কীৰ্ত্তিক নর-নারীর সম্পর্ক ও স্বাধিকার নির্ণয় 8S মুক্তি নিচ্ছে না। আমেরিক, ফ্রান্স ও অন্যান্য অনেক দেশের চাইতে রুশিয়ায় বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা কম। (৭) পুত্রকন্যার বিবাহে পিতামাতা তাদের মত গ্রহণ করবেন, পক্ষান্তরে পুত্রকন্যাও পিতামাতার মত গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবেন। মতবিরোধ ঘটলে তিন জনের মধ্যে দু-জনের মত প্রবল হবে । পিতামাতার মধ্যে এক জনের অবর্তমানে দুয়ের মতভেদ হ'লে পরবর্তী নিকটতম অভিভাবক বা আত্মীয়ের মত গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই পুত্র বা কন্যার অমতে বিবাহ হতে পারবে না। টীকা :–পিতামাতা সংসার সম্বন্ধে অধিকতর অভিজ্ঞ এবং তাদের চেয়ে হিতৈষী সস্তানের আর কেউ নেই। তাই অনভিপ্রেত বিবাহ বন্ধ করবার ক্ষমতা তাদের যুক্তভাবে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু জোর ক’রে বিয়ে দেবার অধিকারও তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে । সংম বা সৎপিতাকে অধিকার দেওয়া হবে কি না তা নির্ভর করবে নূতন সামাজিক ব্যবস্থা কিরূপ চলে, দেখবার পর । তাই এ সম্বন্ধে এখন কোন ব্যবস্থা করা হ’ল না। (৯) বিধবা ও অবিবাহিতা মেয়েকে, এমন কি বিবাহিত মেয়েকেও নিজের জন্য বা পরিবার-প্রতিপালনের জন্য সদুপায়ে অর্থোপার্জনের অধিকার দিতে হবে। টীকা —ইচ্ছা এবং চেষ্টা সত্ত্বেও অনেক মেয়ের বিবাহ সম্ভবপর না হ’তে পারে ; বিধবা নিরাত্মীয় হতে পারেন বা আত্মীয়েরা তার ভার নিতে রাজীন হ’তে পারেন ; বিবাহিতার বেলায় স্বামীর আয় পরিবারের পক্ষে যথেষ্ট না হ’তে পারে ; এই সব কারণে এই অধিকার স্বীকার করতে হবে। তবে এটা হবে অনন্যোপায়ের ব্যতিক্রম। পরিশেষে আমার বক্তব্য—প্রয়োজনের দাবিতে ও নুতন আর্থিক ও অন্যবিধ অবস্থার চাপে অপেক্ষাকৃত কম *RTEIFH fantrą (lesser evils ) szarą কিছু ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাদের এখানে মেনে নিতে হয়েছে ; কিন্তু তাতে ভয় পাবার কিছু নেই যদি মানুষের মধ্যে দেবতার পাশে যে বর্বরটা বসে আছে তাকে আমরা আসন ছেড়ে না দিই। নরনারীনির্বিশেষে আমরা মানুষের স্বাধীনতাকে মেনে নিচ্ছি। কিন্তু স্বাধীনতা ও উচ্চ স্থলত এক জিনিষ নয়। আমাদের চুপ করে থাকলে চলবে না। বর্তমান দুনিয়ার ও সময়ের সঙ্গে যোগ রেখে আমাদের লক্ষ্য ও আদর্শকে ঠিক ক’রে নিতে হবে এবং তার অনুকূলে জনমত গঠন করতে হবে । বিশেষ ক'রে মেয়েদের সাবধান হ'তে হবে ; কারণ বহু যুগের অবরোধের কারা ভেঙে আজ যাদের মুক্তি ঘটেছে, তাদের মুক্তির আনন্দ আজ অসীম। অভিভূত মোহের অঞ্জন আজ তাদের চোখে চোখে । পুরুষ অভিজ্ঞ পাকা খেলোয়াড়–নূতন নূতন শিকারকে আত্মবিশ্বত দেখে আজ তাদের আনন্দের সীমা নেই—তরুণীদের তাই হুসিয়ার করে দিচ্ছি, পুরুষের ফদে যেন সহজে পা না-বাড়ান, যে-কোন পথিক হাওয়ার শিহরণে শরতের হাল্কা মেঘের মত ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে ঘুরে না বেড়ান। [ প্রবাসীর সম্পাদকের মন্তব্য । যাহারা নিজে কোন পৰ্য্যবেক্ষণ, গবেষণা, চিস্তা, বিস্তৃত অধ্যয়ন না করিয়া ফ্রয়েডের মত বলিয়াই তাহার কোন মত গ্রহণ করেন, তাহাদের এই জাম্যান মনীষীর অন্য মতও গ্রহণ করা উচিত। র্তাহার এইরূপ একটি মত শ্ৰীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ ভাত্রের ‘বঙ্গলক্ষ্মীতে উদ্ধৃত করিয়াছেন। যথা— “We believe that civilization has been built up, under the pressure of the struggle for existence. by sacrifices in gratification of the primitive impulses, and that it is to a great extent for ever being re-created, as each individual, successively joining the community, repeats the sacrifice of his instinctive pleasures for the common good. The sexual are amongst the most important of the instinctive forces thus utilized; they are in this way sublimated, that is to say, their encrgy is turned aside from the sexual goal and diverted towards other sides, no longer sexual, and socially more valuable. But the structure thus built up is insecure, for the sexual impulses are with difficulty controlled; in each individual who takes up his part in the work of civilization there is danger that a rebellion of the sexual impulses may occur, against this diversion of their energy. Society can conceive of no more powerful menace-to its culture than would arise from the liberation of the sexual impuleses and a return of them to their original goal.” Sigmund Freud, Introductory Lectures on Psycho-analysis (Eng. translation by John Riviere) HAOndon, 1933, pp. 17-18. অর্থাৎ "আমাদের বিশ্বাস, জীবনসংগ্রামের চাপের মধ্যে মানব
পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।