পৌষ পশ্চিমষান্ত্রিকী vegve দেখলুম। একটি লোককে শূলে বিদ্ধ করে আটকে তার মাধ৷ নীচের দিকে ঝুলিয়ে শরীরটাকে ঘুরপাক দিয়ে দেওয়া হয়েছে ও তার বুক থেকে অবিরত লাল রক্তের ধারা গড়িয়ে গড়িয়ে তার মুখ ও মাথার চুল সিক্ত করে তুলছে। এই সব দেখে-গুনে সেদিন মন বড়ই খারাপ হয়ে গেল। রাত্রে মাঝে মাঝে এই বীভৎস চেহারাগুলি চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল। অদ্ভুত বিলাতী রুচি ! এ সব জিনিষেরও প্রদর্শনী হয়। ঐযুক্ত রঙীন হালদার মহাশয়ের ভাষায় একে “অল্পইরা প্রবৃত্তি” বলা যেতে পারে। আমরা মাঝে মাঝে রজেন্ট পার্কে বেড়াতে যেভূম। এখানে অনেক বড় বড় গাছ আছে, তাতে অসংখ্য পায়রা বাস করে। এখানকার লোকদের সকলেরই পশুপক্ষীর উপর একটা প্রবল আসক্তি দেখতে পাওয়া যায়। সৰ্ব্বাপেক্ষা ঝোক কুকুর ও কালো বেরালের ওপর। ওদের বিশ্বাস কালো বেরাল বড়ই স্বলক্ষণ, যার কাছে থাকে তার স্বথ ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়। এই পার্কে দেখেছি নিজেরাও ভ্রমণে বেরিয়েছে, সঙ্গে ছেলেমেয়ে আছে, কুকুর-বেরালও বাদ নেই। এখানে বাঙালী ছেলেদের কাছে শুনেছিলুম, একটি ছেলে একবার তার শোবার ঘরে বেরাল দেখতে পেয়ে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। তাতে বাড়িওয়ালী বুড়ী রেগে গিয়ে অভিশাপ দিয়েছিল, “তুমি কখনও এগজামিন পাস করতে পারবে না।” তার কুকুর বেরাল দুই-ই ছিল। সকালে কুকুর বেড়াতে যেত ও তার জঙ্ক বাজার থেকে মাংস আসত, বিকালে বেরাল ঠেলা-গাড়ীতে বেড়াত ও তার জন্ত মাছের বন্দোবস্ত ছিল । এক দিন রীজেণ্ট পার্কে বেড়াতে বেড়াতে দেখি একটি লোক বেঞ্চে বসে চিনাবাদাম খাচ্ছে, তার পায়ের তলায় একরাশ পায়রা বকম্ বকম্ ক’রে চলে বেড়াচ্ছে। সে খাচ্ছে, আর মাঝে মাঝে দাত থিচিয়ে চুপ করে বসে থাকৃছে। ভাবলুম এ আবার কি ? দাতখিচুনো সভ্যতা আবার কেমন ধারা ? দাড়িয়ে দাড়িয়ে যদি ব্যাপারটা দেখি, তাহলে ভজতাবিরুদ্ধ হয়, কাজেই কাছেই একটা বেঞ্চে বসে পড়লুম। দেখি সে জাতের ফাকে একটি ক’রে চিনাবাদাম চেপে ধ'রে ও-রকম ক'রে বসে আছে, আর পায়রা তার কাধে উড়ে বসে মুখের ভেতর ঠোঁট ঢুকিয়ে বাদাম খাচ্ছে। এতেই আনন্দ, এতেই সুখ । এ রকম ভাবে বসে থাকতে অনেক লোককেই দেখেছি। ছোট ছেলে-মেয়েরা সব সময় দৌড়াদৌড়ি করে। তাদের তেষ্টাও পায় বেশী । তাদের জল পান করবার জন্ত এই পার্কে জলের কল আছে। এই কল দিয়ে সমস্ত ক্ষশ জল পড়ছে । কলের গায়ে একটি চেন-সংলগ্ন বাটী আছে । ছেলেপিলেরা সকলেই সেই একটি বাটীতে ক’রে জল খাচ্ছে । এটি কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। রাজেন্ট পার্কে লোকে মাঝে মাঝে বস্তৃতাও দেয়। একদিন ওয়েষ্টমিন্ষ্টার য়্যাবি দেখতে গিয়েছিলুম। দেখতে মন্দ নয়, তবে ইতালীর গীর্জা দেখে এলে এ-সব চোখে লাগে না । এই গীর্জার ভিতর সাধারণের, সন্ত্রাস্তবংশীয়দের ও রাজপরিবারের বিবাহ হয়ে থাকে। রাজারাজড়ার সমাধিও আছে। এমন কি ভেতরের সমস্ত হলটির মেঝেতে পৰ্য্যন্ত অনেক লোকের কবর আছে। সে সব সমাধির উপর বেদী গাথা নেই, খালি সিমেন্টের উপর নাম দেখে বোঝা যায়। লোকে এর উপর দিয়ে মাড়িয়েই চলছে। আমার কি রকম সংস্কারে বাধছিল, আমি যতটা পেরেছি পাশ কাটিয়ে চলেছিলুম। মৃত লোকের উপর দিয়ে চলা এই প্রথম দেখলুম। ওয়েষ্টমিনষ্টার য়্যাবি ছবিতে যতটা ভাল দেখায়, দেখতে 6ड*न नै ! دكاكيخ حجحS
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।