পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌৰ রাখিয়াছে। ছোট ছেলে ছটি শলার কাছে বসিয়া নখ দিয়া শসার গা খুটিতেছে আর জিহ্বা লেহন করিয়া মাকে শসাভাগ করিয়া দিবার জন্ত তারস্বরে চীংকার করিতেছে। দুর্গার চাল ভাজা শেষ হইল। ধামিতে করিয়া ভাজা চাল লইয়া সে ছেলেদের কাছে আসিয়া বসিল । বড়ছেলে বঁটি আনিয়া মাকে দিল । হরিশের কিন্তু এ-সব দিকে নজর নাই। চিঠির সামনে দুই একাগ্র চক্ষুর দৃষ্টি মেলিয়া সে ঠায় বসিয়া আছে। দুর্গ শসা কাটিতে কাটিতে বলিল, ভূতে পেলো নাকি ? অমন কাঠের পুতুলের মত বসে ভাবছ কি ?-- হরিশ চিঠিখানা দুর্গার দিকে ছুড়িয়া ফেলিয়া দিল । .দুর্গ বঁটিখানা কাৎ করিয়া রাখিয়া বাজালো গলায় বলিল—লজ্জা করে না ? কখনও পেরথম ভাগ কিনে দিয়েছিলে একখানা? কখনও আখর লিখতে শিখিয়েছিলে ? হরিশ হাসিল। এ যেন তাহারই কৰ্ত্তব্য। দুর্গার মহিমান্বিত সম্রাপ্ত পিতৃকুলের এ-বিষয়ে কোন দায়িত্বই বুঝি ছিল না । হরিশের হাসি দুর্গার অঙ্গে বিষ ছড়াইয়া দিল। চিঠিখানা হরিশের মুখ লক্ষ্য করিয়া ছড়িয়া সে বলিল, বেহায়ার বালাই দূর কাটা কানে চাপার ফুল । আবার হাসছেন । দুর্গ বহুদিন এ সংসারে আসিয়াছে। তাহার মেজাজ ও আচরণের মাত্রা সম্বন্ধে হরিশের বুদ্ধি কিছু প্রখরই ছিল । এই বাদল-দিনে উপবাসী থাকিতে সে অনিচ্ছুক ; সন্মুখে ভাজা চাল ও কাটা শসার স্বগন্ধ। তাড়াতাড়ি সে বলিল— স্থির হও ; শোন। আমার ভাই-ঝি চিঠি লিখেছে। দুর্গা আকাশ হইতে পড়িল ; ভাই-ঝি ! --ই গো, আমার দাদার মেয়ে। দাদা, যিনি টাকা পাঠাতেন । —বুঝেছি গো বুঝেছি, আর বাখ্যানাতে কাজ নেই। টাকা পাঠাতেন ত মাৰাই ৰিনতেন ! অক্ষম ভাইকে টাকা দেওয়ায় কি জাদিখ্যেতা আছে । আমার দাদা— -आदcउभांब्र गांधांब्र कथाहे यण । रकृयहां €తి -दणय जांबाब्र कि, जॉन न ? ठादमग्न ब्रौख्, शाखाब्र-•• हो९ वाभिम्न रुणिण,—छ छोड़े-क्षि कि निकाछन - হরিশ বলিল—চমৎকার। সে এখানে আসতে চায়। সমস্ত ভাষা আসিয়া ছৰ্গার বিস্ফারিত চক্ষুকে জাগুয় করিল। হরিশ বলিল,—সত্যি সে আসছে। হয় আজ-নয় কাল । দুর্গ চোখ মেলিয়া বিস্ময় দমন করিয়া কহিল,—ও । —ও মানে, বুঝলে কিছু ? —তা বুঝব কেন—আমরা ধান খাই কিনা ! —কি বুঝলে ? —তোমার মাখা আর আমার মুণ্ডু অনেক দিন পরে চিবুতে আসছেন ? —সে কি ? দুর্গ হাসিয়া বলিল,—পুরুষমানুষের দশ-হাতে কাছা হ’লে কি হবে, বুদ্ধির গোড়। আলগা । আ মর, ই ক'রে চাইছে দেখ না । নাও, আগে একগাল ভাজা-চাল মুখে দাও তার পর গুনো"খন। একটু থামিয়া বলিল,—কিন্তু যাই বল, উনি ষে বুকে বসে দাড়ি ওপড়াবেন সে হবে না । ফুলোর বাষ্ঠি দিয়ে ষে-পায়ে আসবে সেই পায়ে বিদেয়। হরিশ একটি নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল,—তুমি ঘা ভাবছ ड नम्र ! —না বইকি ! ও সাপের হাচি বেদেয় চেনে। জমির ভাগ নিতে আসছে না ? —ন । এবার বিস্থিত হইবার পাল দুর্গার । কিন্তু সে ঝঙ্কার দিয়া বলিল,—তবে কি রূপ দেখাতে আসছেন ? —শোন। ওদের একটা সমিতি আছে, তারা দেশে যেখানে স্থল নেই, সেখানে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের জন্তে ইস্কুল খুলতে চায়। সেই জন্তেই মায়া এখানে আসছে। —ওঃ ! বলিয়া তাচ্ছিল্য-ভরে ঠোঁট উটাইয়া দুর্গ তেল দিয়া চাল-ভাঙ্গা মাখিতে লাগিল। চালভাজা খাইতে খাইতে হরিশ বলিল,—তাহলে সে আসৰে ?