পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ية الاج.ج. বাঁকুড়ায় দুর্ভিক্ষ সম্বন্ধে বাঁকুড়া সম্মিলনীর পরিদর্শনকারী কৰ্ম্মচারী ও সভ্যগণের রিপোর্ট বঁকুড় জেলায় গত বংসর সুবুষ্টর অভাবে ভালরূপ শস্ত না হওয়ায় গৃহস্থের সম্পূর্ণ খাবার জোগাড় ছিল না। তদুপরি এ বৎসরও যথাসময়ে বুষ্টি না-হওয়ায় গত শ্রাবণ মাসের শেষ পর্য্যস্ত চাষ-আবাদ হয় নাই বলিলেই হয় । সেকারণ গত শ্রাবণ মাস হইতেই সাধারণ সুষ্ঠস্থ ও শ্রমজীবী সকলেরই তীব্র অন্নাভাব দেখিতে পাওয়ায় দুভিক্ষ প্রশমনার্থে শ্রাবণ মাসে বঁকুড়ার সরকারী কৰ্ম্মচারিগণ একটি রিলিফ কমিটী গঠন করেন এবং বেসরকারী রিলিফ কমিটীরও গঠন হয়। স্থানে নে টেস্ট ওয়র্ক ৪ ( test workওঁ ) চলিতে থাকে । বঁকুড়া সম্মিলনী একটি বেসরকারী রেজিষ্টারীর্কত সমিতি । ভিন্ন ভিন্ন স্থান হষ্টতে জরুরি সাহায্যের জন্য আবেদন আসায় গত শ্রাবণ মাস হইতেই সম্মিলনী গঙ্গাজলঘাটী থানার চেীশাল কেন্দ্রে সাহায্য-কাৰ্য্য আরম্ভ করেন । এমন সময় শ্রাবণের শেষভাগে আসিয়া উলুর বঁ,কুড়াকে ধ্বংস করায় বন্য- ও দুর্ভিক্ষ- জনিত অভাবের একটা ভয়ঙ্কর হাহাকার পপনি উত্থিত হয় এবং সকলেই গৃংশগ্য অন্নবস্ত্রহীন ব্যক্তিদিগের সাহায্যার্থ ধাবমান হন । ধ্বংসকারী বন্যা-বিপ্লবের সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় এই অসময়ের বুষ্টি পাইয়াও অনেক চাষী ভাদ্র মাসে অনুপযোগী ধান-চার রোপণ করিয়া কতক কতক জমিতে চাষ-আবাদ করেন। চামী ভাবিয়ছিল কতক ধান্তও পাওয়া যাইবে কিন্তু বিধতাঁর বিধান অন্যরূপ । তার পর আর বুষ্টি না-হওয়ায় অনেক স্থানের অসময়ে রোপিত ধান্তও জল অভাবে মারা গেল । স্ববৃষ্টি না-হওয়ায় অনেক স্থানে পুষ্করিণীতেও সম্পূর্ণ জলাভাব। কেহ কেহ খরচা করিয়া সেই সামান্য জল সেচম করিয়া ধান বঁাচাইতে চেষ্টা করিল বটে, কিন্তু অধিকাংশ ধানষ্ট বঁচিল না। শতকরা দশ বিঘার ধানও বঁচিবে না। এদিকে চাষীর যাহা-কিছু ছিল নিঃশেষ হইয় গেল। বঁ,কুড়া জেলার অধিকাংশই ডাঙ্গ জমি, তাহাতে সাধারণতঃ আউশ কেলাশ ও নোয়ান ধন্য হয়। এই সব ফসল আশ্বিন খ্ৰীষ্টিকে কাটা হয়। কিন্তু এ বৎসর একেবারেই হইল না । অসময়ে ভদ্র মাসে আমন ধান্ত রোপণের পর আশ্বিন হঠাৎ দামোদরের বন্য প্রবাসী SNEBR কীৰ্ত্তিকে বৃষ্টি না-হওয়ায় তাহারও আশা নাই। চাম৷ ছাড়| চাষে খটিয়া খায় এমন মজুবদের লোকসংখ্যা প্রায়ু দুই-তিন লক্ষ। চাষের কাজের উপরই তাহাদেব প্রাণধারণ নির্ভর করে। চাষের মাটি তৈয়ার, ধান্য রোপণ ও নিড়ান, ছেদন ও ঝাড়ান কাৰ্য্যে বৎসরের অনেক সময়েই তাহার খাটে। চাষ-আবাদ না হইলেই শুধু চাষী নয় এতগুলি মজুত্বও বেকার থাকে ও তাঁহাদের ভীষণ অন্নাভাব হয়। এই বৎসর তাহাঁই ঘটিয়াছে । ভাদ্র মাসে আমন ধান্য রোপণের পর আশ্বিন-কাৰ্ত্তিক মাসে আর বৃষ্টি না-হওয়ায় তাহারও আশা নাই। ঐ সকল শ্রমজীবীর পুনরায় ভীষণ অন্নাভাব হইয়াছে, মধ্যবিত্ত গৃহস্তের ত কথাই নাই। সম্মিলনী চেীশাল কেন্দ্রে মাসাবধিকাল একটি রাস্ততে প্রত্যেককে এক আন হিসাবে মজুরী দিয় কতকগুলির প্রাণরক্ষা করিতেছেন । তাহ ছাড়া শ্রাবণ মাস হইতে সাহায্য কাৰ্য্য আরম্ভ করিয়া ক্রমশঃ সাহায্য বিস্তার করিয়া কীৰ্ত্তিক মাস পৰ্য্যস্ত সাহায্য করিয়া--- মেজিয়া থানায় ( ১ ) রামচন্দ্রপুর ও (২ ) বানজোড় ইউনিয়নে—উত্তর গঙ্গাজলঘাটী থানায় (৩) বড়শাল (৪) নিত্যানন্দপুর ( ৫ ) পট্যাবনী ( ৬ ) পীড়রাবনি ইউনিয়নে, বড়জোড়া থানায় ( ৭ ) মালিয়াড় ( ৮ ) বড়জোড়া ইউনিয়নে, ওন্দা থানায় ( ৯ ) জামজুড়ী (১০ ) রতনপুর ইউনিয়নে প্রায় ১৫ ০০ অসমর্থ ব্যক্তিকে গত সপ্তাহ পর্য্যন্ত সাহায্য দিয়ছেন । কোন কোন স্থানে সরকারী কৰ্ম্মচারী মারফৎ সাহায্য প্রেরণ করিয়াছেন। কয়েকটি স্থানে রামকৃষ্ণ মিশন ও রিলিফ কাৰ্য্য চলাইতেছেন। সাহায্য-কাৰ্য্য চালাইবার জগ বিশেষ অর্থের প্রয়ে জন। সহৃদয় ব্যক্তির নিকট সাহায্য নী পাইলে সম্মিলনীকে সাহায্য-কাৰ্য্য বন্ধ করিতে হইবে। ফলে প্রাণহানির সম্ভবন । বহুস্থান হইতে করুণ আবেদন সম্মিলনীর নিকট আসিয়াছে, তাহার মধ্যে দু-একটার পরি ; নিম্নে দিলাম। অর্থাভাবে সম্মিলনী সকল স্থানে উপস্থিসাহায্য করিতে পারিতেছেন না। এখানে একটু উল্লেখ করা আবশ্বক যে স্থানে স্থা:ে অসময়ে রোপিত যে সমান্য ধন্য জলসেচন দ্বারা রস পাইয় ছে তাহার দ্বারা চাষীর দু-এক ম'সের খোরাক হইতে পারে কেহ কেহ বলেন, এবং সেই সকল কর্ষ্যে সেই ’ে ঃ