পৌষ হণটে NలిSS সে যুগের পালানো বাণী ধরবে ব’লে ঘুরিয়ে ফেলছে গানের জাল, স্বরের ছোওয়া দিয়ে খুজে খুজে ফিরছে হারানো পরিচয়কে ॥ সমুখে ছাদ ছাড়িয়ে উঠেছে বাদামগাছের মাথা, উপরে উঠল কৃষ্ণচতুর্থীর চাদ । ডাকলেম নাম ধ’রে । তীক্ষ বেগে উঠে দাড়াল সে, ক্ৰকুটি ক’রে বললে, আমার দিকে ফিরে,— “এ কী অন্যায় কেন এলে লুকিয়ে ” কোনো উত্তর করলেম না । বললেম না, প্রয়োজন ছিল না এই তুচ্ছ ছলনার । বললেম না, আজ সহজে বলতে পারতে, এসো, বলতে পারতে, খুশী হয়েছি । মধুময়ের উপর পড়ল ধূলার অাবরণ ॥ পরদিন ছিল হাটবার । জানলায় ব’সে দেখছি চেয়ে ] রৌদ্র ধৃ ধূ করছে পাশের খোলা ছাদে । তার স্পষ্ট আলোয় বিগত বসন্ত রাত্রের বিহবলতা সে দিয়েছে ঘুচিয়ে । নিবির্বশেষে ছড়িয়ে পড়ল আলো মাঠেবাটে, মহাজনের টিনের ছাদে, - শাক্সব জীর ঝুড়ি চুপড়িতে, আঁটিবাধা খড়ে, হাড়িমালসার ভূপে, নতুন গুড়ের কলসীর গায়ে । সোনার কাঠি ছুইয়ে দিল মহানীম গাছে ফুলের মঞ্জরীতে ॥
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।