পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSo প্রবাসী SNS)8ミ রাষ্ট্রনৈতিক আন্দোলনে যোগ দিয়া তিনি ১৯০৮ সালে ২৭ বৎসর আগে কৰ্ম্মক্ষেত্র হইতে অবসর গ্রহণ করেন। অনেকে জানিতই না যে তিনি এখনও বঁচিয়া আছেন। ওকালতিতে র্তাহার এরূপ পসার হইয়াছিল, যে, তিনি য়্যাডভোকেট জেনার্যালের সমান ফী চাহিতেন ও পাইতেন। বঙ্গের অঙ্গচ্ছেদ হওয়ায় তিনি উহার বিরুদ্ধে আন্দোলনে স্বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহকৰ্ম্মী রূপে বিশেষ আগ্রহের সহিত যোগদান করেন। মিঃ ( পরে সত্ব ) কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্ত পিতার অমতে বিলাতে সিবিল সার্বিসের জন্য প্রস্তুত হইতে যান। আনন্দচন্দ্র রায় তাহার সব ব্যয়ভার বহন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ'নের জন্য যে কমিটি হইয়াছিল, তিনি তাহার সভ্য মনোনীত হন। ঢাকা পীপলস এসোসিয়েশুন ও পূৰ্ব্ববঙ্গ ভূম্যধিকারী সভাদ্বয়ের তিনি মেরুদণ্ডের মত ছিলেন। উভয়ের কায্যালয় তাহার গুহেট ছিল। তিনি জগন্নাথ কলেজের অন্যতম ট্রষ্টী ও তাহার কৌন্সিলের সভ্য ছিলেন। তাঙ্গর স্ত্রী আনন্দময়ীর নামে তিনি ঢাকায় একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়াছেন। অনেক দরিদ্র ছাত্র তাহার সাহায্যে শিক্ষালাভ করিয়াছে । এখনও অনেক দরিদ্র পরিবার তাহার বাড়ি হইতে মাসিক সাহায্য পায় । সাংখ্যদর্শনের ছাত্রদের জন্য তিনি কয়েকটি বৃত্তির ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। মনোমোহন পাণ্ডে মনোমোহন পাণ্ডে কলিকাতায় একটি থিয়েটারের স্বত্বাধিকারী ছিলেন । তিনি অনেক দরিদ্র ছাত্র ও অন্য অনেক গরিব লোককে পালন করিতেন । কাশীতে তিনি কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি ধৰ্ম্মশালা নিৰ্ম্মাণ ও প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়াছেন । ইহার দ্বারা তীর্থযাত্রীদের ও অন্য হিন্দু কাণী-দর্শকদের বিশেষ সুবিধা হইবে । ইহা তাহার স্মৃতি রক্ষা করিবে । • ব্রজবিদেহী সন্তদাস বাবাজী বুন্দাবন যাইবার পথে ব্রজবিদেহী সন্তদাস বাবাজীর প্রগলাভ হইয়াছে । গার্হস্থ্য প্রমে তাহার. নাম ছিল তারাকিশোর চৌধুরী। তিনি শ্ৰীহট্ট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন । এম্-এ ও বি-এল পাস করিবার পর তিনি ওকালতি করিতে আরম্ভ করেন এবং কলিকাতা হাইকোর্টে র্তাহার বেশ পসার হয়। মনে বৈরাগ্যের উদ্রেক হওয়ায় তিনি বিষয়কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। তিনি স্থপণ্ডিত ও ধৰ্ম্মপ্রাণ ছিলেন। তাহার গুরু কাঠিয়া বাবার মৃত্যুর পর তিনি নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের মোহান্ত পদে অধিষ্ঠিত হন। কোন বাঙালী এ পর্য্যস্ত এরূপ সম্মানিত পদ পান নাই । মৃত্যুকালে তাহার বয়স ৭৬ বৎসর হইয়াছিল। র্তাহার প্রণীত কয়েকখানি উৎকৃষ্ট বাংলা ধৰ্ম্ম ও দর্শন বিষয়ক গ্রন্থ আছে। জননায়ক বিপিনচন্দ্র পাল ও ডাঃ সুন্দরীমোহন দাসের সহিত যৌবনকাল হইতে তাহার বন্ধুত্ব ছিল । ডা: দাস র্তাহার সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছেন তাহা অন্যত্র প্রকাশিত হইল। বিপিনচন্দ্র পাল মহাশয় কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে প্রবাসীতে নিজের যে জীবনচরিত লিখিতেছিলেন তাহাতে বন্ধু তারাকিশোরের সম্বন্ধে অনেক লিথিয়াছেন । ক%। ঈশানচন্দ্র ঘোষ ঈশানচন্দ্র ঘোষ যশোর জেলার একটি গ্রামে দরিদ্র এক কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নয় বৎসর বয়সে তাহার পিতৃবিয়োগ হয়। অন্যের সাহায্যে র্তাহীকে বাল্যকালে জীবনের পথে অগ্রসর হইতে হয়। তিনি বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমশীলতা দ্বারা সকল পরীক্ষায় রুতিত্বের সহিত উৰ্ত্তীর্ণ হন ও বৃত্তিলাভ করেন । এই প্রকারে তিনি উচ্চশিক্ষ লাভ করিতে সমর্থ হন। কলেজের শিক্ষা সমাপ্ত করিয়া তিনি কিছু কাল ছাত্র পড়াইয়া ও খবরের কাগজে লিখিয় নিজের ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করেন । ১৮৮৫ সালে তিনি সরকারী শিক্ষা-বিভাগে প্রবিষ্ট হন। তিনি হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রূপে উহার যথেষ্ট উন্নতি সাধন করেন। তিনি হুগলী নম্যাল স্কুলের হেডমাষ্টার ও প্রেসিডেন্সী বিভাগের স্কুল-ইন্সপেক্টর হইয়াছিলেন । কিছু কাল তিনি শিক্ষা-বিভাগের সহকারী ডিরেক্টর ছিলেন । সরকারী কাজে যিনি এত দূর অগ্রসর হইয়াছিলেন র্তাহাকে, পুলিসের সব-ইন্সপেক্টরের মৃত, রায়