাবতী ঘোষ ( & ) ট্রেনে চলছি, ট্রেনগুলি আমাদের দেশের আসাম মেলের ধরণের । সমস্ত গাড়ীটিতে করিডর অথব| বারান আছে । গাড়ীর গদিগুলি লেশ আরামের, নরম ভেলভেট দেওয়া । এই দ্বিতীয় শ্রেণীর গাড়ী, আর এক প্রথম শ্রেণীর আছে । তা’তে বড় বড় রথী-মহারথীরাই স্বাণ । আমাদের মত সাধারণ ব্যক্তির এই দ্বিতীয়তেই সাতায়াত রাত্রে সারারাত ট্রেলে ভ্রমণ করবার দরকার তলে পয়সা ওয়াল! করে | লোকের শ্লিপিংকার ব্যবহার করেন । এতে গদা, তোষক, কম্বল, বালিস, মৃৰ্থ মোছবার তোয়ালে সবই থাকে। আর দ্বিতীয় শ্রেণীতে রাত্রিবাস করতে করতে ধার! চায়, তার কুশান-চেয়ারে ঠেস দিয়ে ৰসে যেতে পারে । যদি কারুর বালিস একটা দরকার হয় ত তার ব্যবস্থাও আছে । প্রত্যেক ষ্টেশনে বালিস ভাড়া পাওয়া যায়। তুমি দুই-এক লীরা দাম দিয়ে একটি ছোট কুশানের আকারের সাদ ওয়াড়-পরানে ভষির বালিস কেন । তার পর তোমার গন্তব্যস্থানে পৌছে, নামবার সময় বালিসটাকে ফেলে ষেও, সেই ষ্টেশনের বালিস-কোম্পানীর লোক আবার তাকে তুলে ওয়াড় বদলে ভাড়া খাটাবে, এই বন্দোবস্ত । যাদের জিনিষ তারাই ফিরে পায় ! অত লোকে টান মারে ন! । মস্ত কণ্টিনেণ্টের এই রকম ব্যবস্থা দেখেছি । আমাদের এক পরিচিত ভদ্রলোক কিছুদিন যাবৎ ভারতবর্ষের বাহিরে ছিলেন । এই রকম দেখে তার বোধ হয় ধারণা ছিল আমাদের এখানেও ওই রকম বালিস পাওয়া যায়ু । আমব খবর পেয়েছিলুম তিনি একবার কাশী থেকে কলকাতা আসবার সময় ষ্টেশনে বালিস বালিস ক'রে চেচিয়েছিলেন । আমরা এখন ইটালীর সীমাস্ত অতিক্রম ক’রে সুইটজারল্যাণ্ডে ঢুকছি। পথের দৃশু অতি পাহাড়, ঝরণা ও ইটালীর লেকের ধার দিয়ে দিয়ে ট্রেন চলছে । আমি বাইরের দুষ্ঠা দেখবার জন্য করিডরে রেলিং ধ’রে দাড়িয়ে দাড়িয়ে চলেছি । লেকের এপারে ট্রেন, লেকের উপরে ষ্টীমার আর অপর পারে মোটর চলছে । আমার মত অনেক লোক দাড়িয়ে দেখতে দেখতে সকলেঙ্গ একবার ক’রে আমাকে ক্ট কৰে দেখে নিচ্ছে, আর মাঝে মাঝে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে। “গান্ধীটেগোরে, ইণ্ডিয়ানে।। অর্থাৎ ভাবে বুঝলুম আমরা যে মহাত্মা গান্ধী “ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ইণ্ডিয়ার দেশের লোক, তার তাই বলছে । বাইরের দিকে তাকিয়ে আমি চলেছি, পথে দু-ধারে ফলের রাজত্ব, পাহাড়ের গায়ে, মাঠে, লোকের বাড়িতে দেওয়ালে, জানালায়, কাৰ্ণিসে, যেদিকে চাও সেই দিকেই কেব: নানা রঙের ফুল। মাঝে মাঝে ষ্টেশনে গাড়ী থামলে স্থপণ সুন্দর । চলেছে ! তাকিয়ে