পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లీడ్స్లో ফ্রান্সে যখন এই সমস্ত উঠিয়াছিল, তখন গ্রাশে-পন্থীরা ("Oeuvre Grancher” ) sista fyg ortfa șfars সমর্থ হইয়াছিল। জার্শ্বেনীতে তখন স্তানাটোরিয়াম একটির পর একটি করিয়া গড়িয়া উঠিতেছিল। তাহাতে রোগগ্রস্তের চিকিৎসার কার্ষ্য এবং তস্থার জনসাধারণের মধ্যে রোগ-বিস্কার-প্রশমনকাৰ্য্য সম্পন্ন হইত বটে, কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ যাহার,—শিশুদিগের কোনই উপকার হইত না। পিতামাতা শু্যানাটোরিয়ামে থাকিলে সন্তানের অযত্নের জার সীমা থাকে না। জাৰ্শেনীতে যাহা অপূর্ণ ছিল, জধ্যাপক গ্রাশে তাহা পরিপূর্ণ করিতে একটি নূতন পন্থা অবলম্বন করিলেন। পাস্তুর অলক্ষ্যে প্রেরণা দিলেন। লুই পাস্তুর ১৮৬০ খৃষ্টাৰে রেশমশিল্পের প্রভূত মঙ্গল সাধন করিয়াছিলেন। তিনি রেশম-কীটের শিশু-অবস্থাতে মৃত্যুর কারণ নির্ধারিত করিয়াছিলেন। তিনি বুঝিয়াছিলেন যে ঐ পতঙ্গের ব্যাধির কারণ একটি ক্ষুদ্র জীবাণু। প্রজাপতি সেই জীবাণুকে যে-পাতার উপর ডিম্বকোষ থাকে সেই পাতার উপর বহন করিয়া আনে। ডিম্বকোষ কাটিলে পতঙ্গশিশু বাহির হইয়া ঐ জীবাণু ভক্ষণ করে ও মৃত্যু বরণ করে। পাস্তর দেখিয়াছিলেন যে উহার জন্মাবধি রোগাক্রান্ত নহে। কেননা ডিম্বকোষ ফাটিয়া যাইবার অব্যবহিত পরেই যদি পতঙ্গের স্থান পরিবর্তন করা যায়, তবে তাহার রোগও হয় না, মৃত্যুও হয় না। এই দৃষ্টান্ত হইতে প্রফেসার গ্রাশে তাহার কার্য্যপ্রণালী স্থির করিয়াছিলেন । শিশু ক্ষয়রোগ লইয়া জন্মগ্রহণ করে না । পরে পরিপার্থিক অবস্থায় রোগাক্রান্ত হয় । কাজেই যে-সব পরিবার দুঃস্থ এবং তাহাদের কেহ ক্ষয়রোগগ্ৰস্ত, সেই পরিবারের শিশুকে স্থানান্তরিত করিলে, তাহারা ভালভাবে বদ্ধিত হইবার স্বযোগ পায়। গ্রামে যদি কোনও পরিবার পোষ্যপুত্র গ্রহণ করিতে প্রস্তুত থাকে, এবং সেই পরিবারের স্বাস্থ্য ও নৈতিক চরিত্র যদি ভাল হয়, এই সব শিশুর ভার তাহীদের উপর অর্পণ করা হয়। হয়ত মনে হইবে, ইহা অতি নিষ্ঠুর কার্য্য। কিন্তু তাঁহাই যদি হইবে, লোকে আমাদের দেশে পোষ্যপুত্র দান ও গ্রহণ করে কি করিয়া ! সন্তান ষাঁহাতে স্বস্থ, সবল ও স্বর্থী হয়, ইহা সকল পিতামাতারই কাম্য। গ্রাসেপৰীগণের কার্ষ্য সার্থক হইয়াছে। প্রবাসী ১Ne৪ই তাহারা পরে আমেরিকান রেডক্রস হইতে সাহায্য লাভ করিয়া কার্ধ্য আরও অগ্রসর করিতে সমর্থ হইয়াছে। এই সব শিপ্ত ফ্রান্সের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ Apache (লাল লোকের জাত ) ৷ উৎকৃষ্ট দৈহিক শক্তি ও উন্নত নৈতিক চরিত্র লইয়৷ ইহারা গঠিত হইয়াছে ও হইতেছে। সভ্যতার আর একটি নিদর্শন মাতৃজাতির বিদ্রোহ। প্রকৃতি-মাতার আইন অনুসারে তাহাদের প্রধান কৰ্ত্তব্য যে সন্তান পালন তাহা তাহারা স্বীকার করিতে ইচ্ছুক নহেন। জাগ্রৎ অবস্থায় নিদ্রিতের ভান করিলে কাহারও নিদ্রা ভঙ্গ করা অসম্ভব। এ-দেশে দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিকপত্রসমূহে, সিম্পায়ী তাহার শাবককে কি ভাবে পালন করিতেছে, বাঘিনী তাহার শাবকদের লইয়া কি করিতেছে এমনই নানা প্রকার ছোট, বড়, রঙীন ছবি প্রকাশিত হয়। সকলেই বুঝে সন্তানপালনই স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু তাহাতে কি ? হয়ত আধুনিক নারীর সন্তানপ্রীতি সমানই আছে। কিন্তু অন্যান্য কৰ্ত্তব্যও ত আছে এবং একটু বেশী রকমেই আছে। সুতরাং ফিডিং বোতলেই সন্তানের তৃপ্তিলাভ হয়। অতি গরিব যাহারা, খাদ্যাভাবজনিত স্তন্যদুস্কাল্পতার জন্য ইচ্ছাসত্বেও র্তাহার কৰ্ত্তব্যপালন করিতে পারেন না । কাজেই ধনী দরিদ্র উভয় সম্প্রদায়েরই অসহায় শিশুরা তাহাদের জীবনের সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট মুহূৰ্ত্তগুলি হইতে বঞ্চিত হয়। এই সব শিশুর ক্ষয়রোগ-আক্রমণচিহ্নের পরীক্ষা ( Tuberculiu test ) করিলে, শতকরা নব্বই জনের ষে রোগচিহ্ন পাওয়া যাইবে তাহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ! হয়ত নিয়মলঙ্ঘনক্লষ্ট প্রকৃতিমাতার ইহা নিদারুণ প্রতিশোধ। মানব প্রকৃতিদেবীকে যতই অবমাননা করিতেছে, ততই নিজেদের ধ্বংস আনয়ন করিতেছে। অমামুষিক শক্তি মানুষ লাভ করিতেছে সত্য, কিন্তু তাহা পরম্পরের ধ্বংসের জন্ত ব্যবহৃত হইতেছে এবং ভবিষ্যতেও হইবে । মানব প্রকৃতিদেবীকে বন্দিনী করিয়া বিজয়গৰ্ব্বে উৎফুল্প হইতেছে। কিন্তু আপনার অজ্ঞাতে নর সেই প্রকৃতিদেবীর পদমূলেই নরবলি দিয়া চলিয়াছে। সভ্য দেশে পশুপ্রীতি প্রবল। তথায় পশুক্লেশनिषांब्रषै-णबिछिद्र (S. P. C. A) चङाख aख्ठेि ।