fরগি—পাৰ্ব্বত্য রেলপথ উপভোগ করতে করতে সালভাটোরে যাবার ষ্টেশনে পৌছলুম। ষ্টেশনে আমাদের মত আরও অনেক লোক এসে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করছিল। উপরের পাহাড় থেকে একটি গাড়ী গড় গড় করে নেমে এল, গাড়ীখান দেখতে ট্রাম ও বাসের মাঝামাঝি। তাতে আমরা সবসমেত চড়ে বসলুম। মোট যাত্রী প্রায় ৫ম-চব্বিশ হবে । বসবার সিটগুলিতে দুই জন করে বসা যায়। গাড়ীখনি ইলেকটি সিটির দ্বারা হেলানভাবে পাহাড়ের গা বেয়ে উঠতে লাগল। কিছুদূর উঠেই একটি সমতল ছোট জায়গায় এসে থামলে, দেখি সেখান থেকে উপরে যাবার জন্য আরও একটি ওই রকম গাড়ী আছে । আমরা সবাই নেমে তাইতে চড়লুম ও অন্যান্য যাত্রীরা যারা নীচেয় যাবার জষ্ঠ অপেক্ষা করছিল, তারা আমাদের আগেকার গাড়ীখানিতে উঠল । তার নীচেয় নামতে লাগল, আর আমরা টিকটিকির দেওয়ালে চড়ার মত এ{iম একদম সোজাভাবে ওপরে ડેઝ:૭ লাগলুম। আগেকার _.
- াখালিতে সিটগুলি মুখোমুখি ছিল, কিন্তু এবারকার গ:াটি একেবারে সোজাভাবে ওঠার দরুণ বসবার সিটগুলিকে লে সালে পোতা তাকের মত তৈরি করতে হয়েছে। যতই ‘রে উঠ, নীচেকার দৃপ্ত তত আরও ছোট ছোট দেখাতে ‘গল ও অনেক দূরে দূরে বরফে-ঢাকা পাহাড়ের চুড়াগুলি
يت الإدم 8تا পশ্চিমষাত্রিকী RSS বেশ স্পষ্ট দেখতে পেতে লাগলুম। এরই নাম ফিউনিকুলার ট্রেন । একেবারে ওপরে এসে গাড়ী থামূল। আমরা সবাই নেমে পড়লুম। শুনলুম ঘণ্টাখানেক পরে আবার নীচে নামবার জন্য ট্রেন ছাড়বে। পাহাড়ের ধারে ধারে লোহার রেলিঙ বসিয়ে বেড়ার মত ক’রে দিছিল। তাই ধ’রে আরও খানিকটা উপরে এসে চারিদিককার দুখ দেখে অবাক হয়ে গেলুম। অনেক দূরে বরফে-ঢাকা পাহাড়ের চুড়াগুলি রোদ লেগে ঝকঝক করছে। অনেক নীচুতে লুগানো শহরের ঘরবাড়ি ও গীর্জার চূড়াগুলি তাসের বাড়ির মত দেখাতে লাগল। চারিদিকে নীল হ্রদ, তার ধার দিয়ে মোটর চলে যাচ্ছে, দেখলে মনে হয় ছোট ছেলের খেলবার মোটর গাড়ী চলছে। ট্রেন যাচ্ছে, কে যেন দম দিয়ে খেলনার রেলগাড়ী চালিয়ে দিয়েছে। ফসলের ক্ষেতগুলিকে সবুজ রঙের কারপেটের মত দেখাতে লাগল। স্যালভাটোরের উচ্চতা সমুদ্র থেকে ৬,০০০ ফুট। আমাদের সহযাত্রা এক জন বৃদ্ধ ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ হ'ল। ইনি ইংলিশম্যান নন ; কোন দেশী রিগি ও পিলেটাসের দৃষ্ঠ লোক তথন শুনেছিলুম, এখন ভুলে গেছি। তিনি ইংরেজী বলতে পারেন দেখলুম। আমাদের সঙ্গে আলাপ হতে জিজ্ঞাস করলেন, “তোমরা কি খুব ছোট বয়েস থেকে. ইংলণ্ডের স্কুলে লেখাপড় শিগেছ ? তা না হ’লে এত ভাল ইংরেজী বল কি করে ? দেখ, আমি সামান্ত ইংরেজী: