পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেশষ পশ্চিমবাত্রিকী \EN9 বেশ দক্ষতার সঙ্গে পরিচালন করছে। রাস্তায় গাড়ীঘোড়ার চলাচল বেশী ব’লে লোকের যাতে রাস্ত পার হবার অসুবিধা ন-হয় তার স্ববিধাও আছে ; রাস্তার নীচে দিয়ে অপর ফুটপাথের উপর যাওয়া যায়, নামবার জন্য সিড়ি আছে। ভেতরটি সব বাধান ও ইলেকট্রিক আলোর দ্বারা আলোকিত। ভেতরে দেখলে উপরকার ব্যাপার কিছু বোঝবার জে৷ নেই। সেখানে খবরের কাগজের দোকান, বইয়ের দোকান, ফলের দোকান ও বিলাতের সোয়ান এণ্ড এডগার ইত্যাদি বড় বড় দোকানের ব্রাঞ্চও আছে। কারুর বাথরুমে যাবার দরকার হ’লে তার বন্দোবস্তও আছে। বাথরুমের দরজাটি সব সময়ে বন্ধ থাকে। দরজার ফুটাতে একটি পেনী ফেললে রেজা আপনা হ’তেই খুলে যাবে। দরজার সামনে পেনীওয়ালী বুড়ী বসে আছে, পেনীগুলি তারই প্রাপ্য, সে এই সব পাথরুম পরিষ্কার রাখে। বুড়ীর বড়ই তীক্ষ দৃষ্টি, বসে বসে সেলাই বোনাও করে, আবার নজরও রাখে কে পেনী ন-দিয়ে দরজা পোলবার চেষ্টা করছে। আমাদের এক পরিচিত লোক একবার না-জেনে পেনী ন-দিয়েই দরজা শি রকম ভাবে খুলে ফেলে ঢুকেছিলেন। শেষে বেরিয়ে শাসবার সময় পথে বুড়ী তাকে গ্রেপ্তার করে পেনী আদায় করেছিল । এখানকার বাসগুলি বেশ, বস্বার সীট অতি আরামের, নরম গদওয়ালা। সব বাসই দোতালা। যারা ধূমপান করেন, তাদের উপরে বসবার নিয়ম । যাতে গাড়ীর মধ্যে ধোয় বেশী হয়ে অপরের অস্ববিধ না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা । লগুনে আসবার কিছুদিন পরে শ্ৰীযুক্ত অবনীনাথ মিত্র ...”ক এক দিন বালিন থেকে এসে পড়লেন। আমরা বহুদিন আবার এই পরিচিত আমুদে লোকটিকে পেয়ে বড় খুশী 'লুম। এক নি তাদের সঙ্গে এখানকার মিউজিয়মগুলি “ ত গেলুম। রাস্তার নাম একজিবিশন রোড। এই রাস্তার - শের বড় বড় বাড়িগুলিতে সব একজিবিশন ও মিউজিয়ম । রা ওয়ার মিউজিয়ম, ভিক্টোরিয়া এলবার্ট মিউজিয়ম ইল হিষ্টরী মিউজিয়ম ইত্যাদি দেখে এলুম, এগুলি সবই **ার জিনিষ । একদিন বাসে ক’রে কোথায় যাচ্ছিলুম। পাশে এক দে ইংরেজ-মহিলা তার ছোট ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন । ছেলেটি খেলা করতে করতে তার গালে কি রকমে একটু কাদা লাগিয়ে ফেলেছিল। শিক্ষিতা জননী তৎক্ষণাৎ তার রুমাল বার করে নিজের মুখের খুথর দ্বারা এক কোণ ভিজিয়ে ছেলের নর্স এডিপ ক্যাভেলের মৰ্ম্মল-মূৰ্ত্তি গালের কাদা তুলে দিলেন। আর একদিন রাস্ত দিয়ে যাচ্ছি, এক জায়গায় গোটাকতক কুলী শাবল নিয়ে রাস্ত খুড়ছিল। হঠাৎ খৃথফেলার আওয়াজ হতেই আমি সেদিকে চেয়ে দেখলুম ; ভাবলুম পথেঘাটে ত খুথ ফেলার নিয়ম নেই, তবে কোথায় ফেলে দেখি । ও হরি ! দেখি তার হাতে কালি লেগেছে, সেই হাত দুখানি অঞ্জলি ক’রে মুখের সামনে ধরে অনবরত ওয়াক খু করে হাতের তেলোর ওপরেই থুথ ফেলে হাতে সাবান দেওয়ার মতন হাত কচলাতে লাগলো। তার