অগ্রহায়ণ I.1 g ta' rbrunnen. Štu u bħa...! ミ&Ne লিটার বলেন এই তিন জন আছি। খাবার সময় হোটেলের সর্দার বামুনকে জিজ্ঞাসা করলুম, “আমাদের জন্য মটন-কারি তৈরি করে দিতে পার ?” প্রথমটা সে ফ্যালফেলিয়ে চেয়ে থেকে তার পর বললে, “সে কি জিনিষ?” বলে দিলাম কারি পাউডার দিয়ে রান্না করতে হয়। তখন হেসে বললে, “ও ক্যারি ক্যারি দ্যাট আই নো ভেরি ওয়েল ” শুনলুম এক জন কে ভারতবর্ষীয় মহিলা লুমানে এই হোটেলে কিছুদিন আগে ক-দিনের জন্য ছিলেন, তিনি হোটেলের রাধুনীকে মুরগী, মর্টুন ও পরগোসের কারি বানাতে ও পোলাও রান্না করতে শিখিয়ে গেছেন। একটা কারি পাউডারের বোতল এনেও দেখালে । এই সব দেখেশুনে মনে বিশ্বাস জন্মাল তবে ঠিক রাধতে প! বে। আমরা খাওয়া শেষ ক’রে পরদিনের জন্য কারি গত রান্না করবার হুকুম দিয়ে উপরে ওতে গেলুম। ২৭শে জুন সকালবেল উঠে আমরা হেঁটে বেড়াতে গেলুম। ত, পর একটি ট্যান্ধী ভাড়া করে চারিদিক ঘুরে দেখতে গেণুষ । লুসান শহরটি পাহাড়ের ওপরেই, কাজেই মোটর, ট্রাম, বাস, সমস্ত পাহাড়ের ওপর আনাগোনা করছে। গাড়ী ও ড্রাইভার খুব মজবুত। আমরা লুসনের লেকে ষ্টীমার চড়ে জলের ওপর দিয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে চললুম। জলের দু-ধারেই হোটেল, সেখানে বৈকালিক চা-পান ও নৃত্য হয়, তা ছাড়া সাতার দেবার জায়গা ও তার ক্লাব, ফুলের বাগান, এই সব দেখতে দেখতে যাওয়া যায়। ঘণ্টাখানেক পরে আমরা ভিজুলাউ নামে একটি জায়গায় এসে নামলুম। এখান থেকে সোজা পাহাড়ের উপর লুগানোর মতন ফিউনিকুলার-ধরণের ট্রেন চড়ে রিগি পাহাড়ের চুড়ার ওপর ওঠা হ’ল । এর উচ্চতা ৫৯০৫ ফুট । ওঠবার সময় মাঝে মাঝে আমার কানে কি রকম তালা লাগছিল । ওপরে এসে দেখি বেশ প্রশস্ত জায়গা, সেখানে একটি খুব বড় হোটেল বয়েছে। হোটেলের ভিতরকার হলে ও বাইরের কম্পাউণ্ডে নানা রকম জিনিষের দোকান, ছোট ছোট কাঠের জিনিষ, পুতির মালা, সুইটজারল্যাণ্ডের দৃপ্ত আঁকা নানা রকম কাঠের বাক্স ট্রে ছবি ইত্যাদি বিক্রী হচ্ছে। আমি দোকান থেকে দুটি ছোট ছোট কাঠের খেলনার বুড়ো কিনলুম। বাইরের কম্পাউণ্ডে মন্ত বড় বড় ছাতা মাটিতে পোত রয়েছে, তার তলায় টেবিল চেয়ার দিয়ে চা খাবার বন্দোবস্ত ছিল । আমরা একটি ছাতার তলায় বসে চা ও কেক দিয়ে জলযোগ শেষ করলুম। এখানে দাড়িয়ে চারিদিকে বরফে ঢাকা সারি সারি পাহাড়ের চূড়াগুলি
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।